বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামাত

Bangladesh: বাংলাদেশে জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাসিনা সরকার! ফুঁসছে বিএনপি, ৪ অগাস্ট কী ঘটতে চলেছে?

ঢাকা: কোটা সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক দিন ধরে গোটা বিশ্বের নজরে ছিল বাংলাদেশ। শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ড ঘিরে নিন্দার নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসতেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন হাসিনা। নির্বাচনে লড়াইর করার উপরে আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার জামাত-ই-ইসলামিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ সরকার। আওয়ামি লিগ এবং তাদের সহযোগী ১৩টি রাজনৈতিক দল একযোগে জামাত এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন মহল থেকে জামাতকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হচ্ছিল। অবশেষে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামাত এ ইসলামি, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য শাখাসংগঠনকে নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ”জামাত-ই-ইসলামি, ইসলামি ছাত্রশিবির এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন আর এই নামে রাজনীতি করতে পারবে না।”

আরও পড়ুন: জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কোন দেশের! সাম্প্রতিক রিপোর্টে চমকে ওঠা তথ্য! শুনে চমকে যাবেনই

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেপথ্যে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে বেনজির হিংসা ছড়িয়েছিল, তার পিছনে জামাতের হাত ছিল বলে অভিযোগ সরকার পক্ষের। এই আবহে জামাত-ই-ইসলামি এবং ইসলামি ছাত্র শিবিরকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করলেন হাসিনা। তাদের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছে সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জামাতকে নির্বাচনী লড়াই থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে সংগঠন হিসেবে বাংলদেশে তারা বৈধ ছিল। এবার হাসিনা সরকার জামাতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল।

তবে, দীর্ঘ দিনের শরিক জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা খফরুল ইসলাম আলমগির বলেছেন, ”হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সরকার-বিরোধী আন্দোলনকে দমন করার পরে নজর ঘোরাতেই সরকার জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে। এতে মানুষের ক্ষোভ কমবে না।”

প্রসঙ্গত, আগামী রবিবার থেকে প্রাথমিক স্কুল খোলার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে ১২টি সিটি কর্পোরেশন এবং নরসিংদী পুরসভা এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস শুরু হবে আরও এক সপ্তাহ পরে।