Tag Archives: Manipur

Bankura News: “আমার পেটে গুলি লেগেছে, আর বাঁচব না” মৃত্যুর আগে ভাইকে বলেছিলেন অরূপ

বাঁকুড়া: “আমার পেটে গুলি লেগেছে, পায়ে আঘাত লেগেছে। আমি আর বাঁচব না” মৃত্যুর আগে ভাইকে ফোন করে এই কথাই বলেছিলেন বাঁকুড়ার বীর সন্তান অরুপ সাইনী। শনিবার মনিপুরে জঙ্গি হামলায় শহীদের দেহ পৌঁছল বাঁকুড়ার পাঁচালের বাড়িতে, জনস্রোতের চোখের জলে শেষ বিদায় শহীদকে। মনিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত আধাসামরিক বাহিনীর দেহ পৌঁছল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের বাড়িতে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন, তবে কফিনবন্দি হয়ে। পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরে শুক্রবার রাতে অতর্কিত জঙ্গি হামলায় শহীদ হন বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের বাসিন্দা অরূপ সাইনি (৪২)। বাড়িতে বুক ফাটা কান্না ছোট ছোট দুই সন্তানের।

দেখুনঃ গরমে বাড়িতে লাগান এই গাছ, নিমেষে দূর হবে পেটের সব সমস‍্যা

ভারতীয় সিআরপিএফ বাহিনীর ১২৮নং ব্যাটালিয়ানের হেড কনস্টেবল ছিলেন তিনি। জঙ্গিদের ওই হামলায় অরুপ সাইনির সঙ্গে ওই ব্যাটেলিয়ানের সাব ইন্সপেক্টর এন সরকারও শহীদ হন। জঙ্গিদের নিক্ষেপ করা এক বোমায় অরুপ সাইনির একটি পা জখম হয়ে যায়। শনিবার অরুপ সাইনি নামের ওই জওয়ানের দেহ বিমানে আনা হয় কলকাতায়। রবিবার সকালে কফিনবন্দী দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর পাঁচাল গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তাঁর কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।চোখের জলে শহীদকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

জঙ্গি হামলায় অরুপ সাইনির মৃত্যুর খবর শনিবারই এসে পৌঁছয় বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামে অরুপ সাইনির বাড়িতে। তারপর থেকেই কার্যত শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা গ্রাম। চোখের জলে শুরু হয় অরুপ সাইনিকে শেষ বার চোখে দেখার জন্য গ্রামবাসীদের প্রতীক্ষা।

গতকালই বিশেষ বিমানে অরুপ সাইনির কফিনবন্দী দেহ পৌঁছয় কলকাতায়। সেখান থেকে রবিবার সকালে সি আর পি এফ এর কর্মী আধিকারিকরা অরুপ সাইনির দেহ নিয়ে যান সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামে। গ্রামের বাড়ির অদূরেই তৈরি ছিল মঞ্চ। সেই মঞ্চকে ঘিরে সকাল থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান। সকাল সাতটা নাগাদ শহীদের কফিনবন্দী দেহ আনা হয় মঞ্চে। সেখানে শহীদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি সহ রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Manipur terror attack: ভোট মিটতেই অশান্ত মণিপুর! সিআরপিএফ শিবিরে জঙ্গিদের বেপরোয়া গুলি, মৃত ২ জওয়ান

ইম্ফল: দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের পরদিনই ফের অশান্ত মণিপুর৷ কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর উপরে কুকি জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারালেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান৷ আহত হয়েছেন আরও দুই জওয়ান৷ এ দিন ভোররাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেইনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে৷ হামলাকারী জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী৷

জানা গিয়েছে, একটি পাহাড়ের উপর থেকে সিআরপিএফ জওয়ানদের পোস্ট লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা৷ পাল্টাা জবাব দিতে থাকে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও৷ তখনই আগে থেকেই জওয়ানদের পোস্টের কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা৷ এতেই গুরুতর আহত হন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা৷ দ্রুত তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও মৃত্যু হয় দুই আহত জওয়ানের৷ আরও দু জন জওয়ান চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷

আরও পড়ুন: বাইপাসের জ্যাম এড়িয়ে মেট্রোয় গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা! আজ থেকেই ট্রায়াল রান

সূত্রের খবর, গত বছর শুরু হওয়া মণিপুর হিংসার বর্ষপূর্তি আর ঠিক ছ দিন পরে৷ তার আগে কুকি জঙ্গিদের এই হামলা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ৷ পুলিশ মনে করছে, আগামী কয়েকদিনে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে৷

জানা গিয়েছে, মৃত দুই সিআরপিএফ জওয়ান হলেন সাব ইন্সপেক্টর এন সরকার এবং হেড কনস্টেবল অরূপ সাইনি৷ আহত দু জনের নাম ইন্সপেক্টর যাদব দাস এবং কনস্টেবল আফতাব দাস৷

নির্বাচনের ডিউটির পর ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের একটি ক্যাম্পে সিআরপিএফ জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ গতকাল ওই শিবির লক্ষ্য করেই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ রাত প্রায় ২.১৫ পর্যন্ত গুলি বর্ষণ করতে থাকে তারা৷ প্রাথমিক ধাক্কা সামলে জবাব দিতে থাকে জওয়ানরাও৷ তখনই সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা৷ তার মধ্যে একটি বোমা সেনা শিবির চত্বরেই ফাটে৷

বছরের প্রথম দিনই ফের রক্তাক্ত মণিপুর, নির্বিচারে গুলিতে হত ৪! ফের কারফিউ জারি

ইম্ফল: বছরের প্রথম দিনই ফের রক্তাক্ত মণিপুর৷ নির্বিচারে গুলি করে চার জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করল একদল দুষ্কৃতী৷ এই ঘটনার জেরে ফের একবার রাজ্যের পাঁচটি জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে৷

এ দিন ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের থৌবাল জেলায়৷ জানা গিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুষ্ক্তী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে এসে স্থানীয়দের থেকে তোলা আদায় করার চেষ্টা করে৷ তখনই নির্বিচারে গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করা হয়৷ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন৷

আরও পড়ুন: কালীঘাটে মমতার বাড়িতে অভিষেক, বেরোলেন দু’ ঘণ্টা পর! সাক্ষাৎ ঘিরে জোর জল্পনা

ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং৷ একই সঙ্গে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ ঘটনার পরই শাসক দলের সব মন্ত্রী এবং বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এই হত্যাকাণ্ডের পরই থৌবাল, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং এবং বিষ্ণুপুর জেলায় কারফিউ জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন৷ ২০২৩ সালের শুরু থেকেই দীর্ঘ সময় ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল মণিপুর৷ সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়৷ গৃহহীন হয়ে পড়েন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ৷

Tripura News: মণিপুর থেকে শিক্ষা, জনজাতি উন্নয়নে ত্রিপুরায় বিশেষ নজর বিজেপি নেতৃত্বের

আগরতলা: ত্রিপুরার রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে খুবই আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারও সেই দিশায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই জনজাতিদের সার্বিক বিকাশে পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দু’টি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। খোয়াই জেলার রামচন্দ্রঘাট বিজেপি মণ্ডলের উদ্যোগে জনজাতিদের নিয়ে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা।

স্থানীয় অটল কমিউনিটি হলে এই ‘সম্পর্ক থেকে সমর্থন’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আগামী বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। সেদিক থেকে হাতে আর বেশি সময় নেই। আর এই মহারণকে সামনে রেখে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি অনেক আগে থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা, বৈঠক, সমাবেশ সেরে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড. মানিক সাহা।

আরও পড়ুন: প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! কাল থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় ভোলবদল, কোন কোন জেলা ভাসবে

এই অবস্থায়  রামচন্দ্রঘাট মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় অন্যতম বক্তা হিসেবে অংশ নেন তিনি। এই সাংগঠনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতি অংশের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার। শুধু আর্থিকভাবে নয়, তাদের মানোন্নয়ন করাও সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সেই দিশা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চায়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এডিসিতে ১৯টি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে যাতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় তার জন্য এডিসির আসন সংখ্যা ৫০টি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এডিসিকে ‘তিপ্রা টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ করার জন্যও কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এতদিন আমরা শুনেছি মহারাজারা নাকি ত্রিপুরার জন্য কিছুই করেননি। আর এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর মহারাজাদের অবদান মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগরতলার সিঙ্গারবিল এয়ারপোর্ট মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের জন্য হয়েছে। অথচ সেই প্রাপ্য সম্মান তাঁকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ক্ষমতায় এসে মহারাজাকে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঘোষণা করে গিয়েছেন। মহারাজার জন্মদিন ১৯ আগস্টকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কামান চৌমুহনী সংলগ্ন চৌমুহনীতে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের মর্মর মূর্তির স্থাপন করা হয়েছে এবং মহারাজার নামে এই চৌমুহনীর নামকরণ করা হয়েছে। আগে গড়িয়া পুজোর সময়ে শুধু একদিন ছুটি দেওয়া হত। কিন্তু এই সরকার আসার পর গড়িয়া পুজোর ছুটি দু’দিন করা হয়েছে। যাতে পুজো ভালভাবে পালন করা যায়। জনজাতি অংশের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা বলেন, এই সরকার কাজে বিশ্বাস করে। কাজের মাধ্যমেই মানুষের বিকাশ ঘটাতে চায়। আগে রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যক্ষ হতো। এই বিভাজনের রাজনীতি করেই উন্নয়নের ক্ষতি করা হয়েছে। এতে রাজ্যের অনেক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এজন্য রাজ্যের প্রজন্ম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষকে নিয়ে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। জনজাতিদের সার্বিক কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় কাজ করছে রাজ্য সরকারও। এর আগে রামচন্দ্রঘাটের ধুপছড়ায় সুরজিত দেববর্মার বাড়িতে স্থানীয় সমাজপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী সহ জেলা ও মণ্ডল স্তরের নেতৃত্ব। পরে পূর্ব রামচন্দ্রঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তপজিৎ দেববর্মার বাসভবনে‌ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ঐতিহ্যমণ্ডিত কলাপাতায় খাবার পরিবেশনার মাধ্যমে এই পরিবারের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী।

Randeep Hooda and Lin Laishram wedding: ফুলসাক্ষী করে সাতপাক! চিত্রাঙ্গদার ভূমির মেয়ের সঙ্গে রণদীপের গাঁটছড়া মৃদঙ্গধ্বনি ও বৈষ্ণবমন্ত্রপাঠে, রইল সাবেকিয়ানার ছবি

চোখ ধাঁধাঁনো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং নয়। রাজকীয় আয়োজন নয়। বলিউডি বিয়ের চেনা গত ছেড়ে রণদীপ হুডা বিয়ে করলেন সংস্কৃতির শিকড়ের গভীরে গিয়ে। মণিপুরের মডেল লিন লাইশরামের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন টিনসেল টাউনের নায়ক। জীবনসঙ্গিনী যেখানকার ভূমিকন্যা সেই মণিপুরের সংস্কৃতিই জড়িয়ে ছিল তাঁদের বিয়ের প্রতি মুহূর্তে। রাবিন্দ্রিক চিত্রাঙ্গদার ভূমি মণিপুরে তাঁদের বিয়ের মণ্ডপ থেকে পোশাক-সব কিছুতেই শুভ্রতার মায়া। মহাভারতের যোগসূত্র, বৈষ্ণব সংস্কৃতির কথা মনে পড়বেই তাঁদের বিয়ের ছবি এবং ভিডিও দেখলে।

মণিপুরী সংস্কৃতি অনুযায়ী বিয়ের পোশাক হিসেবে রণদীপ পরেছিলেন কোকয়েত, পায়জামা এবং ফেইজোম বা ধুতি। কনে লিনের পরনে ছিল সাবেক মণিপুরী পোশাক পটলোই। মেরুন আর সোনালি কম্বিনেশনের পটলোইয়ের সঙ্গে ছিল মানানসই সোনার গয়না। মাথার মুকুট থেকে গলার সারি সারি হার-সোনার ঝিলিকে লিন হয়ে ওঠেন অপরূপা। দেখে মনে হচ্ছিল যেন মণিপুরী নৃত্যশিল্পীদের পোশাক। তাঁদের সাজ প্রশংসিত ও চর্চিত সোশ্যাল মিডিয়ায়।

মণিপুরী রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘বরযাত্রা’ দিয়ে। এই যাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন রণদীপ। জলজ উদ্ভিদে বোনা আসন ‘কৌনা ফক’-এ তিনি বসেছিলেন পূর্বদিকে মুখ করে। এর পর প্রার্থনা ও অভিভাবকদের আশীর্বাদ গ্রহণের পর শুরু হয় অনুষ্ঠান। কনের বাড়িতে প্রবেশের পর রণদীপকে স্বাগত জানানো হয় মণিপুরী বাঁশের তৈরি আলো, ফুল এবং ধূপ দিয়ে। এর পর ছিল লেই-কোইবা এবং কুন্ডো-হুকপা বা মালাবদলের অনুষ্ঠান।

সাবেক বিয়ের রীতি অনুযায়ী কনে লিম বসেছিলেন। বর রণদীপ তাঁকে ঘিরে সাতপাক ঘোরেন। আগুনের পরিবর্তে প্রকৃতির প্রতীক স্বরূপ ফুলের চারপাশে ঘোরা হয়। বিয়ের আবহ হিসেবে ছিল মৃদঙ্গধ্বনি এবং বৈষ্ণব মন্ত্রপাঠ।

 

৪ বছরের প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করলেন ৪৭ বছর বয়সি রণদীপ এবং ৩৭ বছরের লিন। জীবনসঙ্গীর চিন্তাভাবনা ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতেই এভাবে বিয়ে, জানিয়েছেন রণদীপ। শুভ্রতার আবহে তাঁদের বিয়েতে আড়ম্বরকে ছাপিয়ে উঠে এসেছে সংস্কৃতি এবং সাবেকিয়ানা।

UFO in the Sky: ইম্ফল বিমানবন্দরের আকাশে ইউএফও? মহাবিড়ম্বনায় বিমানযাত্রীরা

গত রবিবার অপ্রত্যাশিত ভাবে বিড়ম্বনায় পড়লেন বিমানযাত্রীরা। বাধ সাধল একটি ইউএফও। যার জেরে একাধিক উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। কিছু কিছু উড়ানের আবার পথ পরিবর্তন করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মণিপুরের ইম্ফল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঘটনা। এমনটাই জানালেন বিমানবন্দরের আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, ইম্ফলের বীর তেকেন্দ্রজিৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের উপরের দিকে দুপুর ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ একটি অজানা বস্তু উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। এরপরেই উড়ান অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক এএআই আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, এটিসি-র ছাদ থেকে এটিএস আধিকারিকরা ওই ইউএফও দেখতে পান। শুধু তা-ই নয়, জনসাধারণ, স্থানীয় পুলিশ, বিমান সংস্থার কর্মী এবং সিআইএসএফ আধিকারিকরা ওই ইউএফও-টি লক্ষ করেছিলেন। এর পরেই কন্ট্রোলড এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে অন্তত দু’টি ইন্ডিগো উড়ান অন্য দিক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরও তিনটি উড়ান তিন ঘণ্টারও বেশি দেরিতে ছাড়ে।

এর মধ্যে ডাইভার্টেড একটি উড়ানকে প্রথমে আকাশে থাকারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ২৫ মিনিট পরে অবশ্য সেটিকে গুয়াহাটির অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর চিপেম্মি কেইশিং একটি বিবৃতি জারি করে জানান যে, ইম্ফলের কন্ট্রোলড এয়ারস্পেসে একটি আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট দেখা যাওয়ার জন্য দুটো উড়ান অন্য দিকে ডাইভার্ট করা হয়েছে। আর তিনটি বিমান দেরি করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ফের বিমান চলাচল শুরু হয়।

 

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র এক আধিকারিক বলেন, তাঁরা দুপুর ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ সিআইএসএফ-এর তরফ থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে বলা হয় যে, বিমানবন্দরের কাছে একটি ইউএফও দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, প্রায় বিকাল ৪টে পর্যন্ত ওই বিমানক্ষেত্রের উপরে পশ্চিম অভিমুখে উড়তে দেখা গিয়েছে ইউএফও-টিকে। আর বিষয়টা খালি চোখেই দৃশ্যমান ছিল। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।

এদিকে এই তথ্য শিলঙের ভারতীয় বায়ুসেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের কাছেও পাঠানো হয়। কারণ মণিপুরের চারপাশে রয়েছে নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অসম। শুধু তা-ই নয়, মণিপুরের পূর্ব দিকে রয়েছে মায়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত।

ইম্ফল বিমানবন্দরের আকাশে ইউএফও? পিছু নিল জোড়া রাফাল, জোর চাঞ্চল্য

মণিপুর: ইম্ফল বিমানবন্দরের কাছে কি সত্যিই আকাশে কোনও ইউএফও দেখা গিয়েছে? তা খুঁজতে এবার জোড়া রাফালকে কাজে লাগালো ভারতীয় বায়ুসেনা৷

গতকাল দুপুর আড়াইটে নাগাদ ইম্ফল বিমানবন্দরের আকাশে একটি ইউএফও দেখা যায়৷ যে কারণে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক বিমানের ওঠানামা ব্যাহত হয়৷

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ইম্ফল বিমানবন্দরের আকাশে ওই ইউএফও দেখার খবর পাওয়া মাত্রই নিকটবর্তী বায়ুসেনা ছাউনি থেকে একটি রাফালকে আকাশে ওড়ানো হয় ওই ইউএফও-কে খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে৷

আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ইডির তোলপাড় দাবি! ‘বাকিবুর ইন্ডাস্ট্রির’ কোটি কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ ফাঁস?

পরে অবশ্য জানানো হয়, ওই রাফাল বিমানটিতে ইউএফও-কে চিহ্নিত করার জন্য সেন্সর সহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামও তৈরি রাখা হয়েছিল৷ যে এলাকায় ইউএফও-টি দেখা যায়, তার আশেপাশে অত্যন্ত কম উচ্চতায় রাফালটি জেট বিমানটিকে ওড়ানো হয়৷ তাতেও অবশ্য ইউএফও-র খোঁজ মেলেনি৷

প্রথম রাফালটি ফিরে আসার পর আরও একটি রাফাল জেটকে ফের ইউএফও-র খোঁজে পাঠানো হয়৷ তাতেও অবশ্য কাজের কাজ হয়নি৷ তবে এতেই হাল না ছেড়ে ইউএফও-টিকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলি৷ শুধু তাই নয়, ইম্ফল বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামায় সবুজ সঙ্কেত মেলার পর শিলংয়ে অবস্থিত বায়ুসেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের সদর দফতর থেকেও ইউএফও-কে খুজে বের করতে এয়ার ডিফেন্স রেসপন্স মেকানিজমকে সক্রিয় রাখা হয়েছে৷ যদিও এ বিষয়ে বিশদে কিছু জানায়নি বায়ুসেনা৷