শোলা শিল্পী 

Durga Puja Shola: পুজোর আগেই পেটে টান, বিদেশি সাজের রমরমায় বরাত কমেছে শোলা গ্রামের শিল্পীদের

পূর্ব বর্ধমান: তাঁত শিল্পীদের মতো এবার সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের শোলা শিল্পীরা। জেলার তাঁত শিল্পকে যেমন শেষ করেছে সুরাটের শাড়ি, ঠিক সেরকম ভাবেই এবার শোলার সাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছে বিদেশি সাজ। পূর্ব বর্ধমান জেলার বনকাপাসি গ্রাম শোলা গ্রাম নামেই পরিচিত। শোলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। শোলা দিয়ে ঠাকুরের সাজ তৈরিতে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে এই গ্রামের। পেট চলে কত শত মানুষের। কিন্তু এবছর চিন্তায় রয়েছেন শিল্পীরা।

শোলা শিল্পী অভিজিৎ সাহা বলেন, ”প্রথম থেকে যেভাবে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, এ বছর সেভাবে বরাত পাইনি। এর কারণ শোনা যাচ্ছে বিদেশ থেকে প্রিন্টিং সাজ চলে আসছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রিন্টিং সাজের দামও অনেক কম থাকছে, যে কারণে আমাদের হস্তশিল্পের সঙ্গে তার কোনও মিল থাকছে না। কম টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার কারণে, আমাদের তৈরি শোলার সাজের চাহিদা কমে যাচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ‘ক্রাভ মাগা’ ইজরাইলি টেকনিক শিখবেন মহিলারা, আত্মরক্ষায় বড়সড় উদ্যোগ জেলার

প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর আগে লক্ষ লক্ষ টাকার বরাত পান বনকাপাসি গ্রামের শোলা শিল্পীরা। পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের তৈরি শোলার সাজ পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-সহ ভিনরাজ্যেও। এবছরও দুর্গাপুজোর আগে জোর কদমে চলছে শোলার সাজ তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই প্যাকিং হতে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার নেওয়া শোলার সাজ। শিল্পীরাও রাত দিন পরিশ্রম করে সাজ তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্ত শোলার সাজ তৈরির কাজ জোর কদমে চললেও, চিন্তায় রয়েছেন শিল্পীরা। গত বছরের থেকে এবছর কমেছে অর্ডারের পরিমাণ। আর এই অর্ডার কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ হিসেবে শিল্পীরা দায়ী করছেন বিদেশি সাজকে।

অভিজিৎ সাহার কথায়, “যে সাজ আসছে সেটা শোলার সাজ নয়। রাংতা, জরি, চকমা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সেই সাজ তৈরি হচ্ছে। সেই সাজ আমাদের মতো হাতে তৈরি করা হচ্ছে না, মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে। গত বছর ২২ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার অর্ডার পেয়েছিলাম। কিন্তু এবছর ১৮ থেকে থেকে কুড়ি লক্ষ টাকার মতো অর্ডার পেয়েছি। বাইরের সাজের জন্যই এবছর এই পরিস্থিতি।”

বনোয়ারীলাল চৌধুরী