গ্রামবাসীদের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রাস্তা

Bardhaman News: লক্ষ্য পরিচ্ছন্ন গ্রাম তৈরি, পঞ্চায়েতের ভরসা না করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করলেন বাসিন্দারা

বর্ধমান: গ্রামবাসীদের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রাস্তা। পঞ্চায়েতের মুখাপেক্ষি না থেকে রাস্তা সংস্কারে অর্থ শ্রম দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা নিজেরাই। তাঁদের আর্থিকভাবে সাহায্য করছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। এই ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নন্দনপুরে। রাস্তা সারাইয়ের পর প্রচুর সংখ্যায় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নন্দনপুর গ্রামকে রাজ্যের পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে তুলে ধরাই এখন লক্ষ্য বাসিন্দাদের।

নন্দনপুর গ্রামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাতৃগেহ-র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য চৌধুরী। তাঁর রেখে যাওয়া অর্থ ও ডাক্তার উদয় চৌধুরী এবং গ্রামবাসীদের সাহায্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল রাস্তা সারাইয়ের কাজ। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। বাসিন্দাদের হাঁটাচলা করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না দুই নম্বর ব্লকের উচালন অঞ্চলের অন্তর্গত নন্দনপুর গ্রামে নেওয়া হয়েছে এই রাস্তা তৈরির উদ্যোগ। এছাড়াও গ্রামবাসীদের অনেকে অর্থ  দিচ্ছেন। আর এই রাস্তা তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে গ্রামের মানুষজন। ভাল করে খুঁড়ে সেখানে মোরাম দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ হচ্ছে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায়।

নন্দনপুর সাধুর ঢাল থেকে ডাক্তার ঢাল পর্যন্ত এই রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও যে রাস্তাগুলি অবহেলিত রয়ে গিয়েছে সেই রাস্তাগুলিও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানালেন,মেঘালয়ের সব থেকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং। সেখানে পঞ্চায়েতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন গ্রামবাসীরা। তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে নন্দনপুর গ্রামে। মাওলিনং গ্রামে সাধারণ মানুষ নিজেদের গ্রাম নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখেছে আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত। তাই সেই গ্রামের অনুকরণেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নির্মল গ্রাম গড়ে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য গ্রামবাসী সহ উদ্যোক্তাদের।

তবে শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয় পাশাপাশি গ্রামে সবুজায়ন করতে বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে নন্দনপুর গ্রামকে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। তারপর সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন গ্রাম হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে আশাবাদী বলে জানান ডাক্তার উদয় চৌধুরী।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কে রাস্তা তৈরির বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাস্তা তৈরির অনুমতি মেলার পাশাপাশি আগামীতে রাস্তা তৈরির খরচ দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত। কিছুদিনের মধ্যেই বর্ষা শুরু হয়ে গেলে আর রাস্তা তৈরি করা যাবে না। তাই এখনই বেহাল রাস্তার হাল ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন।