নদিয়া: সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে গতকাল নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই অভিযানে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে বিজেপি বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় রাজ্যজুড়ে।
একদিকে বনধ সর্বাত্মক করে তুলতে সকাল থেকেই বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বিভিন্ন মণ্ডলের সভাপতিরা যেমন রেলস্টেশন, জাতীয় সড়ক, বিভিন্ন বাজার পথের পাশের দোকানদারদের অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলেন। যদিও সর্বক্ষেত্রেই যে পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল এমন নয়।
সংসদের কথা অনুযায়ী রেলওয়ের যে সীমানার মধ্যে জিআরপি কিংবা আরপিএফ থাকার কথা সে জায়গায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের জেলা আধিকারিকরা সমস্ত হাজির, তাকে রেল অবরোধ থেকে বিরত রাখার জন্য। সংসদের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলকাতায় মিটিং থাকার জন্যই শাসক দলকে খুশি করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন।’’
রেল অবরোধ চলাকালীন সুদীপ বিশ্বাস নামে এক ছাত্রনেতার অভিযোগ, তিনি কাজে যেতে পারছেন না বলে বনধের পালনকারীদের কাছে প্রশ্ন করতে গেলে রোষের মুখে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। তাঁর দাবি সাংসদের নির্দেশেই তাকে মারধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে তিনি জানাবেন বলেই জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দায় অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উল্টো চাল শুরু হবে বৃহস্পতির! কপাল খুলে যাবে ৩ রাশির, ধনসম্পদে উপচে পড়বে ঘর, সৌভাগ্যের সেরা সময়
জানানো হয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই বনধপালিত হচ্ছে সেখানে নিজেকে বিতর্কিত করে নিজের দল এবং বিরোধী দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বাড়ানোর অপচেষ্টা করেছে সে, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।
অন্যদিকে বেলঘড়িয়া দুই নম্বর পঞ্চায়েতের ঘোড়ালিয়াএলাকায় বিজেপি নেতৃত্ব নির্মল বিশ্বাস এবং প্রাক্তন উপপ্রধান বিপ্লব প্রামানিককে মারধর করা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান বর্ণালী বর্মন এবং বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী উপস্থিত থাকা কালীন। তারা অভিযোগ করে বলেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত বনধ পালন করলেও বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে দোকান খোলার চেষ্টা করছে তৃণমূল প্রধান বর্ণালী বর্মন, আর সেই কথা বলতে গিয়েই তার ওপর চড়াও হয় তার দল বল।
যদিও এ বিষয়ে বর্ণালী বর্মন বলেন, “সকালবেলাতেও বাজার করতে এসে দেখে গিয়েছি সমস্ত কিছু খোলা। কিন্তু হঠাৎই জোর করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দোকানদারদের ভয় দেখিয়ে বনধ পালন করতে বাধ্য করছে। তাই তাদের অভয়দানের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” সুতরাং বলা যেতে পারে গোটা জেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল বিজেপির ডাকা বনধের।
Mainak Debnath