দোকান বন্ধ করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ল বিজেপি ও তৃণমূল, পরিস্থিতি সামাল

Bangla Bandh BJP: বনধ সমর্থক ও বিরোধীরা মুখোমুখি, ঝাড়গ্রামে পরিস্থিতি সামলাল পুলিশ

ঝাড়গ্রাম: বনধের সমর্থনে এবং বনধের বিরোধীতায় ঝাড়গ্রাম শহরে পথে নামলেন বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকরা। এক সময় দু’পক্ষকেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই রাস্তায় বেসরকারি বাস থেকে শুরু করে পণ্যবাহী লরির দেখা নেই। ঝাড়গ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছে দূরপাল্লার বহু বাস। কেবলমাত্র কয়েকটা সরকারি বাস চলতে দেখা গিয়েছে। অবশ্য রাস্তায় বাস না থাকলেও মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য শহরে কয়েকশো টোটো চলাচল করছে। বেলপাহাড়ি, শিলদা, বিনপুর, গোপীবল্লভপুর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী টোটোগুলির দেখা মিলেছে।

এছাড়াও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বেশ কিছু জায়গায় দোকানদারদের দোকান খুলতে দেখা যায়। ব্যাঙ্ক, স্কুল, পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গেটে বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা বেঁধে দেন, যার জেরে ব্যাঙ্কের কর্মীরা প্রবেশ করতে পারেননি। গাড়ি না চলাচল করায় মাছ পৌঁছয়নি ঝাড়গ্রামে। অপরদিকে স্বাভাবিক দিনের মতই স্বাভাবিক ছন্দে দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রামের সবজি বাজারকে। দেদার চলছে বেচাকেনা। সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম শহরে বনধের সমর্থনে বাইক মিছিল করে বিজেপি। ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা বনধের বিরোধিতায় এবং বাজারকে সচল রাখতে পাল্টা বাইক মিছিল করেন।

আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৩০ বছর পর সরস্বতী নদী সংস্কার শুরু হতেই বাধা দিলেন গ্রামবাসীরা! কেন জানেন?

ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, আজকের এই বনধ আমরা মানছি না, মানব না। সমস্ত দোকানপাট খোলা রয়েছে। গাড়ি চলাচল করছে। আপনারা দেখেছেন কর্মনাশা বনধ করলে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়। তাই আমরা কোনওমতেই বনধ করতে দেব না। ঝাড়গ্রাম সচল রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আজকের এই বাংলা বনধ মানুষ সমর্থন করেছে। এই বিষয়ে জেলা বিজেপির যুব নেতা রনজিৎ সেন বলেন, ঝাড়গ্রামের মানুষ বাংলা বনধকে সমর্থন করেছে। সকাল থেকে রাস্তায় কোনও গাড়ির দেখা নেই। বাজার, দোকান বন্ধ রয়েছে। তৃণমূলের কিছু কর্মী সমর্থক জোর করে দোকানদারদের দোকান খুলতে বাধ্য করছে।

বুদ্ধদেব বেরা