স্কুলে চলছে বিক্ষোভ 

Bengal Education: প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ, স্কুলে তাঁর বদলে দিনের পর দিন ধরে কে পড়াচ্ছেন জানেন? আঁতকে উঠবেন!

মুর্শিদাবাদ: শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক মরিওম বিবি অসুস্থ। তাই স্কুলে আসতে পারছেন না। তার বদলে স্কুলে ক্লাস করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকের স্বামী, শাহজাহান শেখ, যিনি পেশায় একজন চাষি।

এমনই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার, বড়ঞা ব্লকের খোরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বদুয়া গ্রামে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অভিভাবকেরা।

প্রায় ২৫ বছর আগের বদুয়া বাগদী পাড়া শিশু শিক্ষাকেন্দ্র শুরু হয় চারজন শিক্ষক নিয়ে। দু’জন অবসর নেওয়ার কারণে বর্তমানে দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। স্কুলের ৮৩ জন শিক্ষার্থীদের পড়ান এই দু’জনেই।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা মরিওম বিবি, দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না। তার পরিবর্তে স্কুলে এসে পড়ান তাঁর স্বামী শাজাহান শেখ। তিনি বৃদ্ধ হলেও কৃষক হিসেবেই পরিচিতি।

আরও পড়ুন: বীরভূমের কেষ্ট মানেই শুধু চড়াম-চড়াম, গুড়-বাতাসা নয়! অনুব্রতর এই অজানা কথাগুলি শুনে চমকে উঠবেন

স্থানীয় বাসিন্দা জ্যোৎস্না বিবির অভিযোগ, ‘দেখছি বৃদ্ধ স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বামী। নকল শিক্ষক স্কুলে পড়াবে, এটা চলতে পারে না। অভিভাবকদের দাবি, এই বৃদ্ধ শাজাহান শেখের নির্দেশেই স্কুলে নিম্নমানের মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। আমরা বারবার এর প্রতিবাদ করেছি।’

যদিও শেষ পর্যন্ত তিতিবিরক্ত হয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা। প্রায় দু’ঘন্টা আটকে রাখার পর ছাড়া হয় শাহজাহান শেখকে। ওই বৃদ্ধ শাজাহান শেখ বলেন, ‘আমাকে সুপারভাইজার অনুমতি দিয়েছেন। তাই আমি শিক্ষকতা করতে সেন্টারে আসি।’ অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ‘নিম্নমানের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হয়। খাবারে গুণমান একেবারেই ভাল না।’

আরও পড়ুন: চশমা ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো, অনুব্রতকে দেখতে এসে মারাত্মক অবস্থা শ্যালকের! কী কাণ্ড জানেন?

স্থানীয় বাসিন্দদের দাবি, গত দেড় বছর ধরে সেন্টারের প্রধান শিক্ষিকা সেন্টারে আসেন না। মিড ডে মিলের খাবারে বিষয়ে আমরা বলতে গেলে ওই বৃদ্ধ আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করেন। ওই সেন্টারে বাথরুম রয়েছে কিন্তু বন্ধ থাকে। জলের ট্যাপ আছে কিন্তু জল নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা ভুগছেন ছাত্র ও ছাত্রীরা। সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীরা জল পান করতে গেলে স্কুলের পাশে বাড়িতে প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে পান করতে হয়। ওই সেন্টারে ছাদ ফুটো, বৃষ্টির সময় জল পড়ে। বিল্ডিংয়ের ডান সাইডে ফাটল ধরে আছে। যে কোনও সময়েই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

যদিও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান আশিস মার্জিত জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। তবে স্ত্রীর বদলে যদি স্বামী স্কুলে শিক্ষকতা করেন তাহলে সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।’

কৌশিক অধিকারী