হাওড়া: হাওড়ার বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ ৷ বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়াল একদল যুবক! অতিবৃষ্টি বা ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েে দক্ষিণবঙ্গের দামোদর নিম্ন অববাহিকার বহু অঞ্চল।
বর্ষায় প্রায় প্রতি বছরই ডিভিসি জল ছাড়ে৷ আর তাতেই বন্যার কবলে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ। মেদনীপুর, হুগলি জেলার বেশ কিছু অঞ্চল, হাওড়ার উদয়নারায়নপুর, আমতা এই জলে প্লাবিত হয়।
বন্যার কারণে দুর্ভোগ এখানকার মানুষের প্রায় প্রতিবছরের সমস্যা। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়৷ ফলে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হয় এলাকার মানুষ। বিশেষ করে প্রতিবছর বন্যা পরবর্তীতে কৃষি নির্ভর মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়।
এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষকে বিভিন্নভাবে বিপদ মুক্ত করতে প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে দায়িত্বভার পালন করছে। এবারের বন্যার ভয়াবহতা অনেক বেশি। বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে৷
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে জেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে সহযোগিতা করার সমস্ত চেষ্টা করছে৷ উদ্ধার কার্য চালানো হচ্ছে। মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে সব রকম প্রচেষ্টা করছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
তবে পিছিয়ে নেই সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও যুবকেরাও৷ স্থানীয় একদল যুবক উদ্ধার কার্য-সহ নানা বিপদে প্রতিনিয়ত মানুষের পাশে রয়েছে। রাত দিন এক করে ওঁরা মানুষকে বিপদমুক্ত উদয়াস্ত খাটছে ।
এমনই ছবি দেখা গেল হাওড়ার উদয়নারায়নপুরে। সেখানে প্রশাসন এবং স্থানীয় বিধায়কের সহযোগিতায় তৈরি খাবার যুবকরা পৌঁছে দিচ্ছেন বন্যা কবলিত মানুষের কাছে।
জল বাড়ার শুরু হতেই মানুষকে উদ্ধার করা হোক বা সাপে কামড়ে আক্রান্ত দুই বছরের শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হোক তাঁরা দিন রাত এক করেছে৷
এক ব্যক্তি বানের জলে ভেসে গিয়েছিল৷ স্থানীয় যুবকরা তাঁকে উদ্ধার করেন৷ তারপর তাঁর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেন। আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রেও নিয়ে যান৷ এই ূববিপদের সময় স্থানীয়দের পাশে এসে দাঁড়ালেন উদয়নারায়নপুর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির-সহ সভাপতি লক্ষীকান্ত দাস।
এ প্রসঙ্গে লক্ষীকান্ত দাস জানান, ‘‘বিপদে পাশে দাঁড়ানো হল মানুষের কর্তব্য। আর সেই দিক থেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব আরও বেশি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়কের নির্দেশ মতই আমরা এই কর্মকাণ্ডে শামিল রয়েছি।’’ ।
রাকেশ মাইতি