কামির কুরেশি, আগরা: কী কাণ্ড! দীপাবলিতে ২০ হাজার টাকার মিষ্টি কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বাড়িতে এসে প্যাকেট খুলতেই সর্বনাশ। এসব কী বেরচ্ছে! সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে ফের দোকানে হাজির হন। দোকানদারের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি, “এসব কী দিয়েছেন?” অন্যান্য ক্রেতাদেরও ডেকে ডেকে দেখাতে থাকেন। রীতিমতো চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ18 বাংলা।
জানা গিয়েছে, ভিডিওটি আগ্রার বিখ্যাত মিষ্টির দোকানের। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তিনি ২০ হাজার টাকার মিষ্টি কিনেছিলেন। কিন্তু বাড়ি গিয়ে দেখেন, সব মিষ্টি থেকে পোকা বেরচ্ছে। তিনি ফের সমস্ত মিষ্টি বাক্সে ঢুকিয়ে দোকানে পৌঁছন। দোকানদারকে বিষয়টা জানান। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করছেন ওই ব্যক্তি। দোকানে এক তরুণী মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন। তাঁকে বলেন, “আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি একটা মিষ্টি ভেঙে দেখুন।” তরুণী প্যাকেট থেকে একটা মিষ্টি বের করে ভাঙতেই কিলবিল করে পোকা বেরতে শুরু করে। ভয়ে আঁতকে ওঠেন তরুণী। তবে ভিডিওটি কবে তোলা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- ‘গরিবের ড্রাই ফ্রুট’, বছরে ৩ মাস মেলে, শুকোনোর পর দাম বেড়ে যায় ১০ গুণ, শরীরের জন্যও ভাল
ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, ২০ হাজার টাকার মিষ্টিতে শুধু পোকা তো বেরিয়েছেই। এ কথা বলার জন্য দোকানদার তাঁর সঙ্গে দূর্ব্যবহারও করেছেন। এরপরই পকেট থেকে মোবাইল বের করে ভিডিও করতে শুরু করেন তিনি। সেই ভিডিওই পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয়, থানা এবং খাদ্য দফতরেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
দীপাবলিতে প্রায় সব বাড়িতেই মিষ্টি কেনা হয়। তার দু’দিন পরই ভাইফোঁটা। ফলে এই সময়টাকে মিষ্টির মরশুম বললেও ভুল হবে না। দোকানদারদের নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। হাঁফ ফেলতে পারছেন না কারিগররাও। ভিয়েনে বড় বড় কড়ার ছ্যাঁক ছোঁক লেগেই আছে। আবার এই সময়ে ভেজাল খাবারেরও রমরমা কারবার চলে। ওঁত পেতে থাকে ভেজাল কারবারিরা। তাই ভেজাল খাবার রুখতে দোকানগুলিতে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। খাবারে কোনও গড়বড় থাকলেই দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হচ্ছে আমজনতাকেও। যাচাই না করে কিছু কিনতে নিষেধ করা হচ্ছে খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে। এর মধ্যেই সামনে এল আগ্রার এই ঘটনা। এখন দোকান মালিকের বিরুদ্ধে খাদ্য দফতর কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।