পাঁশকুড়ার ৪০০ বছরের পুরানো কালী মন্দির

Ancinet Kali Temple: ফলহারিণী অমাবস্যা তিথিতে বার্ষিক পুজো উপলক্ষে সাজো সাজো রব ৪০০ বছরের প্রাচীন এই কালীমন্দিরে

সৈকত শী, পাঁশকুড়া: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের একটি ৪০০ বছরের প্রাচীন কালী মন্দিরে বার্ষিক তিথির পুজো হয় এক মাস ধরে।  বিভিন্ন জায়গায় এই প্রাচীন কালী মন্দিরগুলির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস চমকপ্রদ। লৌকিক কাহিনির পাশাপাশি অলৌকিক কাহিনিও আছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা হলেও এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন কালী মন্দির লক্ষ করা যায়। কালের নিয়মে কিছু ভগ্ন প্রায় হলেও বেশ কিছু আবার সংস্কার করে পুজোপাঠ চলে আসছে প্রাচীন দিন থেকেই।

সেরকমই একটি কালীমন্দির রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকে উড়িয়াগড় ফতেচক ফলহারিণী কালীমন্দির। এই মন্দির প্রায় ৪০০ বছরের বেশি পুরনো। এই মন্দিরে উত্থান ইতিহাসে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনী।  মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই আজও পুজো হয়ে আসছে। এই মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল প্রতি বছর বার্ষিক পুজো হয় একমাস ধরে। প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে শুরু হয় পুজো।

আরও পড়ুন : এই নীল ফুল ও এই সাদা ফল নিবেদন করুন ব্রহ্মচারী বাবা লোকনাথের পুজোয়, তাঁর আশীর্বাদে ভরে থাকবে আপনার জীবন

এক মাস ধরে হয় পুজোপাঠ ও এক মাস পর প্রতিমার বিসর্জন ও নিরঞ্জন হয়। পুজোর এই একমাস ধরে চলে মেলা। জেলার পাশাপাশি ভিন জেলার নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসেই মন্দিরে পুজো দেন। এই মন্দিরের পূজোপাঠের বিষয়ে মন্দির কমিটির এক সদস্য জানান, ‘এবছর বার্ষিক তিথির পুজো পাঠ শুরু হবে ৫ জুন অমাবস্যা তিথিতে। শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতি। এই প্রাচীন মন্দির নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।

পুজো চলবে এক মাস ধরে। অম্বুবাচী, পূর্ণিমা তিথিতে বিশেষ পুজো পাঠ হয়। প্রাচীন রীতিনীতি অনুসারে এই মন্দিরে পুজো হয়। পুজোর এই একমাস ধরে চলবে মেলা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও হাওড়া জেলার ভক্তরা এসে এই মন্দিরে পুজো দেন।’ পাঁশকুড়ার এই কালী মন্দির পুজো উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি।