পাক বোলারদের দাপট সামলে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে রাখলেন রাজাপক্ষ

শ্রীলঙ্কা – ১৭০/৬

#দুবাই: বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান নাকি তীব্র আর্থিক সংকটে ভেঙে পড়া শ্রীলংকা? এশিয়া কাপ ফাইনালে বাজিমাত করবে কারা এটাই ছিল বড় প্রশ্ন। রবিবার সন্ধ্যায় দুবাইতে শাদাব খান ও নাসিম শাহকে দলে ফেরাল পাকিস্তান। আগের ম্যাচে এই দুই ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। ব্যাট করতে নামল শ্রীলঙ্কা।

প্রথম ওভারেই নাসিম শাহের বলে আউট কুশল মেন্ডিস। নিখুঁত ইনসুইং বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। হ্যারিস রউফের বলে আউট নিসঙ্ক। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় উইকেটের পতন। তুলে মারতে গিয়েছিলেন লঙ্কার ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ক্যাচ ধরেন বাবর আজম। হ্যারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন দানুষ্কা গুণতিলকা। বাহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাট নামানোর আগে উইকেট ভেঙে যায়।

অষ্টম ওভারে আবার ধাক্কা লাগে শ্রীলংকার। সেট হয়ে যাওয়া ধনঞ্জয় দিসিলভা ইফতিকারের হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন ২৮ করে। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লে এবং প্রথম ১০ ওভারে ম্যাচে দাপট ছিল পাকিস্তানের। অত্যন্ত খারাপ শট খেলে আউট হলেন শ্রীলংকার অধিনায়ক শানাকা। দুই করে ক্রস শট খেলতে গিয়ে শাদাব খানের বলে বোল্ড হলেন।

শ্রীলংকার পক্ষে বড় টার্গেট তোলা সম্ভব নয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলংকার রান ছিল ৬৭/৫। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছিল পাকিস্তান। তাদের পেস এবং স্পিনের যুগলবন্দীতে লঙ্কার অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠছিল। ১৪ ওভারে ১০০ পূর্ণ হল শ্রীলংকার।

এই জায়গা থেকে শ্রীলংকার হয়ে কিছুটা জমি তৈরি করলেন রাজাপক্ষ এবং হাসারাঙ্গা। ৫০ রানের পার্টনারশিপ তৈরি হল দুজনের। কিন্তু দুর্দান্ত খেলতে থাকা হাসারাঙ্গা (৩৬) করে আউট হয়ে গেলেন রউফের বলে। রউফ তুলে নিলেন তিনটি উইকেট।