Tag Archives: eviction

Bangla Video: জলাশয় ভরাট করলেই FIR, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা

মালদহ: ব্যাক্তিগত পুকুর বা জলাশয় থাকলেও ভরাট করা যায় না। তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট করেই চলেছে একশ্রেণির মানুষজন। তা নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সরকারি বা বেসরকারি যে কোন‌ও ধরণের জলাশয় ভরাট করলেই এবার এফআইআর করবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

জলাশয় ভরাট করলেই এবার থেকে আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি সরকারিভাবে ভরাট করা জলাশয় পুনরায় উদ্ধার করা হবে। সমস্ত খরচ আইন মেনে দিতে হবে অভিযুক্তকে। সরকারি বা বেসরকারি পুকুর, জলাশয় ভরা রুখতে সরকারি এই আইন বা নির্দেশিকার উপর জোর দিয়ে প্রচার শুরু করছে মালদহ জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্নভাবে প্রচার অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। শুধু তাই নয়, জেলা জুড়ে সরকারি জমি একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন দফতরের সরকারি জমির কোন‌ও নথি নেই প্রশাসনের কাছে। সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে এবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: উচ্ছেদ নয়, হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা

অতিরিক্ত জেলাশাসক( ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দেবাহুতী ইন্দ্র বলেন, সরকারি হোক বা বেসরকারি, জলাজমি ভরাট করলেই এফআইআর করা হবে। নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনের ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বৈঠকে সরকারি জমি পুনরুদ্ধার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত, জলাশয় ভরাট বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেইমত মালদহ জেলা প্রশাসন সমস্ত দফতরের কর্তা আধিকারিক, জেলার প্রতিটি ব্লকের বিএলআরওদের নিয়ে একটি বৈঠক করে। সরকারি জমি দখলমুক্ত করা সহ বিভিন্ন বিষয় যেগুলি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়। সরকারিভাবে জেলার সমস্ত সরকারি জমিগুলি চিহ্নিত করে বোর্ড লাগানো হবে। সেই বোর্ডে উল্লেখ থাকবে সেটি সরকারি জমি, কোনও সাধারণ মানুষ সেটি ব্যবহার করতে পারবে না। এছাড়াও কোথাও সরকারি জমির উপর কোন‌ও পরিবার বসবাস করলে তাদের পাট্টা বিলির বিষয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে জেলা জুড়ে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট বন্ধ করার উপর। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পক্ষ থেকে একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। যারা নিয়মিত জেলার প্রতিটি প্রান্তের পুকুর ও জলাভূমিগুলির উপর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনও জলাভূমি ভরাট হলে তৎক্ষণাৎ আইনত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই বিষয়ে সচেতন করতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

হরষিত সিংহ

Hawker Eviction: উচ্ছেদ নয়, হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা

বাঁকুড়া: উচ্ছেদ নয়। ভালভাবে হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত থেকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন‌ই ঘটনা নজরে এল বাঁকুড়া পুর এলাকায়। পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার, উপ-পুরপ্রধান হিরণ চট্টরাজ এবং বাঁকুড়া থানার আইসি সহ আধিকারিকরা বুধবার দুপুরে দলবেঁধে এই পদক্ষেপে সামিল হন। এদিন তাঁরা হাজির হন বাঁকুড়া শহরের মাচান তলায়। এখানে গোটা ফুটপাতই প্রায় হকারদের কবলে চলে গিয়েছে।

বাঁকুড়ার মাচান তলায় পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। আর ফুটপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের বেআইনিভাবে জবরদখল করে গড়ে তোলা দোকান ঘর! এর ফলে শহরে বাড়ছে যানজট, অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঠিক সময়ে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারছে না। আর তাই বাঁকুড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাচানতলাকে হকার মুক্ত করে ফুটপাত পথ পথচারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার। যদিও তা গায়ের জোরে নয়, বরং বুঝিয়ে শুনিয়ে কার্যোদ্ধারের চেষ্টা করছেন পুরোকর্তারা।

আরও পড়ুন: দীর্ঘস্থায়ী বর্ষার আশঙ্কায় আগাম প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সুন্দরবনের শিল্পীরা

অভিযানে বেরিয়ে খুব স্পষ্ট করেই বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, উচ্ছেদ নয়। হকারদের স্থানান্তর করা হবে। যেখানে হকাররা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এদিকে শহরের সাইকেল স্ট্যান্ড হকারদের জবরদখলে চলে যাওয়া নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শহরের সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেছেন, সাইকেল স্ট্যান্ডে যে ব্যবসায়ীরা স্টল দিয়েছেন তাঁদেরকে মিটিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের কিশান মান্ডিতে গিয়ে বসার জন্য। আমরা হকারদের কথা চিন্তা করেই কাজ করার চেষ্টা করছি, যাতে তাঁরাও ব্যাবসা করে সংসার চালাতে পারেন।

তবে এই প্রক্রিয়া আদৌ কার্যকরী হবে কিনা সেই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। আদৌ হকাররা পুরসভার এই উদ্যোগে সম্মত হবেন কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Hawker Rehabilitation: শুধু উচ্ছেদ নয়, মালদহে পুনর্বাসন দেওয়া হবে হকারদের

মালদহ: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর রাজ্যজুড়ে ফুটপাথ ও সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় আছে মালদহ জেলার নাম‌ও। মালদহ শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখল হয়ে আছে। সেগুলি মুক্ত করার কাজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফলে এই দখলমুক্ত অভিযান সমর্থন পাচ্ছে এখানকার হকারদের‌ও।

শুধুমাত্র ফুটপাত নয়, মালদহ শহরের বেশ কিছু রাস্তার উপরেও ঠেলাগাড়ি করে দোকান বসছে। তবে এই সমস্ত ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করলে সমস্যায় পড়বে তাঁদের পরিবার‌ও। তাই শুধুমাত্র উচ্ছেদ নয়, পাশাপাশি তাঁদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মালদহ শহরের সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ী ও অস্থায়ী বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মালদহ শহর জুড়ে হকার্স সার্ভে। শহরে কত হকার রয়েছেন, কত ভ্রাম্যমান দোকান আছে বা অস্থায়ী দোকান রয়েছে এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়াই বান্ধবীকে বাইকে চাপিয়ে দুরন্ত গতিতে দৌড়! দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু

পুরপ্রধান শুভময় বসু বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে সার্ভে করা হবে। আগামীতে আবারও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে।

ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে এই সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে শেষে রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পেশ করা হবে। এই সার্ভের পর চলতি সপ্তাহের শেষে আবারও জেলার প্রশাসন ও পুরসভার মধ্যে একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে হকার ও অস্থায়ী দোকানদারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার ১ নম্বর থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এই সার্ভে চলবে। পাশাপাশি কেজে সান্যাল রোড থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ পর্যন্ত নো হকার্স জোন করা হবে। এই রাস্তাটি মালদহ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। এখানে অস্থায়ী দোকান বসায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারী থেকে গাড়িচালকদের।

এদিকে সূত্রের খবর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের মধ্যে সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানে হকার ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান দোকানগুলি নিয়ে আগামীতে কিছু চিন্তা ভাবনা করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। মূলত খাবার দোকান ভ্রাম্যমানভাবে শহরের কিছু রাস্তায় বসে। কীভাবে তারা দোকান করতে পারবেন সে ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি হকাররাও।

হরষিত সিংহ

Footpath Eviction: পুরসভার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও দখলমুক্ত অভিযান শুরু

উত্তর ২৪ পরগনা: পুর এলাকার পর এবার পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হল জবরদখল মুক্ত অভিযান। হাসনাবাদ-১ ব্লকের চৌমাথা এলাকায় বেআইনিভাবে ফুটপাত দখল করে বসে থাকা হকারদের তুলে দিয়ে পথচারীদের জন্য রাস্তা ফেরানোর অভিযানে নামল জেলা প্রশাসন।

দীর্ঘদিন ধরে মালঞ্চ রোড, মুরারিশা চৌমাথায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা পাধ্যায়ের ঘোষণার পরপরই ফুটপাত দখলমুক্ত করার এই উচ্ছেদ অভিযানে নামল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এই উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি এসকেন্দার গাজি, হাসনাবাদ থানার আইসি সহ পুলিশ প্রশাসন।

আর‌ও পড়ুন: অঙ্ক ও বিজ্ঞানে ভীতি কাটাতে স্কুলের বিরাট আয়োজন, খুশি অভিভাবকরাও

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রশাসনিক করতে জানিয়েছেন প্রথমে ফুটপাতে বসে থাকা হকারদের উঠে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। তারপরেও যারা কথা শুনবে না তাদেরকে তুলে দেওয়া হবে।

এদিকে হাসনাবাদের হকাররা জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাঁরা সেটাই করবেন। কারণ তাঁদের জন্য পথচারীদের অসুবিধা হোক সেটা চান না বলে জানান। যদিও বেশ কিছু হকার জানিয়েছেন, কোন‌ওরকমে রাস্তার উপরে বসে ব্যবসা করছিলাম। কিন্তু এর ফলে সেই ব্যবসাটাই হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে। ফোনে কী করে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছেন না বলে গভীর চিন্তা প্রকাশ করেন।

জুলফিকার মোল্যা

Traffic Jam: ‌অবশেষে যানজট মুক্ত হ‌ওয়ার পথে রানিহাটি

হাওড়া: ‌যানজট মুক্ত হওয়ার পথে রানিহাটি। দীর্ষ সমস্যার সমাধান হতে চলেছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের এই অংশে। অফিস ফিরতি সময়ে কলকাতা ও কোলাঘাটগামী উভয় লেনে যানজট প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ক্রমশ বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হাওড়ার এই জাতীয় সড়কের। যানজটে জাতীয় সড়কের পাশাপশি রানিহাটি-আমতা রোডেও যানজট যাত্রী ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে জাতীয় সড়ক বা আমতা রানিহাটি হয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলের মত জরুরি পরিষেবাতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে এই যানজটে। তবে অবশেষে সেই দুর্ভোগ দূর হতে চলেছে।

বেআইনি নির্মাণ ও রাস্তার উপর যত্রতত্র টোটো, অটো, ট্রাকের পার্কিং রানিহাটির যানজট সমস্যাকে আরও জটিল করছে। সমস্যার সমাধানে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য গত কয়েকদিন যাবত জাতীয় সড়কে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ চলছে। সেই মত হাওড়ার রানিহাটিতেও দখলদার উচ্ছেদ হয়েছে। এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা স্বস্তির মুখ দেখেছেন।

আর‌ও পড়ুন: অ্যাপ্রোচ রোডে মাটি পড়লেও সেতু ব্যবহারে ভয় স্থানীয়দের, সুন্দরবনে এ কী কাণ্ড!

এখন জাতীয় সড়কে উড়ালপুল এবং সার্ভিস রোড নির্মাণ হলে দূরপাল্লার যানবাহন বিনা বাধায় যেতে পারবে। একইসঙ্গে জাতীয় সড়কের নিচে আন্ডারপাস হলে সহজেই রানিহাটি-আমতা রোডে বিনা বাধায় যান চলাচল করতে পারবে। এতে আমজনতা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। এই প্রসঙ্গে জাতীয় সড়ক ইনসিডেন্ট ম্যানেজার অশোক কুমার পায়রা জানান, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা সম্পূর্ণরূপে কম করা সম্ভব। এর জন্য অবৈধ পার্কিং, অবৈধ কাটিং এবং আন অথরাইজড এনক্লোজমেন্ট দূর করতে হবে। এই সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় নেতাদের এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে কোনওভাবে জাতীয় সড়ক বাধা প্রাপ্ত বা নিয়ম ভঙ্গ না হয়। স্থানীয়দের আশা খুব শীঘ্রই এই যানজটের সমস্যা দূর হতে চলেছে।

রাকেশ মাইতি

Footpath Eviction: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করতে হবে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত! সতর্কবার্তা পেতেই যা করলেন হকাররা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মালপত্র গুটিয়ে নিয়ে। খালি করে দিতে হবে রাস্তা। বারুইপুরে বাইপাস এলাকার নয়নজুলির পাড়ে অবস্থিত দোকানগুলোর জন্য এমন‌ই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে।

বারুইপুর থানার পক্ষ থেকে বারুইপুর বাইপাসের ধারে খালের পাশে রাস্তা দখল করে বসে থাকা দোকানগুলি তুলে ফুটপাত পুনরুদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানদারদের উঠে যাওয়া নির্দোষ দিয়েছে থানা। বারুইপুর শাসন থেকে বংশী বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বেআইনি দোকান আছে। এই সবগুলিকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: রাস্তায় বেরিয়ে প্রকৃতির ডাক এলেই হাজির হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান বায়ো টয়লেট!

রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক ফুটপাত মুক্ত নীতি মেনে এই পদক্ষেপ করেছে বারুইপুর থানা। তবে ফুটপাত জুড়ে সেখানে যে কেবল হকাররা দোকান দিয়ে বসে আছে তা নয়। বেশ কিছু গাড়ি, টোটো ফুটপাতে রাখা থাকে। সেগুলোও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ সময় সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর দোকানের জিনিসপত্র গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন হকাররা।

সুমন সাহা

Footpath Eviction: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর ফুটপাত খালি করতে অতি তৎপর প্রশাসন, চোখে জল হকারদের

উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল করেই চলছিল দোকান। কারোর দোকানের বয়স ২০ বছর তো কারোর আবার ৩০। এই দোকানের ভরসাতেই হকারদের সংসার চলে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাম্প্রতিক এক প্রশাসনিক বৈঠকে। তারপরই দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত ফিরিয়ে আনতে অতি তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন। আর তাতেই চোখে জল অসহায় হকারদের।

দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে এসেছেন হকাররা। ফুটপাতে বসার ক্ষেত্রে তাঁরা কারোর অনুমতি নেননি। যা এক অর্থে বেআইনি কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলতে চলতে গোটা বিষয়টায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এতদিন পুলিশ বা প্রশাসন কেউ আপত্তিও করেনি। এদিকে জেলা প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর দোকান ভেঙে দেওয়ায় আকুল পাথারে পড়েছেন হকাররা।

আর‌ও পড়ুন: দখল করা জলাভূমিও উদ্ধার করবে জেলা প্রশাসন! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুরু অভিযান

হঠাৎই মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ফুটপাত দখল মুক্ত করা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আর তাতে ঘোরতর সমস্যায় পড়েছেন রাস্তার ধারে অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পেট চালানো ছোট ব্যবসায়ী ও হকাররা। চোখের সামনেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে জীবিকার আস্তানা। এরপর কী হবে, সংসার চলবে কি করে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। বিকল্প ব্যবস্থা না করেই এভাবে বিধাননগর, সল্টলেক এলাকায় ফুটপাত দখল মুক্ত করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় শতাধিক ছোট ব্যবসায়ী।

এদিকে এতদিন কিছু না বলে হঠাৎ করে কেন হুঁশ ফিরল প্রশাসনের তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সল্টলেকের নাগরিকরা। এই ছোট ব্যবসায়ী ও হকাররা যখন ফুটপাতে বসেছিলেন তখন কেন প্রশাসন বাধা দেয়নি সেই প্রশ্ন তুলছেন নাগরিকরা। ফুটপাতে দোকান করে ব্যবসা চালানো এইসব ব্যবসায়ীদের দাবি, বিকল্প একটা কোন‌ও ব্যবস্থা করে তবেই প্রশাসনের তরফ থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা গ্রহণযোগ্য হত।

এদিন উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায় স্থানীয় ওই সকল ব্যবসায়ীদের। বিধাননগর দক্ষিণ থানার ১৬ নম্বর ট্যাঙ্ক লাগোয়া কেবি ব্লকের ফুটপাতের উপর বেআইনি দোকানগুলোকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিধাননগর পুরনিগম এবং দক্ষিণ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। অপরদিকে, নিউটাউন কোল ভবন সংলগ্ন ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকানগুলোকেও ভেঙে ফেলা হচ্ছে এনকেডিএ কর্তৃপক্ষ এবং নিউটাউন থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। উচ্ছেদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Filled Wetland Reclamation: দখল করা জলাভূমিও উদ্ধার করবে জেলা প্রশাসন! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুরু অভিযান

আলিপুরদুয়ার: শহরে জল জমার সমস্যার জন্য দায়ী অবৈধ পথে জলাভূমি ভরাট করে ফেলা। ফলে আলিপুরদুয়ার শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পর এবার নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আলিপুরদুয়ার শহরে শুরু হয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ। এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে ভরাট করা জলাভূমিও উদ্ধার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন, মুখমন্ত্রীর নির্দেশে অবৈধ উপায়ে যারা জলাজমি ভরাট করছে তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। কিন্তু তার আগে জমিগুলি উদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে। আলিপুরদুয়ার শহরে সাতটি ঝিল রয়েছে।এই ঝিলের আশেপাশের এলাকার সৌন্দর্যায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা।

আর‌ও পড়ুন: সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে শিক্ষা, শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিশেষ বাইক বাহিনীর টহলদারি

এই বিষয়ে উল্লেখ্য বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে আলিপুরদুয়ার পুরসভার জলাশয়গুলো দখল করে অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোমড় বেঁধে ময়দানে নেমেছে পুর কর্তৃপক্ষ। তারা ভরাট হয়ে যাওয়া জলাভূমি ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা অনেকটাই মিটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনন্যা দে

Eviction Campaign: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তায় ম্যাজিকের মত কাজ! অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান আলিপুরদুয়ারে

আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর নড়ে চড়ে বসল জেলা প্রশাসন। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হল আলিপুরদুয়ারে। বুলডোজার নিয়ে এসে চলল বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ।

বুধবার দুপুর থেকে আলিপুরদুয়ার শহরে অবৈধ নির্মাণ দখল মুক্ত করতে অভিযানে নামল জেলা প্রশাসন । আলিপুরদুয়ার শহরের প্রভাত সংঘ মোড় এলাকায় জেসিবি নিয়ে শুরু হয়েছে দখলমুক্ত অভিযান। ভেঙে ফেলা হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ। উপস্থিত রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক সহ পুলিশের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক করেন জেলাশাসক আর বিমলা। গত রাতেই আলিপুরদুয়ার শহরের ফুটপাতে দোকান দেওয়া ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে দেখা গিয়েছিল জেলা পুলিশকে। তারপর বুধবার‌ই শুরু হল দখল মুক্ত অভিযান।

আর‌ও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও মালদহে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চলছে

ব্যবসায়ীদের রাতের মধ্যেই ফুটপাত খালি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। এদিন দুপুর থেকে দেখা গেল শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছে প্রশাসন। এই বিষয়ে মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার জানান, প্রতিদিন এই অভিযান চলবে। মুখমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে। কেউ বাধা দিতে এলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনন্যা দে