আবীর ঘোষাল, কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডল কি বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য? জেলার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে যারা অবহিত তারা বলছেন না! অনুব্রত মণ্ডল কোর কমিটির সদস্য নন ৷ তিনি জেলবন্দি হওয়ার পরে, দল পরিচালনা করার জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোর কমিটি তৈরি করেন। আর সেই কোর কমিটি জেলায় পঞ্চায়েত ও লোকসভা উভয় নির্বাচনেই সাফল্য এনে দিয়েছে ৷
এমনকী, ২০২১ সালের বিধানসভায় একমাত্র পিছিয়ে থাকা আসন যা বিজেপির দখলে যায় সেই দুবরাজপুরেও লোকসভায় লিড নিতে পেরেছে শাসক দল। এহেন অবস্থায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন ঘিরে বীরভূমে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যে দূরত্বের আভাস পাওয়া গিয়েছে, তাতে নতুন করে জলঘোলা তৈরি হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের একটা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার রাতে বিজয়া সম্মিলনীর দলীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, কালীপূজা, ভাইফোঁটা মিটলেই কোর কমিটির বৈঠক ডাকবেন। সেখানে পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে ৷ আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, যিনি কোর কমিটির সদস্য নন, তিনি কী করে কোর কমিটির মিটিং ডাকবেন।
দলীয় কর্মসূচি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে শাসক দলের জেলার নেতাদের মধ্যেই৷ কোর কমিটিকে যথাযথ ভাবে না জানিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয়েছিল বলে অনেকে জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয় তার দলের শীর্ষ নেতৃত্বর। এরপর কোর কমিটির সদস্যদের জনে জনে ফোন করে বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে কথা বলেছেন বিকাশ। তাতে স্বাভাবিক হয়েছে অভ্যন্তরীণ মেলামেশা। তবে অনুব্রত ফিরে আসার পরে কোর কমিটি না সেই জেলা সভাপতির কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা ৷ তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে।
আরও পড়ুন– কালীপুজোয় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা কোন কোন জেলায়? ভাইফোঁটার দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
এই আলোচনার অন্যতম চরিত্র কাজল শেখ অবশ্য বলছেন, কোর কমিটির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বৈঠক হোক। এতে কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু মাসে যেখানে চারবার বৈঠক হবার কথা সেখানে একবারও কেন হল না? আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী অবশ্য বলছেন, হ্যাঁ বৈঠক হবে শীঘ্রই। বীরভূমের রাজনীতিতে সেই দিকেই চেয়ে এখন সকলে।।