প্রতীকী ছবি

হাতির মৃত্যুর পরেই বড় সিদ্ধান্ত…! হুলাপার্টির সদস্যদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বন দফতর 

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টির কড়া নিন্দা করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃতদের যাতে কড়া শাস্তি হয় সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামে হাতিমৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে বনদফতর। ইতিমধ্যেই হুলা পার্টির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েই দফতরের দুই সদস্যের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কয়েকটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। হাতিগুলিকে যখন হুলা পার্টি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে হয় তখন প্রচুর জমায়েত হতে শুরু করে। পরে অনুরোধ করার পরেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে হাতি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মানুষকে পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ।

এছাড়াও হুলাপার্টিকে চিহ্নিত করতে হাতি ড্রাইভের জন্য অন্য পোশাক দেওয়া হবে। পাশাপাশি হুলাপার্টির সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁদের জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করার ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও যাঁরা বনদফতরের কর্মী থাকবেন তাঁদের পোশাকে বসানো হবে ক্যামেরা। এই পদক্ষেপ গুলি আরও বিস্তারিত জানাতে রাজ্যের বনাঞ্চল সন্নিহিত গ্রাম বা যেখানে হাতির আনাগোনা বাড়ছে সেই সব জায়গায় ঢালাও প্রচার হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

 ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে ঝাড়গ্রামের সত্যবানপল্লী এলাকায় হাতির হামলায় অনুপ মল্লিক নামে একজনের মৃত্যু হয়। ওই দিনই শহরের রাজকলেজ সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি হাতি ঢুকে পড়ে। তাদের তাড়াতে হুলা পার্টি আসে। তাদেরই একজনের ছোঁড়া জ্বলন্ত লোহার রড একটি অন্তঃসত্ত্বা মাদি হাতির পিঠে গেঁথে যায়। তাতেই ১৬ অগাস্ট মারা যায় হাতিটি। তা নিয়ে সোচ্চার হন গ্রামবাসীরা এবং তাবৎ পশুপ্রেমী। তাঁরা প্রশিক্ষণহীন হুলা কর্মী নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর শাস্তি দাবি করেন।