মৃৎশিল্পী বিকাশ

West Medinipur News: প্রতিমা গড়ে চলে সংসার, মৃৎশিল্পীর গানের গলা অবাক করবে

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যন্ত গ্রামে সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। ছোট থেকেই দারিদ্রতা সঙ্গে লড়াই করে জীবনে বড় হয়ে ওঠা। সম্প্রতি বাবা মারা যাবার পর সামান্য বয়সে পরিবারের গোটা দায়িত্ব এসে পড়ে তার কাঁধে। মাটির মূর্তি বানিয়ে চলে তার দিন যাপন। তবে ছোট থেকেই তার ধ্যান ও জ্ঞান সঙ্গীত। যখনই সময় পায় তখনই কখনও হারমোনিয়াম আবার কখনও গিটার নিয়ে বসে পড়ে গানের রেওয়াজ করতে। সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর সকাল কিংবা সন্ধ্যায় নিয়মিত রেওয়াজ করে সে। গানের গলা শুনলে যে কেউ মুগ্ধ হবে। গানকে ভালোবেসে গানের সঙ্গে দিনযাপন এবং সারাদিনের এই যুবকের সংগ্রাম চোখে জল আনবে সকলের।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সাগরপুরের বাসিন্দা বিকাশ মাইতি। ছোট থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা তার। পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে বেশিদূর পড়াশোনা করা হয়নি। ছোট থেকে তেমন প্রথাগত কোনও তালিমও জোটেনি। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়ে ওঠা। বাবার অসুস্থতা থেকেই হাল ধরতে হয়েছিল সংসারের। এরপর বাবা মারা যাবার পর সংসারের পুরো দায়িত্ব এখন তার কাঁধে। তবে বড় হতেই তিনি শুরু করেছেন গান বাজনার চর্চা ও প্রশিক্ষণ। সারাদিনে কাজের পর যেটুকু সময় পান তাতেই তিনি গানের রেওয়াজ করেন।

প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকে বড় হয়ে ওঠা। পেশাগতভাবে তিনি মৃৎশিল্পী। বছরের বিভিন্ন সময়ে মাটির প্রতিমা গড়ে সংসার চালাতে হয় তাকে। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা হলেও সঙ্গীত তার আত্মার আত্মীয়। বর্তমানে তিনি সামান্য স্টেজ প্রোগ্রামও করেন। সামনেই দুর্গাপুজো। দিনে-রাত এক করে প্রতিমা গড়তে মরিয়া শিল্পী বিকাশ। শুধু তাই নয় এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের জন্য নিয়মিত রেওয়াজ করে সঙ্গীতশিল্পী বিকাশ।

আরও পড়ুনঃ India vs Bangladesh: ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন শামির ‘শিষ্য’! গুরু বিদ্যাতেই সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী তরুণ পেসার

একটা সময় তার মনে হয়েছিল গান-বাজনা তার হবেনা, নিজের জেদ এবং কঠোর পরিশ্রমে গানের গলাকে ধরে রেখেছেন তিনি।শিখছেন নিজের মত করে। স্বাভাবিকভাবে তার প্রতিভা হাতের কাজ এবং গানের গলার সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।

রঞ্জন চন্দ