কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের

Banglar Bari: আবাস নিয়ে তালিকায় কোনও কারচুপি বরদাস্ত নয়, কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের

কলকাতা: আবাস যোজনার বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক,বিডিওদের কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের। জেলাশাসক সহ জেলার আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, “প্রত্যেকটি অভিযোগের যথাযথ উত্তর দিতে হবে। উপভোক্তাদের নাম তালিকা থেকে বাতিল করা উদ্দেশ্য হতে পারে না সমীক্ষার। এটা মনে রাখতে হবে রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে।”

কিছু কিছু জেলার কিছু কিছু ব্লকে ৯৯% পর্যন্ত তালিকা থেকে বাতিল হয়েছে। তা নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্য সচিব ও পঞ্চায়েত সচিব। যে যে জেলার যে যে ব্লকে এত সংখ্যক বাতিলের ঘটনা নজরে এসেছে সেখানে পুনরায় সমীক্ষা ও যাচাই পর্ব করতে হবে। জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের।

আরও পড়ুন: এবার আরামবাগ, দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ

এদিকে, মুখ্যসচিবের প্রশ্নের মুখে মালদহ ও নদিয়া জেলা। কেন আপনাদের জেলাগুলি থেকে এত সংখ্যক নাম বাতিল হচ্ছে তালিকা থেকে? পুনরায় ভেরিফাই করুন।” মুখ্যসচিবের নির্দেশ দুই জেলার জেলাশাসককে। যারা পাওয়ার যোগ্য তারা যেন কেউ বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই হবে। এমনি এমনি রিজেক্ট করবেন না। নিয়মিত বৈঠক করতে হবে। প্রয়োজনে যারা সার্ভে টিমে রয়েছে তাদেরকে সেন্সিটাইজ করতে হবে। প্রয়োজন হলে অফিসারদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। প্রয়োজনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অফিসারদের বৈঠক করতে হবে। উপভোক্তা যদি চা সুন্দরী বা এই ধরনের কোন প্রকল্প দ্বারা আগে উপকৃত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তালিকা থেকে তাদের পুনরায় যাচাই করার নির্দেশ। যাচাই করে দেখতে হবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায় নাকি। রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে। তাই রাজ্য সরকারের নিয়মই এখানে মেনে চলতে হবে। মুখ্যসচিবের কড়া নির্দেশ জেলাশাসকদের।

বৈঠকে উপস্থিত থেকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ”কেন্দ্র টাকা দেয়নি। রাজ্য টাকা দিচ্ছে। আপনারা সেটা মাথায় রেখে সমীক্ষা করুন। নতুন করে কোনও তালিকা নয়, পুরনো তালিকা নিয়ে সমীক্ষা হচ্ছে। বৈঠকে বললেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। প্রায় ১ ঘন্টা ধরে আবাস নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব।

এদিকে, দানার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে শস্য বীমার অধীনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে জেলাশাসকদের সতর্ক করলেন মুখ্য সচিব। কৃষকদের কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পর্যালোচনা করার সময় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতেই হবে। আলোচনা করেই ক্ষতিপূরণ নথিভুক্ত করতে হবে। শস্য বীমার অধীনে যখন অন্তর্ভুক্ত হবে তখন যেন তথ্যগত কোনও ভুল না তৈরি হয়। শস্য বীমার যারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হবেন, তাদেরকে সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাজও নজরদারিতে থাকবে। বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যসচিবের।