পশ্চিম মেদিনীপুর, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: এই ফল থেকে হাতে আসবে লাখ লাখ টাকা ! দেখে নিন কী করতে হবে Gallery July 11, 2024 Bangla Digital Desk প্রথাগতভাবে ধান চাষ নয়, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফলের চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন বহু চাষি। ধান চাষ করে লাভ না মেলায়, বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে একাধিক ফলের ফলন করে বার্ষিক বেশ আয় করছেন গ্রামীণ এলাকার চাষিরা। বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় এক ব্যক্তি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লাগিয়েছেন ড্রাগন ফ্রুট। শুধু ফল উৎপাদন নয়, চারা গাছ তৈরি করে রফতানি করছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তিনি স্থানীয় বাজার, ওড়িশা, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় উৎপাদিত ফলন বিক্রি করছেন। স্বাভাবিকভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লাগানো এই ড্রাগণ ফ্রুটের গাছ থেকে বার্ষিক লক্ষাধিক টাকা আয় হচ্ছে তার। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা মেনকাপুরে, প্রায় ৮৩ ডেসিমেল জায়গাতে এক ব্যক্তি বিজ্ঞানসম্মতভাবে ২০২১ সাল থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চাষ করছেন ড্রাগন। তার এই বাগান জুড়ে রয়েছে প্রায় ২৬ প্রজাতির ড্রাগন ফ্রুটের গাছ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গাছের পরিচর্যার পর বার্ষিক মোটা অংকের লাভ জুটছে তার পকেটে। স্বাভাবিকভাবে প্রান্তিক এলাকায় বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে ড্রাগণ ফ্রুটের চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার দিশা দেখাচ্ছেন তিনি। জেলার মেনকাপুরে কৌস্তভ দাস নামে এক ব্যক্তি ফার্ম করে ২০২১ সাল থেকে চাষ করছেন ড্রাগন ফ্রুট। উদপাদিত এই ফল তিনি ওড়িশার বালেশ্বর, মেদিনীপুর, খড়গপুর, বালিচক, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, এগরা সহ একাধিক বাজারে বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি তিনি গড়ে ১৫০ টাকা বিক্রি করেন। প্রতিবছরে পরিচর্যা, ওষুধ সহ একাধিক ক্ষেত্রে প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার টাকা(বছর প্রতি পরিবর্তিত হয়) খরচ হয়। সেক্ষেত্রে শেষ বছর তিনি প্রায় ১১ টন ড্রাগন ফ্রুট উৎপাদন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ৩০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে বেশ কয়েক হাজার চারাও বিক্রি করেছেন। স্বাভাবিকভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করে বেশ লাভ মিলছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভরতার দিশা।