Bengal Tourism: একদিনের ট্রিপের জন্য আদর্শ জায়গা, দিনের দিন ঘুরে আসুন এই মনোরম ট্যুরিস্ট স্পটে

পশ্চিম মেদিনীপুর: সকাল থেকে সন্ধ্যা অফিস সামলে, কাজ করে ক্লান্ত? বিকেলে একটু ধারে কাছে ঘুরে আসা যেতেই পারে। গরমের দিনে বিকেলের হালকা ফুরফুরে বাতাস, দিনশেষে অফিসের ক্লান্তি ভুলে কাটাতে পারবেন এখানে। আপনার বাড়ির কাছেই রয়েছে এমন ডেসটিনেশন। পরিবারের ছোট বাচ্চা কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসুন এখান থেকে। ছবি তুলুন মন ভরে, শুধু তাই নয় দিনের সূর্যাস্তটাও উপভোগ করতে পারবেন এখানে।

ভ্যাপসা গরমের পর, দিন শেষে আবহাওয়ার কমলতা বারবার টানে পর্যটকদের। কলকাতা শহর থেকে মাত্র কিছুটা দূরে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে রয়েছে একদিনের ঘোরার অন্যতম ডেস্টিনেশন। মেদিনীপুর শহর ঢোকার মুখে রয়েছে কংসাবতী নদীতে অ্যানিকেট ড্যাম। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। মেদিনীপুর শহরের প্রধান একটি নদী কংসাবতী বা কাঁসাই। এই কংসাবতী নদীতেই তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম জলাধার। যা অ্যানিকেট ড্যাম নামে পরিচিত। রেল শহর খড়গপুর এবং মেদিনীপুরকে বিভাজন করেছে কংসাবতী নদী।

আরও পড়ুনMotion Sickness: গাড়িতে উঠলেই গা গুলিয়ে ওঠে-বমি পায়! সমস্যা থেকে মুক্তি পান সহজেই

এই কংসাবতী নদীতে মেদিনীপুর শহরের খুব কাছেই রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া এই স্থানটি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই অ্যানিকেট ড্যামে এলে মন প্রাণ জুড়াবে আপনার। গরমের বিকেলে, একটু জিরিয়ে নেওয়ার প্রধান ঠিকানা এই অ্যানিকেট ড্যাম। জল পড়ার হালকা কুলুকুল শব্দ, এবং হালকা আবেশে শান্ত শীতল ভাবে নদীর জল বয়ে চলেছে। যেন নদীর এপার থেকে ওপার বরাবর ছোট্ট ঝর্ণার মত বয়ে চলেছে নদী। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের সারাদিনে ঘোরার অন্যতম ডেস্টিনেশন এই স্থান।

বাস, ট্রেন যাতায়াত মাধ্যম সুলভ। কলকাতা থেকে কেউ ট্রেনে আসতে চাইলে খড়গপুর বা মেদিনীপুর স্টেশনে নামলেই অটো কিংবা টোটো ধরে আসা যাবে এই স্থানে। অথবা বাসে এলে নামতে হবে মেদিনীপুরের আমতলাতে। সেখান থেকে সামান্য হাঁটলেই কংসাবতী নদীতে রয়েছে ঘোরার এই বিশেষ জায়গা। দিনশেষে ক্লান্তির পর বিকেলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন অ্যানিকেট। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন এখানে।

রঞ্জন চন্দ