পূর্ব বর্ধমান: সোমবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অফিসে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্নচাপ এবং ডিভিসির ছাড়া জলের জেরে বন্যা পরিস্থতি রাজ্যের একাধিক জেলায়। সেই আবহে মমতা বৈঠকে বললেন,”সাংসদ, বিধায়কদেরও ডাকা হয়েছিল। সচিব থেকে বিডিও সকলেই ছিলেন। বন্যা পরিস্থিতিতে আরও সক্রিয় হয়ে নীচু তলায় কাজ করতে বলা হয়েছে।”
মমতার কথায়, “আবার প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নতুন করে জল আসলে, ডিভিসি জল ছাড়লে জলের পর জল প্লাবিত হবে। সেই সব জায়গায় বিডিওদের, আইসিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘর ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু জীবন চলে গেলে তা ফিরে পাওয়া মুশকিল। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল তাদের অন্দরে। কিন্তু তারা কাজ করছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে।”
মমতা জানান, পূর্ত দফতর ভাঙা রাস্তার সমীক্ষা করবে। যাদের মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের অনেকের বাড়ি তালিকায় না থাকলে দেখা হবে। যে সব একেবারে বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদের তালিকায় ঢোকাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত তাদের তিনটে করে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
এর পরই মমতা বলেন, “পুলিশ কমিউনিটি কিচেন করছে। আমরাও সাধ্যমতো ড্রাই প্যাকেট করে দিচ্ছি। মুড়ি, ডাল, আলু, সয়াবিন, বাচ্চাদের দুধ,সরষের তেল যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে। আবার বন্যা হলে দেওয়া হবে। মানুষ যেন না ভাবেন বিপদে পড়ে আছেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক। সাংসদদের অনুরোধ করব তারাও গ্রামীণ রাস্তা করুক। বাড়ির টাকা একসাথে ডিসেম্বরে দেওয়া হবে। চক্রান্ত আর কুৎসা যেন কেউ না করতে পারে সেদিকে দেখবেন। সাপে কাটা ওষুধ হাসপাতালে বেশি রাখা হবে। জ্বর, ডায়রিয়ার ওষুধ রেডি করতে বলা হয়েছে। ধান কাটায় যেন গাফিলতি না হয়।”
আরও পড়ুন- জোড়া ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়! সোমবার থেকেই আবহাওয়ার ‘খেল’ শুরু! বুধবারের মধ্যে কী কী হবে দেখুন
মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ, বড় বড় বিল্ডিং বানিয়ে, মূর্তি বানিয়ে যে টাকা খরচ হয় তার এক চতুর্থাংশ পেলে এই ফ্লাড কন্ট্রোল ব্যবস্থা আরও সুবিধা হত। মমতা জানান, সব বিডিও, আইসিদের কাছে রাখা হচ্ছে মাইক্রোফোন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ” বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হবে। ফ্লাড কন্ট্রোল সেন্টার আরও ঘর হয়েছে। পানীয় জলের খামতি যেন না হয়। পূর্ত দফতর ভাঙা রাস্তার সমীক্ষা করবে। জল কমলে পঞ্চায়েত বাড়ির সমীক্ষা করবে। যাদের মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে, তাদের অনেকের বাড়ি তালিকায় না থাকলে দেখা হোক। যে সব একেবারে বাড়ি ভেঙে গেছে তাদের তালিকায় ঢোকাতে বলা হয়েছে। পুলিশ কমিউনিটি কিচেন করছে। পুলিশ কাজ করছে। আমরাও সাধ্যমতো ড্রাই প্যাকেট করে দিচ্ছি। মুড়ি, ডাল, আলু, সয়াবিন, বাচ্চাদের দুধ,সরষের তেল যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে।”
মমতা এর পরেই পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বলেন, “মানুষ যেন না ভাবেন বিপদে পড়ে আছেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক। সাংসদদের অনুরোধ করব তারাও গ্রামীণ রাস্তা করুক। বাড়ির টাকা একসাথে ডিসেম্বরে দেওয়া হবে।”