মালদহ: পেশায় তিনি শিক্ষক। কিন্তু তাঁর নেশা বিরল প্রজাতির আমগাছ রোপন। বাড়ির পাশেই রয়েছে তিনটি বিশাল আমবাগান। আর সেখানেই তিনি দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রোপন করেছেন। তাঁর বাগানে ফলছে জাপান, থাইল্যান্ড-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির আম।
যখনই কোনও নতুন প্রজাতির বিদেশি আমের চারার খোঁজ পান, নিয়ে এসে নিজের বাগানে রোপন করেন। এছাও তাঁর বাগানে রয়েছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রজাতির আম। রয়েছে মালদহের বিলুপ্ত প্রায় আমের গাছ। গত ৩০ বছর ধরে আম পাগল বিমান মণ্ডল আম গাছের পরিচর্যা করে চলেছে। নেশা তাঁর বিরল প্রজাতির আম গাছ সংগ্রহ করা। তাঁর সংগ্রহে এখনও পর্যন্ত রয়েছে প্রায় ১৫০ প্রজাতির আমগাছ।
মালদহের মাটিতে যে দেশি প্রজাতির আমের পাশাপাশি বিদেশি প্রজাতির আমের চাষ সম্ভব, তা প্রমাণ করা তাঁর উদ্দেশ্য। সেই দিক থেকে তিনি অনেকটাই সফল এবং দৃষ্টান্ত। জেলার মাটিতে ফলানো এসব আম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তুলে ধরাও তাঁর লক্ষ্য। বিমান মন্ডল বলেন, ১৫ বছর বয়স থেকে আম গাছের পরিচর্যা করছি। আমার লক্ষ্য মালদহের আম সবার মধ্যে তুলে ধরা। পাশাপাশি বিদেশি প্রজাতির আম জেলায় চাষ যে সম্ভব তা চাষীদের মধ্যে তুলে ধরা।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা বিমান মন্ডল। বাড়িতে আম বাগান আগে থেকেই রয়েছে। ১৫ বছর বয়স থেকে বিমানবাবু আম গাছের পরিচর্যা করে আসছেন। বর্তমানে তিনি একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। পাশাপাশি তাঁর নেশা বিরল প্রজাতির আম গাছ রোপন করে বাগান তৈরি। বর্তমানে তাঁর নিজের বাগানই হয়ে উঠেছে এখন আমের সংগ্রহশালা। আগ্রহী চাষিরা তাঁর কাছে পরামর্শ নিতে এলে সহাস্যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি বিভিন্ন প্রজাতির আমের কলম করে থাকেন তিনি। সেই চারা গাছ আশেপাশের কৃষকদের মধ্যে বিলি করে থাকেন।
হরষিত সিংহ