ডোকরার গয়না

Bankura News: চোখ ধাঁধানো সোনার মতো রং! বাংলার এই গ্রামে গয়না তৈরি করেন ২৫০ জন শিল্পী, জানুন কোথায় পাবেন

বাঁকুড়া: ডোকরা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে মডেল গ্রাম বিকনার শিল্পীদের কর্মব্যস্ততার ছবি। তবে ডোকরার আধুনিক শিল্পে নতুন সংযোজন ডোকরার গয়না। সেই গয়না বানিয়ে বেশ ভাল রোজগার করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন শিল্পীরা। সেই কারণেই বাঁকুড়ার এই শিল্পগ্রামে গেলে দেখতে পাবেন চোখ ধাঁধানো সব গয়না।

কোনও সুদূর অতীতে বাঁকুড়ার এই গ্রামে ডোকরা শিল্পের প্রচলন হয়েছিল। কারও মতে ১৫০ বছর বা আবার কেউ বলেন তারও বেশি। তবে দিন, মাস এবং বছরের হিসেবে সময় যাই হোক না কেন, দীর্ঘ এই যাত্রা পথে একটু একটু করে বদলেছে বিকনার ডোকরা শিল্পীদের কাজের ধরন। এক সময় যেখানে লক্ষ্মীর ভাঁড়, চাল মাপার পাই, কিংবা হাতি, ঘোড়া এবং দেবদেবীর মূর্তি তৈরির কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, আজ তার পরিধি অনেক বেড়েছে।

আরও পড়ুন: কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশিক্ষণ কাজ করে? কর্মসময়ের নিরিখে ভারত কোথায়? চমকে যাবেন উত্তরে!

মানুষের চাহিদা ও আগ্রহের কারণে নিজেদের শিল্পকর্মকে একটু একটু করে বদলে ফেলেছেন এই গ্রামীণ শিল্পীরা। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন এখান তৈরি হচ্ছে সুদৃশ্য কারুকাজ সমৃদ্ধ সোপ্‌ কেস্‌, অ্যাসট্রে, ঘর সাজানোর নানান জিনিস এবং গলার হার, কানের দুল, হাতের চুড়ি এবং গয়নার রকমারি সেট। চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বল গয়না দেখলেই মন চাইছে কিনে নিতে। বিভিন্ন দামের গয়না রয়েছে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে পাওয়া যায় এই গয়না।

বাঁকুড়া ঘুরতে গেলে অবশ্যই একবার সকাল সকাল চলে যান বাঁকুড়া দুই নম্বর ব্লকের হেভিরমোড় পেরিয়ে বিকনা গ্রামে। এখানে রয়েছে ডোকরা শিল্পীদের মডেল গ্রাম, ৮৫টি পরিবার এবং ২৫০ জন শিল্পী। এই গ্রামে চাইলে পাইকারি দরে অর্ডার দিয়ে পেয়ে যাবেন গয়না। প্রতি পিস প্রোডাক্টে মাত্র ২০ শতাংশ লভ্যাংশ থাকে বলেই অনেকগুলি গয়না একসঙ্গে কিনলে আর্থিক ভাবে সুবিধা হয় শিল্পীদের কারণ গয়না তৈরি করতে সময়ও লাগে বেশ কিছুটা। মা দুর্গার ডিজাইনের মধ্যে গয়নার চাহিদা যথেষ্ট লক্ষণীয়। এই গয়না বিক্রি হয় সারা বছর। সেই কারণে গয়নাতেও মা দুর্গাকে খুব বেশি করে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী