লাল মাটিতে রক্তিম ফল

Money Making Tips: লাল রঙের এই ফল থেকে হাতে আসছে মোটা টাকা !

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার দামোদরপুরে অবস্থিত পরশমনিতে চাষ করা হচ্ছে ভাগুয়া বেদানা। এই ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন রকম গবেষণামূলক চাষ করা হয়। বাঁকুড়ার লাল রুক্ষতার মধ্যে কোনও ফসলের ফলন ভাল হতে পারে সেটা নিয়ে গবেষণা এবং গবেষণামূলক চাষাবাদ দুই হয়ে থাকে পরশমণি ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনে। সেরকমই এবার ভাগুয়া বেদানা চাষ করছে পরশমণি। পরীক্ষামূলক ভাবে ৯০টি বেদানা গাছ বসিয়ে বছরে দু’বার ফলনের আশা করছে পরশমণি। এক একটি ফল ৫০০-৬০০ গ্রাম আবার কখনও ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বাঁকুড়ার লাল মাটিকে ধরতে কিছুটা সময় লাগে এই বেদানার। যে কারণে ভিতরের শাঁসের রং লাল না হয়ে গোলাপী থাকে কিছুটা। পরীক্ষামূলক ভাবে আপাতত ৯০ টি বেদানা গাছ থেকে প্রায় কাগজে কলমে বেশ ভাল পরিমাণ ফলন আসতে পারে। বিক্রির জন্য বেশি দূরে না বাঁকুড়ার বাজারে প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পরশমণির বেদানা। কিছু কিছু গাছের বয়স কম হওয়ার কারণে কিছুটা ফল ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না যাতে গাছের কোনও ক্ষতি না হয় এবং ভবিষ্যতে ফলন আরও বাড়বে বলে আশা রাখছে পরশমনি।

আরও পড়ুন: এক বছরে ৬৩.৪৭ শতাংশ রিটার্ন! এই ৫ ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করে মালামাল

পরীক্ষামূলক চাষাবাদ ছাড়াও সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করে চাষ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বেদানা। জৈব পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি বেদানা গাছ বসিয়ে চাষ করে বছরে দুইবার ফলনের আশা করছে পরশমণি। মানব দেহের অজৈব খাদ্য বা অজৈব সারের মাধ্যমে উৎপাদিত খাদ্যের আসক্তি দূর করতেই এমনটা উদ্যোগ। আশীষ ভট্টাচার্য বলেন, “বাঁকুড়ার মাটিতে ভাগুয়া বেদানা বর্ষাকালে বেশ ভালই হয় তবে মিষ্টতা থাকলেও ভেতরে রঙটা কিছুটা গোলাপি হয়ে থাকে। “

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিমা নেওয়ার আগে দেখে নিন বদলে যাওয়া এই ৫ নিয়ম

“ব্লুবেরি” কে যেমন একটি ধন্বন্তরি ফল হিসেবে ধরা হয় ঠিক তেমনি বেদানাকে বলা হয় গরিবের “ব্লুবেরি”। যদিও দেখতে লাল তবুও খাদ্য গুন এবং মিষ্টতার কারণে এই ফল চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই পছন্দ করে থাকেন। বাঁকুড়া জেলাতে বেদানার চাষ বাড়লে আরও কম মূল্যে এই ফল পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী