হারিয়ে যাওয়া অষ্টক গান

Ashtak Song-Viral:কেউ শিব, কেউ কালী, কেউ বা অসুর! হারিয়ে যাচ্ছে অষ্টকের দল, গান! জানুন করুণ কাহিনি

নদিয়া: চড়ক কিংবা গাজনেই দেখা মেলে প্রায় হারিয়ে যাওয়া গ্রামবাংলায় ঘুরে বেড়ানো অতিপরিচিত অষ্টকগান। বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং কর্ম ব্যস্ততা মানুষের গ্রামবাংলা থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু ধর্মীয় রীতিনীতি সৃষ্টি সংস্কৃতি। যার মধ্যে অন্যতম অষ্টক গান। মূলত চৈত্রসংক্রান্তিতে দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অষ্টকগান পরিবেশন করতেন। গৃ্স্থরা তাঁদের সাধ্যমত, চাল, ডাল, অর্থকড়ি দিয়ে সন্তুষ্ট করতেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি দলে বাদক, গায়ক ও নৃত্যদল থাকত। সমবেত কণ্ঠে শিল্পীদের সঙ্গে শিব, পার্বতী, কালী, অসুর, ইত্যাদি চরিত্রে অভিনেতারা মুখোশ ও সাজসজ্জা গ্রহণ করে নৃত্যাভিনয় করত।

ছোট দলগুলোর এই গানের প্রধান বাদ্যযন্ত্র ছিল কাঁসা এবং ঢোল। অনেক সময় সুর ঠিক রাখার জন্য গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে মূল গায়ক নেচে নেচে গাইতেন। কিন্তু বড় দলগুলোতে বাঁশি, ঢোল, হারমনিয়াম, মন্দিরা ও খোল ব্যবহার করা হত। এই গানে অষ্ট চরিত্রের সমন্বয় ঘটে বলে এ গানের নাম অষ্টক। এই মতে- অষ্ট চরিত্র হল রাধা, কৃষ্ণ, সুবল, বিশাখা, ললিতা, বৃন্দা, বড়িমাই ও বলরাম। এই চরিত্রগুলোর সঙ্গে শিব অনুপস্থিত। সম্ভবত বৈষ্ণবরা শিবের উদ্দেশ্যে রচিত গানের আদলে, রাধা-কৃষ্ণের লীলা ভিত্তিক এই জাতীয় অষ্টক গান তৈরি করেছিলেন।

আরও পড়ুন:  সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর আগে এই বিষয়গুলো শেখান! ভুলেও শিশুর সামনে এই কাজ করবেন না!

যে কোনও ধর্মই অনুষ্ঠানে কলাকুশলীদের দেখা মিলত, যা আজ লুপ্তপ্রায়। আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ল এমনই এক চিত্র, পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে গ্রাম বাংলার পৌরাণিক শ্রুতি নাটক নাম অষ্টকগান ।পৌষ সংক্রান্তির তিন দিন আগে থেকে প্রতিটা বাড়িতে অষ্টগানের দল নিয়ে গান শুনিয়ে পয়সা, চাল ,সবজি সংগ্রহ করে পৌষ সংক্রান্তির দিন মাঠে অথবা বনে সবাই মিলে বনভোজন করা কার্যত একটি উৎসবে পরিণত হত, তবে এখন বিলুপ্তির পথে এই অষ্টকগান , কিছুটা ম্লান হলেও নদিয়া জেলার শান্তিপুর স্টিমারঘাট এলাকার নীল পুজো উপলক্ষে অষ্টক গান এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে আসছে বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে ! জানুন এই শিল্পীদের হতাশা, না পাওয়ার কথা!

Mainak Debnath