দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান

Bangla News: ফের পথে নামল বুলডোজ়ার, দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু বর্ধমানে

বর্ধমান: ফের হকার উচ্ছেদে বুলডোজার চলল বর্ধমান শহরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বর্ধমান হাসপাতাল সংলগ্ন নার্স কোয়াটার মোড় থেকে কৃষ্ণসার পার্ক পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বর্ধমান পৌরসভা। বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয় ফুটপাত দখল করে থাকা একাধিক দোকান।

দোকানদারদের অভিযোগ, পৌরসভা আগে থেকেই জানত কত হকার রয়েছে এই এলাকায়। কারণ তাদের দোকানে ইলেকট্রিক কানেকশন দিয়েছে বর্ধমান পৌরসভা। তাহলে এখন কেন হঠাৎ করে বিনা নোটিশে দোকান ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে?

আরও পড়ুন:কোন ‘ভিটামিনের’ অভাবে চুল ‘পেকে’ যায় বলুন তো…? চমকে দেবে গবেষণা! সতর্ক না হলে অকালেই বুড়ো!

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, এসডিও নর্থ তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, বর্ধমান পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলর সহ পৌরসভার আধিকারিকরা। ছিল বর্ধমান থানার পুলিশও।

পুরসভার বক্তব্য, নোটিস দিয়েছিল প্রশাসন। জবর দখল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। অনেকে দোকানের মালপত্র সরিয়ে নেয়। সময়সীমা পেরোতেই বৃহস্পতিবার আবারও ময়দানে নামল বুলডোজ়ার। এদিন দ্বিতীয় দফার অভিযানে নামে বর্ধমান পুরসভা। অভিযানে ছিলেন চেয়ারম্যান পরেশ সরকার, সদর মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস-সহ পুলিশ ও পুরসভার আধিকারিকরা।

এই অভিযানকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় নার্স কোয়ার্টার মোড়, শ্যামলাল, বাবুরবাগ-সহ একাধিক জায়গায়। তুমুল অশান্তি শুরু হয় এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন বিক্রেতাদের পরিবারের লোকজন। পথে নেমে আসেন স্ত্রী, সন্তানরাও। মাঝ রাস্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এতদিনের ব্যবসা। এভাবে কোনও বিকল্প পথ ছাড়া কীভাবে প্রশাসন এতটা কঠোর হচ্ছে?

বৃহস্পতিবারের অভিযানে শহরের নার্স কোয়ার্টার মোড় থেকে শুরু করে শ্যামলাল, বাবুরবাগ হয়ে বর্ধমান হাসপাতালের কাছের রাস্তাগুলি থেকে হকার ও দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। কিছু লোক আগেই দোকান সরিয়ে নিয়েছিলেন। বাকি দোকানপাট বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এই অভিযানে দু’টি জেসিবি মেশিন নামানো হয়।

এই অভিযান নিয়ে কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় বলেন,”পুলিশ, এসডিও, চেয়ারম্যান, আমরা সকলে এসেছি। নার্স কোয়ার্টার, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেল চত্বর দখল মুক্ত করা হচ্ছে। যান চলাচল, যাতায়াতের অসুবিধা করলে সেটা আমরা দেখব। আমরা হকারভাইদের কোনও সমস্যায় ফেলতে চাই না, একইভাবে আমরা পুরবাসীরও কোনও সমস্যা চাই না। তাই সবদিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”