ব্যবসা-বাণিজ্য LIC Policy: প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন চান? LIC-র এই পলিসিতে বিনিয়োগ করলে অবসরের চিন্তা করতে হবে না Gallery April 24, 2024 Bangla Digital Desk অবসরের পর আয় কোথা থেকে আসবে? দৈনন্দিন খরচ চলবে কীভাবে? এর জন্যই রয়েছে পেনশন স্কিম। মোটা টাকা দিয়ে অ্যানুইটি প্ল্যান কিনতে হয়। বদলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেয় কোম্পানি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধুমাত্র সঞ্চয়ের উপর ভরসা করে অবসর জীবন কাটবে না। কারণ পর্যাপ্ত রিটার্ন নাও মিলতে পারে। এর সঙ্গে যোগ হবে মুদ্রাস্ফীতি। তাই সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা উচিত। এখানে এলআইসি-র কিছু পেনশন প্ল্যানের হদিশ দেওয়া হল। প্রতি মাসে মিলবে ১ লাখ টাকা পেনশন: এলআইসি-র এমন কিছু স্কিম রয়েছে যেখানে কম টাকা বিনিয়োগ করেও ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। ফলে অবসর জীবনের জন্য নিশ্চন্তে কাটাতে পারেন গ্রাহক। এলআইসি দেশের সুপরিচিত জীবন বিমা কোম্পানি। বেশ কিছু স্কিম রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করে গ্রাহক প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন পেতে পারেন। এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যান: এলআইসি সম্প্রতি জীবন উৎসব প্ল্যান নামে নতুন পলিসি নিয়ে এসেছে। নিশ্চিত রিটার্ন মেলে। সীমিত সময়ের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হয়। এর সঙ্গে গ্রাহক ১০ শতাংশ আয়ের সুবিধাও পান। এই পলিসিতে ৫ থেকে ১৬ বছরের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হয়। মেয়াদ শেষে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন মেলে। বিমার সঙ্গে নিশ্চিত রিটার্ন: এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যান পলিসি হোল্ডার ডেথ বেনিফিটের সুবিধাও পান। অর্থাৎ পলিসি চলাকালীন পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে প্রাথমিক পরিমাণ বা বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৭ গুণ, যেটা বেশি হয়, দেওয়া হয়। এছাড়া পলিসি হোল্ডার যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য পলিসি চালিয়ে যেতে চান, তাহলে আয় হিসেবে মূল বিমা করা অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হল, এত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে যখন, প্রিমিয়ামও নিশ্চয় বেশি দিতে হবে। এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যানে বয়স এবং আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়। যদি কারও বয়স ২৫ বছর হয় এবং তিনি ১০ লক্ষ টাকার বিমা চান এবং ১২ বছর প্রিমিয়াম দেন, তাহলে তাঁকে ২৫ বছর থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে। প্রথম বছরে ৯২,৫৩৫ টাকা এবং দ্বিতীয় বছর থেকে ১২ বছর ৯০৫৪২ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। এরপর ৩৯ বছর থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত টানা এক লাখ টাকা প্রিমিয়াম পাবেন পলিসি হোল্ডার।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC-র এই দুর্দান্ত স্কিমের মাধ্যমে যে কেউ প্রতি মাসে পেতে পারেন ১২,৩৮৮ টাকা পেনশন, দেখে নিন কীভাবে Gallery March 6, 2024 Bangla Digital Desk লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ LIC ভারতের বৃহত্তম বিমা সংস্থা। যা আজ বিভিন্ন বিমার জন্য খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই কোম্পানির প্রতিটি বয়সের জন্য এবং প্রতি বছর মানুষের জন্য নতুন কিছু স্কিম চালু করে। এর মধ্যে ৬০ বছর বয়সের পরে পেনশন পাওয়ার স্কিমও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এলআইসিরও এমন স্কিম আছে, যেখানে কেউ ৪০ বছর বয়সের পরেই পেনশন পেতে শুরু করেন। এই পলিসির নাম এলআইসি সরল পেনশন পলিসি। বর্তমান সময়ে সকলেই নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। কারণ মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে ভবিষ্যতে কী হবে, তা সকলেরই অজানা। এর জন্য এখন থেকেই সঞ্চয় করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সেই সঞ্চয় এমন কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, যেখান থেকে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। এর জন্য নিজেদের সঞ্চয় এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে, যেখানে সেই সঞ্চয় সুরক্ষিত। লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ LIC হল ভারতের বৃহত্তম বিমা সংস্থা। এদের বিভিন্ন ধরনের স্কিম রয়েছে, যেখান থেকে সুরক্ষিত ভাবে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। তেমনই একটি স্কিম হল এলআইসি সরল পেনশন পলিসি। লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ আয় গোষ্ঠী পর্যন্ত দেশের সমস্ত মানুষের জন্য স্কিম রয়েছে। এটা খুবই উপকারী স্কিম। যাঁরা নিজেদের বৃদ্ধ বয়সের জন্য ভাল রিটার্ন খুঁজছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে এলআইসি সরল পেনশন পলিসি। কারণ এই নীতির অধীনে যে কেউ অবসর গ্রহণের পর প্রতি মাসে পেনশন পেতে পারেন। অবসরের পর নিজের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে চাইলে LIC-র সরল পেনশন নীতিতে বিনিয়োগ করে নিজের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে এককভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। এর মানে কাউকে অ্যানুইটি কিনতে হবে! এই নীতিতে বিনিয়োগ করে, একজন ব্যক্তি মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক বা বার্ষিক পেনশন পেতে পারেন। কেউ একা বা নিজেদের স্ত্রীর সঙ্গে ভারতের জীবন বিমা কর্পোরেশনের এই পলিসি নিতে পারেন। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই – এলআইসি সরল পেনশন পলিসিতে আয় পলিসির মেয়াদ, প্রিমিয়ামের পরিমাণ এবং বিমাকৃত অর্থ দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই নীতির অধীনে চার ধরনের বিকল্প পাওয়া যায়। একক প্রিমিয়াম বিকল্পও উপলব্ধ! লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার এই নীতিতে সর্বাধিক বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। অর্থাৎ, যিনি যত বেশি বিনিয়োগ করবেন, পেনশনের পরিমাণ তত বেশি হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়ে ফেলেছেন PPO নম্বর, তাহলে কি এবার বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন ? কী করতে হবে জেনে নিন Gallery March 4, 2024 Bangla Digital Desk সরকারি কর্মীরা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রতি মাসে পেনশন পান। পেনশন প্রাপ্তিতে সমস্যা এড়াতে দেওয়া হয় পিপিও নম্বর। এর গুরুত্ব অনেক। ইপিএফ স্কিমের অধীনে যাঁদের পেনশন দেওয়া হয়, পিপিও নম্বর তাঁদের সনাক্তকরণ কোড হিসেবে কাজ করে। তাই প্রত্যেক পেনশনভোগীর অনন্য পিপিও নম্বর রয়েছে, যাতে ইপিএফও-র সমস্ত পেনশন সম্পর্কিত লেনদেন এবং যোগাযোগের বিবরণ নথিভুক্ত থাকে। ১২ সংখ্যার নম্বরটি পিপিও প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কোড এবং ক্রমিক নম্বর দিয়ে তৈরি। প্রথম পাঁচটি সংখ্যা পিপিও ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের কোড বোঝায়, শেষ দুটি সংখ্যা ইস্যু করার বছর নির্দেশ করে, এর পরের চারটি সংখ্যা পিপিও-র ক্রমিক নম্বর নির্দেশ করে এবং শেষ সংখ্যাটি ডিজিটাল কোড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এই সময় পিপিও নম্বর দেওয়া আবশ্যক। পিপিও নম্বর কী কাজে লাগে: এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের ইপিএফও পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন পেনশন পরিষেবাগুলি পাওয়ার জন্য পিপিও নম্বর থাকা গুরুত্বপূর্ণ। পেনশন স্লিপ ডাউনলোড, পেনশন সংক্রান্ত অভিযোগ নথিভুক্ত করা, ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট ইত্যাদির জন্য পেনশনভোগীকে অবশ্যই পিপিও নম্বর দিতে হবে। এই নম্বরের সাহায্যে পেনশন ট্র্যাক করা যায়। আর পিপিও নম্বর না থাকলে লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়া যায় না। পিপিও নম্বর ভুলে গেলে কী হবে: পেনশনভোগীরা প্রায়ই পিপিও নম্বর ভুলে যান। বা ভুল নম্বর লেখেন। এতে পেনশনের আবেদন করার সময় বা পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। পিপিও নম্বর ভুলে গেলে সহজেই খুঁজে বের করা যায়। কীভাবে দেখে নেওয়া যাক। সবার প্রথমে ইপিএফও-র ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর অনলাইন সার্ভিসে গিয়ে ‘ফর এমপ্লয়িজ’ এবং তারপর পেনশনার্স পোর্টালে ক্লিক করতে হবে। এখানেই পিপিও নম্বর জানার অপশন রয়েছে। পেনশনভোগী পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ বিস্তারিত বিবরণ দিলেই পিপিও নম্বর চলে আসবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করুন, অবসরে পাবেন ১ কোটি টাকা, কীভাবে দেখুন Gallery February 28, 2024 Bangla Digital Desk মোটা টাকা জমাতে চাইলে বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে, এর কোনও মানে নেই। বরং মাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা জমিয়েও কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। না, ভুরু কোঁচকানোর কিছু নেই। এটা সত্যি। এই প্রতিবেদনে অঙ্ক কষে সেই হিসেবই দেখানো হল। বাজারে শত শত বিনিয়োগ বিকল্প রয়েছে। এগুলির অধিকাংশই মার্কেট লিঙ্কড এবং গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন প্রদান করে। অবসরকালীন বয়সে মোটা টাকা জমাতে এই বিনিয়োগ বিকল্পগুলির জুড়ি নেই। মিউচুয়াল ফান্ড সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান এর মধ্যে অন্যতম। মার্কেট লিঙ্কড বিনিয়োগে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ শুধু বিনিয়োগ করা পরিমাণের উপর নয়, সামগ্রিক কর্পাসের উপর সুদ মেলে। কেউ যদি মাসে ৩ হাজার টাকার এসআইপি করেন তাহলেও ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরে ১ কোটি টাকা হাতে আসতে পারে। কী করতে হবে: বিনিয়োগকারীকে মিউচুয়াল ফান্ডে মাসিক এসআইপি করতে হবে। সেটা একটি মিউচুয়াল ফান্ড হতে পারে কিংবা একাধিক। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্টক মার্কেট ভাল পারফরম্যান্স করার পর থেকে মিউচুয়াল ফান্ড প্রচুর রিটার্ন দিচ্ছে। যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ডের টাকাও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হয়, তাই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন রিটার্ন মিলছে। একটি এসআইপি-তে টানা ৩০ বছর ধরে যদি কেউ ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে যান তাহলে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০.৮০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন ধরে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ হবে ৯৫.১ লক্ষ টাকা। ম্যাচিউরিটিতে হাতে আসবে ১.০৫ কোটি টাকা। ৩০ বছর দীর্ঘ সময়। তাই কেউ যদি ২৫ বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন তাহলে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যেই তিনি ১.০৫ কোটি টাকার মালিক হতে পারবেন। এখন ৩০ বছরে আয় বাড়বে। সেই অনুযায়ী যদি বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়ানো হয় তাহলে ২ হাজার টাকার মাসিক এসআইপিতেই ১ কোটি টাকার বেশি কর্পাস জমা হয়ে যাবে। এর জন্য স্টেপ আপ এসআইপি বেছে নিতে হবে এবং প্রতি বছর এসআইপি-র পরিমাণ ১০ শতাংশ করে বাড়াতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Retirement Planning: মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন? অনায়াসেই সম্ভব, যদি কাজে লাগানো যায় এই ৫ উপায় Gallery February 26, 2024 Bangla Digital Desk অবসরে যদি টাকার চিন্তা করতে হয়, তাহলে তার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। তাই সুচিন্তিত বিনিয়োগের প্রয়োজন। এমন ভাবেই বিনিয়োগ করা দরকার কর্মজীবনে, যাতে অবসরে এসে একটা ঠিকঠাক পরিমাণ টাকা পেনশন হিসেবে পাওয়া যায়। মূল্যস্ফীতির বাজারে যদি সেই অঙ্কটা ৫০ হাজার থাকে, তাহলে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। তার জন্য কী করা দরকার, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে। সঠিক সময়ে বিনিয়োগ শুরুযত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করা যাবে, রিটার্নও তত বেশি আসবে। এটাই বিনিয়োগের প্রথম সূত্র। বিশেষজ্ঞরাও বলে থাকেন যে দীর্ঘমেয়াদেই বিনিয়োগ সর্বাপেক্ষা লাভ দেয়। এক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই বিনিয়োগ শুরু করতে হবে, উপার্জন যত সামান্যই হোক না কেন। বিনিয়োগের পরিমাণ সামান্য হোক, কিন্তু সেটা যদি রেকারিং করা যায়, তাহলে চক্রবৃদ্ধি হার সময়ের ব্যবধানে বেশ ভালই এক তহবিল গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্যবিনিয়োগের বাজারে একটা কথা খুবই প্রচলিত- সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখতে নেই। মানে সহজ, বিনিয়োগের টাকার পুরোটাই এক জায়গায় না খাটিয়ে তা নানা খাতে ভাগ করে দিতে হবে। এতে কোনও একটা দিকে কম রিটার্ন এলেও অন্য দিক তা পুষিয়ে দেবে, বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খুবই কাজের। পেনশন পরিকল্পনাবাজারে এমন বেশ কিছু পেনশন প্ল্যান আছে যেখানে বিনিয়োগ করে মাসিক ভিত্তিতে যেমন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, তেমনই একই সঙ্গে পাওয়া যায় জীবন বিমা কভারেজও। ফলে, মাসে ৫০ হাজার টাকা দেবে, এমন পেনশন প্ল্যানগুলো দেখে, তুলনামূলক বিচার করে বিনিয়োগ করতে হবে। পোর্টফোলিও চেকপ্রতি ৩ বা ৬ মাস অন্তর অন্তর পোর্টফোলিও চেক করা দরকার। যদি দেখা যায় কোনও একটি বিনিয়োগ তেমন ভাল পারফর্ম করছে না, সেক্ষেত্রে তা অন্য খাতে লাগাতে হবে। এভাবে বাজার বুঝে এগোলে মোটা এক তহবিল সহজেই গড়ে উঠবে। বিকল্প উপার্জনএটা শেষ ধাপ। বিনিয়োগ থেকে যদি মাসে ৫০ হাজার টাকা নাও ওঠে, তাহলেও এই উপায় কাজে আসবে। এক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া দেওয়া বা সাইড বিজনেসের কথা সময় থাকতে থাকতে পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। দরকার হলে সেই মতো রিয়েল এস্টেটে কর্মজীবনে বিনিয়োগও করা যায়।
ব্যবসা-বাণিজ্য দুর্দান্ত পলিসি নিয়ে এল LIC, আজীবন মিলবে ১ লাখ টাকার পেনশন, এখানে রইল বিনিয়োগের হিসেব-নিকেশ Gallery December 18, 2023 Bangla Digital Desk দুর্দান্ত পেনশন প্ল্যান চালু করেছে এলআইসি। অবসর নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। পলিসির নাম ‘এলআইসি জীবন উৎসব’। এই প্ল্যানের বিশেষত্ব হল, সীমিত সময় প্রিমিয়াম দিয়েই নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যাবে। এ থেকে ১০ শতাংশ আয়ের সুবিধাও দেয় এলআইসি। এলআইসি জীবন উৎসবের বিশেষত্ব: এলআইসি জীবন উৎসবের বিশেষত্ব হল, এর প্রিমিয়াম পে টার্ম ৫ থেকে ১৬ বছরের। অর্থাৎ সীমিত সময় প্রিমিয়াম দিতে হবে। কিন্তু রিটার্ন মিলবে জীবনভর। তবে মেয়াদের উপর নির্ভর করে কয়েক বছর অপেক্ষার পর পলিসির সুবিধা পেতে শুরু করবেন গ্রাহক। এই প্ল্যানে ডেথ বেনিফিটও পাওয়া যায়। পলিসি চলাকালীন পলিসিহোল্ডারের মৃত্যু হলে প্রাথমিক বিমা বা বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৭ গুণ, যেটা বেশি হয় সেটা দেওয়া হবে। ডেথ বেনিফিট কখনওই মোট প্রিমিয়ামের ১০৫ শতাংশের কম হবে না। একই ভাবে যদি পলিসি হোল্ডার পলিসির মেয়াদ শেষের পর বেঁচে থাকেন তাহলে প্রতি বছর এবং ফ্লেক্সি ভিত্তিতে ১০ শতাংশ আয়ের সুবিধা দেওয়া হয়। এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যানে ন্যূনতম নিশ্চিত পরিমাণ ৫ লাখ টাকা। ১ লাখ টাকার পেনশন কীভাবে মিলবে: ধরা যাক কারও বয়স ২৫ বছর। তিনি ১০ লাখ টাকার বিমা এবং ১২ বছরের প্রিমিয়াম পে টার্ম বেছে নিলেন। তাহলে তাঁকে ৩৬ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে। পলিসির প্রথম বছরে তাঁকে ৯২,৫৩৫ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে।X এর সঙ্গে ৪.৫ শতাংশ জিএসটি। দ্বিতীয় বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত প্রতি বছর প্রিমিয়ামের মেয়াদ হবে ৯০.৫৪২ টাকা। এর সঙ্গে ২.২৫ শতাংশ জিএসটি। প্রিমিয়াম পে টার্ম শেষ হওয়ার পর ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ৩৬ বছর বয়সে প্রিমিয়াম শেষ হলে তাঁকে ৩৭ এবং ৩৮ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ৩৯ বছর বয়স থেকে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি এলআইসি থেকে ১ লাখ টাকা পেনশন পাবেন। সোজা কথায় বিমাকৃত অর্থের ১০ শতাংশ।