ছাপাখানায় ক্যালেন্ডার তৈরিতে মগ্ন শিল্পী।

Poila Baishakh 2024: তলানিতে পুরনো চাহিদা, জনপ্রিয়তা কমে গিয়ে বাংলা নববর্ষ এখন ক্যালেন্ডার, হালখাতাহীন

নয়ন ঘোষ, কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান : আসছে নববর্ষ। আসছে বৈশাখ। বৈশাখ মানেই নতুনের শুরু। পহেলা বৈশাখ মানে হালখাতার দিন। উপহার পাওয়া নতুন ক্যালেন্ডার। আর ক্যালেন্ডার হাতে নিয়ে দেখে নেওয়া প্রিয় উৎসবের দিনগুলির তারিখ। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, চাহিদা কমেছে হালখাতার। এখন অনেক ব্যবসায়ী আর সেই পুরানো দিনের প্রথা মেনে হালখাতা করছেন না। ক্রেতারাও উপহার পাচ্ছেন না ক্যালেন্ডার। স্বাভাবিকভাবেই কমেছে ক্যালেন্ডারের চাহিদা। ব্যস্ততা কমেছে ছাপাখানায়।

যদিও এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু ব্যবসায়ী হালখাতার প্রথা বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেইসব ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছর ব্যবসা করার পর, নিয়মিত ক্রেতাদের কিছু আশা থাকে। বছরের প্রথম দিনে তাদের মিষ্টিমুখ করাতে পারলে এবং ক্যালেন্ডার তুলে দিলে নিজেদের ভাল লাগে। তাছাড়াও ক্রেতাদের সঙ্গে হয় মধুর সম্পর্ক। যাঁরা নিয়মিত ক্রেতা, তাঁদের আশা থাকে এই দিন কিছু উপহার পাওয়ার। কিন্তু এখন অনেক ব্যবসায়ী হালখাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাছাড়াও ক্যালেন্ডার তৈরি করানোর খরচ অনেক বেড়েছে। তবুও অনেক ব্যবসায়ী সেই ঐতিহ্য এখনও পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখছেন।

আরও পড়ুন : যতই গরম বাড়ুক, ভুলেও পাতিলেবুর রস খাবেন না এঁরা! জানুন কারা পাতিলেবু খেলেই সর্বনাশ! হবে চরম ক্ষতি

অন্যদিকে ছাপাখানার মালিক, কর্মচারীরা বলছেন, আগে নববর্ষ আসার আগে ব্যস্ততা থাকত তুমুল। প্রচুর পরিমাণ ক্যালেন্ডার তৈরি করানোর চাহিদা থাকত। বিভিন্ন রকম ক্যালেন্ডার তৈরির বরাত দিতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখন সেই বরাতের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম হয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও ক্যালেন্ডার তৈরি করতে খরচ বেড়েছে অনেক বেশি।

ক্যালেন্ডার পেপার, ছাপার কালি-সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে অনেক। যে কারণে অনেক ব্যবসায়ী পিছিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়াও বহু ব্যবসায়ী হালখাতা করানো বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই কারণে সামনে নববর্ষ থাকলেও, ক্যালেন্ডারের চাহিদা অনেক কম। ব্যস্ততা কম তাদের কাছেও।