চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ছবি

Hooghly news: পানীয়ে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে সর্বস্ব চুরি! চন্দননগর হাসপাতালের ঘটনা দেখলে চমকে উঠবেন

হুগলি: ঠান্ডা পানীয়র মধ্যে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতী। ঘটনাটি চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে অপরিচিত এক ব্যক্তি এসে রোগীর পরিবারের ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাদেরকে ফ্রুটির সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অচেতন করে তাদের থেকে মোবাইল ফোন টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে চম্পট দেয় চোর।

পরিবার সূত্রে খবর, চাপদানীর বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম ওয়া আখতার আলী তাদের বাড়ির মহিলা অন্তঃসত্ত্বা থাকার জন্য চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতে তার বাড়ির লোক হাসপাতালের বাইরেই ছিলেন জরুরী পরিষেবার জন্য। সেখানে এক অচেনা ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে এসে বন্ধুত্বের অছিলায় তাদেরকে একটি ফ্রুটির টেট্রাপ্যাক খাওয়ায়। তারপর থেকেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন সকলে। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতী সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালায় তাদের থেকে এমনটাই অভিযোগ পরিবারের তরফে।

এই বিষয়ে পরিবারের এক সদস্য আবুল হোসেন তিনি বলেন, সকালবেলা তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে ফোন করা হচ্ছিল তখন তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি, তারপরেই তাঁরা হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়ে দেখেন তাদের পরিবারের লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা চন্দননগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের কথা অনুযায়ী, রাত তিনটে থেকে সাড়ে তিনটে নাগাদ সেই অচেনা ব্যক্তি তাঁদের কাছে আসে এবং সেখানে বন্ধুত্বের অছিলায় সেই মাদক খাইয়ে তাদের থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালায়।

এই বিষয়ে আক্রান্ত পরিবারের এক সদস্য তরুণ দে তিনি বলেন, তাঁরা হরিপালের বাসিন্দা। সেখান থেকে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। তাঁর কাছে মোট ৭ হাজার টাকা ছিল অছিলায় তাদেরকে মাদক মিশ্রিত কোলড্রিংস খাইয়ে সমস্ত টাকা লুট করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা। এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার সান্টু ঘোষ তিনি বলেন, বারংবার রোগীদের পরিবারদের বারণ করা হয় এই ধরনের অচেনা ব্যক্তিদের থেকে কোনও রকম খাবার না নিতে, তারপরেও তাঁরাই ভুল করে বসেন। পুলিশের কাছে তিনি আবেদন জানাচ্ছেন যাতে তিনটি শিফটে পুলিশ সেখানে টহলদারি করে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর ভবিষ্যতের না ঘটতে পারে।

রাহী হালদার