বীর সন্তান অরূপ সাইনি 

Bankura News: “আমার পেটে গুলি লেগেছে, আর বাঁচব না” মৃত্যুর আগে ভাইকে বলেছিলেন অরূপ

বাঁকুড়া: “আমার পেটে গুলি লেগেছে, পায়ে আঘাত লেগেছে। আমি আর বাঁচব না” মৃত্যুর আগে ভাইকে ফোন করে এই কথাই বলেছিলেন বাঁকুড়ার বীর সন্তান অরুপ সাইনী। শনিবার মনিপুরে জঙ্গি হামলায় শহীদের দেহ পৌঁছল বাঁকুড়ার পাঁচালের বাড়িতে, জনস্রোতের চোখের জলে শেষ বিদায় শহীদকে। মনিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত আধাসামরিক বাহিনীর দেহ পৌঁছল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের বাড়িতে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন, তবে কফিনবন্দি হয়ে। পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে শুক্রবার রাতে অতর্কিত জঙ্গি হামলায় শহীদ হন বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের বাসিন্দা অরূপ সাইনি (৪২)। বাড়িতে বুক ফাটা কান্না ছোট ছোট দুই সন্তানের।

দেখুনঃ গরমে বাড়িতে লাগান এই গাছ, নিমেষে দূর হবে পেটের সব সমস‍্যা

ভারতীয় সিআরপিএফ বাহিনীর ১২৮নং ব্যাটালিয়ানের হেড কনস্টেবল ছিলেন তিনি। জঙ্গিদের ওই হামলায় অরুপ সাইনির সঙ্গে ওই ব্যাটেলিয়ানের সাব ইন্সপেক্টর এন সরকারও শহীদ হন। জঙ্গিদের নিক্ষেপ করা এক বোমায় অরুপ সাইনির একটি পা জখম হয়ে যায়। শনিবার অরুপ সাইনি নামের ওই জওয়ানের দেহ বিমানে আনা হয় কলকাতায়। রবিবার সকালে কফিনবন্দী দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর পাঁচাল গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তাঁর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।চোখের জলে শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

জঙ্গি হামলায় অরুপ সাইনির মৃত্যুর খবর শনিবারই এসে পৌঁছয় বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামে অরুপ সাইনির বাড়িতে। তারপর থেকেই কার্যত শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা গ্রাম। চোখের জলে শুরু হয় অরুপ সাইনিকে শেষ বার চোখে দেখার জন্য গ্রামবাসীদের প্রতীক্ষা।

গতকালই বিশেষ বিমানে অরুপ সাইনির কফিনবন্দী দেহ পৌঁছয় কলকাতায়। সেখান থেকে রবিবার সকালে সি আর পি এফ এর কর্মী আধিকারিকরা অরুপ সাইনির দেহ নিয়ে যান সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামে। গ্রামের বাড়ির অদূরেই তৈরি ছিল মঞ্চ। সেই মঞ্চকে ঘিরে সকাল থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান। সকাল সাতটা নাগাদ শহীদের কফিনবন্দী দেহ আনা হয় মঞ্চে। সেখানে শহীদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি সহ রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী