স্বামী-সংসার ছেড়ে ভারতে চলে এলেন ব্রাজিলিয়ান মহিলা

ছেলের বয়সী যুবকের সঙ্গে প্রেম! স্বামী-সংসার ছেড়ে ভারতে চলে এলেন ব্রাজিলিয়ান মহিলা, বিয়ে করবেন শীঘ্রই

ভিন্ড, মধ্য প্রদেশ: পাকিস্তানি সীমা হায়দারকে মনে আছে নিশ্চয়। প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ছেড়ে চলে এসেছিলেন ভারতে। তাঁদের প্রেমের সামনে দেওয়াল তুলতে পারেনি কাঁটাতারও। এখন সচিন মীনার সঙ্গে সুখেই ঘর সংসার করছেন তিনি।

অনেকটা একই ঘটনা ঘটল ভিন্ডেতে। ছেলের বয়সী যুবকের প্রেমের টানে ভারতে চলে এসেছেন ব্রাজিলের এক মহিলা। শুধু ভারতে এসেছেন তাই নয়, খুব শীঘ্রই দু’জনে সাত পাকে বাঁধাও পড়তে চলেছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের বিয়ের কার্ড ছাপানোও হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন– স্কুলে দুপুরের খাবার নিয়ে লুকিয়ে ফেলত খুদে পড়ুয়া, বন্ধুদের উচ্ছিষ্ট খেত প্রতিদিন, কারণ জানতে পেরে হতবাক শিক্ষক-শিক্ষিকারা

কথায় বলে, প্রেম কোনও বাধা মানে না। সে বয়স হোক কিংবা দূরত্ব। প্রেমের টান এমনই। তার সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কারও নেই। সেই আপ্তবাক্যকেই আরও একবার সত্যি প্রমাণ করলেন তাঁরা। এখন শুধু চার হাত এক হওয়ার পালা।

মহিলার নাম রোজি নাইড শিকেরা। ব্রাজিলের বাসিন্দা। ৫১ বছর বয়স। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখী সংসার তাঁর। এক বছর আগে গুজরাতের কচ্ছে ঘুরতে এসেছিলেন। তখনই আলাপ হয় পবন গোয়েলের সঙ্গে। পবন ছত্তীশগড়ের বাসিন্দা। পেশায় সিকিউরিটি গার্ড।

আরও পড়ুন– লন্ডনে একটা ফোন কল করার মতো টাকা ছিল না রতন টাটার হাতে, তারপর যা ঘটল…! চমকে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনও

পবনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় রোজির। দু’জনে একসঙ্গে কচ্ছে ঘোরেন। বেশ কিছু সময় কাটান। তারপর ব্রাজিলে ফিরে যান রোজি। তবে বন্ধুত্ব থেকে যায়। দু’জনে যোগাযোগের মাধ্যম হয় সোশ্যাল মিডিয়া। এরপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। তাঁদের ভাষা আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা, খাদ্যাভ্যাস আলাদা। কিন্তু ভালবাসা কবে আর এসবের তোয়াক্কা করেছে।

ব্রাজিলে রোজির ৩২ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। আর পবনের বয়স ৩০ বছর। রোজি যখন সবাইকে জানালেন যে তিনি পবনকে বিয়ে করতে চান, তখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। ছেলের বয়সী যুবককে বিয়ে? লোকে কটু কথা বলতেও ছাড়েনি। কিন্তু রোজি সে সবে পাত্তা দেননি। তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।

পবনকে বিয়ে করবেন বলে, স্বামীকে ছেড়েছেন রোজি। ছেড়েছেন সন্তানকে। প্রেমের জন্য এতদিনের সাজানো সংসার ছেড়ে দিয়েছেন মুহূর্তে। তারপর চলে এসেছেন ভারতে। এখন এখানেই আছেন রোজি। খুব শীঘ্রই তাঁরা বিয়ে করতে চলেছেন। বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়ে গিয়েছে। এখন আত্মীয়স্বজনকে নিমন্ত্রণ করছেন তাঁরা। বিয়েতে তাঁদের আশীর্বাদ করতে জেলা কালেক্টরকেও নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন রোজি এবং পবন।

বর্তমানে পবনের মা-বাবার সঙ্গে দিল্লিতে আছেন রোজি। হবু পুত্রবধূকে পেয়ে খুশি তাঁরাও। বিয়ের পর ভারতেই থাকতে চান তিনি। ব্রাজিলে আর ফিরবেন না। এমনটাই জানিয়েছেন রোজি। এখন শুধু কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপর সাম্বা মিশে যাবে চক দে ইন্ডিয়ার ছন্দে।