Bengal Tourism: পর্যটকদের স্বর্গ! ব্রিটিশদের বাংলোয় এবার রাত কাটানোর সু‌যোগ! দাম নামমাত্র, কোথায় জানুন

আলিপুরদুয়য়ার: শীঘ্রই পর্যটনের জন্য দেওয়া হবে শ্রীনাথপুর চা বাগানের বাংলোর দরজা। চলছে বাংলোটি সংস্কারের কাজ। আলিপুরদুয়ার জেলায় টি টুরিজমের দরজা খুলবে এই বাংলাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হলে।

আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকের শ্রীনাথপুর চা বাগান বক্সা ব্যাঘ্র-প্রকল্পের জঙ্গল ঘেরা। এই চা বাগানের মধ্যেই রয়েছে প্রায় ১০০ বছরের পুরেনো কাঠের বাংলো। দ্বিতল এই বাংলোটি বড় বড় শাল গাছের খুঁটির উপর গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলোজুড়ে শৈল্পিক হাতের নিপুন ছোঁয়া রয়েছে। তিনদিকে রয়েছে সুন্দর বারান্দা। রয়েছে মোজাইকের কাজ। প্রতিটি কক্ষে কাঠের পালঙ্ক এবং আসবাব। পুরোনো এই কাঠের বাংলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে শীঘ্রই। তার জন্য বাংলোটি সংস্কারের পাশাপাশি রাস্তাঘাট সংস্কারেরও উদ্যোগ নিয়েছে মালিকপক্ষ।

আরও পড়ুনSale: মাথায় হাত!বছরের এই একটা সময়ের বিশেষ ফল, তাও হচ্ছে না বিক্রি, চিন্তায় বিক্রেতা

১৯২৮ সাল দেশে তখন ইংরেজ শাসন। এলাকাজুড়ে ঘন জঙ্গল। বাঘ ও অন্যান্য জীবজন্তু লোকালয়ে চলে আসত যখন-তখন। চলাচলের মতো তেমন রাস্তাঘাটও গড়ে ওঠেনি। দুর্গম এলাকায় জনবসতিও খুব কম। সে সময়ই পার্শ্বনাথ ঘটক নামে এক বাঙালি শিল্পপতি আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার শিবকাটা এলাকায় স্থাপন করেন শ্রীনাথপুর চা বাগান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চা বাগানের পরিধি অনেকটা বাড়িয়ে তোলেন তিনি। সেসময় মাঝেমধ্যেই তাঁকে ওই চা বাগানে এসে থাকতে হত। নিজেদের থাকার জন্য ১৯৫৩ সালে ওই চা বাগানের মাঝে গড়ে তুলেছিলেন সুন্দর এক কাঠের বাংলো। তাঁর শখের সেই বাংলো তৈরি করার মতো কোনও মিস্ত্রি মিলছিল না এখানে। সেসময় ওই বাংলো তৈরির জন্য চিন থেকে দক্ষ মিস্ত্রির দল আনিয়েছিলেন। টানা ছয় মাস থেকে সুন্দর ওই বাংলো গড়ে তুলেছিলেন চিনের ওই মিস্ত্রিরা।

কালক্রমে শ্রীনাথপুর চা বাগানের মালিকানারও বদল হয়েছে।বর্তমানে শিলিগুড়ি, কলকাতার মালিকেরা শেয়ারে দেখছেন ব্যবসা। তবে বাড়তি আয়ের আশায় খোলা হবে এই বাংলোটি বলে জানান ডিরেক্টর দেবলীনা দে সরকার। এক রাতের ভাড়া নেওয়া হবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

Annanya Dey