ওয়াই ওয়াই বিনোদ চৌধুরির উদ্যোগের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তবে তিনি নিজেকে শুধুমাত্র এই ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি ন্যাশনাল প্যানাসনিকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেন এবং নেপালের বাজারে সুজুকি গাড়ি চালু করার চেষ্টা করেন। তাঁর ব্যবসায়িক মন সর্বদা নতুন সম্ভাবনার সন্ধান করে চলে, যা তাঁকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়। ১৯৯০ সালে বিনোদ চৌধুরি সিঙ্গাপুরে সিনোভেশন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে, ১৯৯৫ সালে তিনি দুবাই সরকারের কাছ থেকে নাবিল ব্যাঙ্কে একটি নিয়ন্ত্রক অংশীদারিত্ব অর্জন করেন, যা তাঁকে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে। তবে, সব স্বপ্ন যে সত্য হয়, এমনটাও নয়, নিয়তি বলে একটা ব্যাপার থাকেই।

Binod Chaudhary: নেপালের ধনকুবেরের ব্যবসায়িক পণ্য মেলে আপনার পাড়ার দোকানেও, বড় কিছু করতে চাইলে হাঁটতে হবে বিনোদ চৌধুরির পথে

ধনী হওয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে। তার জন্য ব্যবসার পথ বেছে নিলে উদ্যমী হওয়া প্রয়োজন তো বটেই। দরকার সুচিন্তিত পদক্ষেপ, সুযোগের সদ্ব্যবহার, তুখোড় বাস্তববুদ্ধি। আর পণ্য? ইতিহাস বারে বারে প্রমাণ করে দিয়েছে যে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে চাইলে পণ্য এমনই হওয়া উচিত, যা সমাজের একেবারে সাধারণ স্তরের নাগরিকের নাগালে থাকে।
ধনী হওয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে। তার জন্য ব্যবসার পথ বেছে নিলে উদ্যমী হওয়া প্রয়োজন তো বটেই। দরকার সুচিন্তিত পদক্ষেপ, সুযোগের সদ্ব্যবহার, তুখোড় বাস্তববুদ্ধি। আর পণ্য? ইতিহাস বারে বারে প্রমাণ করে দিয়েছে যে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে চাইলে পণ্য এমনই হওয়া উচিত, যা সমাজের একেবারে সাধারণ স্তরের নাগরিকের নাগালে থাকে।
সেই কথা নতুন করে সত্য প্রমাণিত করেছেন নেপালের বিনোদ চৌধুরি। ধনকুবের হলেও বিনোদ চৌধুরির নাম বড় একটা কেউ জানেন না, অন্তত আমাদের এই দেশে তো বটেই। যাঁরা ধনী হিসেবে দেশে এবং বিদেশে নিজেদের সুনামের আলো বিস্তার করেছেন সমাজে, তাঁদের পাশাপাশি তুলনা করলে বিনোদ চৌধুরির অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে আসবে। পরিসংখ্যান বলছে যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক। তাঁর মোট মূলধন ২৪৭ বিলিয়ন ডলার।
সেই কথা নতুন করে সত্য প্রমাণিত করেছেন নেপালের বিনোদ চৌধুরি। ধনকুবের হলেও বিনোদ চৌধুরির নাম বড় একটা কেউ জানেন না, অন্তত আমাদের এই দেশে তো বটেই। যাঁরা ধনী হিসেবে দেশে এবং বিদেশে নিজেদের সুনামের আলো বিস্তার করেছেন সমাজে, তাঁদের পাশাপাশি তুলনা করলে বিনোদ চৌধুরির অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে আসবে। পরিসংখ্যান বলছে যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক। তাঁর মোট মূলধন ২৪৭ বিলিয়ন ডলার।
নেপালের ধনকুবেরের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কেন বিশ্বের প্রক্ষাপট প্রয়োজন হল, সে কথায় পরে আসা যাবে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন বিনোদ চৌধুরি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৮ বিলিয়ন ডলার। ধনীদের তালিকায় তিনিই নেপালের একমাত্র ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর নাম যেমন অনেকেরই অজানা, বিনোদ চৌধুরি কী কাজ করেন এবং কীভাবে তিনি এত টাকা উপার্জন করেন, সে সম্পর্কেও বেশিরভাগ লোকে কিছু জানে না আমাদের দেশে।
নেপালের ধনকুবেরের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কেন বিশ্বের প্রক্ষাপট প্রয়োজন হল, সে কথায় পরে আসা যাবে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন বিনোদ চৌধুরি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৮ বিলিয়ন ডলার। ধনীদের তালিকায় তিনিই নেপালের একমাত্র ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর নাম যেমন অনেকেরই অজানা, বিনোদ চৌধুরি কী কাজ করেন এবং কীভাবে তিনি এত টাকা উপার্জন করেন, সে সম্পর্কেও বেশিরভাগ লোকে কিছু জানে না আমাদের দেশে।
ফোর্বস বলছে যে, বিনোদ চৌধুরি নেপালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং সেই দেশের একমাত্র বিলিয়নিয়ার। তিনি প্রধানত বিখ্যাত ইনস্ট্যান্ট নুডল ব্র্যান্ড ওয়াই-ওয়াই-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে, যা ভারতে ম্যাগির মতো বড় ব্র্যান্ডকেও জোরদার প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছে। ওয়াই ওয়াইয়ের স্বাদে মুগ্ধ হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কলকাতাতেও বড় কম নয়। তা মেলে পাড়ার মুদির দোকানবেও। ফোর্বসের হিসেবে, বিনোদ চৌধুরির মোট সম্পদের পরিমাণ 15,000 কোটি টাকার ($১.৮ বিলিয়ন) বেশি। তবে, শুধুই অঢেল উপার্জন নয়, নেপালের অর্থনীতিতে বিনোদ চৌধুরির অবদান এবং কৃতিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায় যে তিনি জেআরডি টাটার দেখানো পথে ব্যবসায়িক অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন।
ফোর্বস বলছে যে, বিনোদ চৌধুরি নেপালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং সেই দেশের একমাত্র বিলিয়নিয়ার। তিনি প্রধানত বিখ্যাত ইনস্ট্যান্ট নুডল ব্র্যান্ড ওয়াই-ওয়াই-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে, যা ভারতে ম্যাগির মতো বড় ব্র্যান্ডকেও জোরদার প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছে। ওয়াই ওয়াইয়ের স্বাদে মুগ্ধ হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কলকাতাতেও বড় কম নয়। তা মেলে পাড়ার মুদির দোকানবেও। ফোর্বসের হিসেবে, বিনোদ চৌধুরির মোট সম্পদের পরিমাণ 15,000 কোটি টাকার ($১.৮ বিলিয়ন) বেশি। তবে, শুধুই অঢেল উপার্জন নয়, নেপালের অর্থনীতিতে বিনোদ চৌধুরির অবদান এবং কৃতিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায় যে তিনি জেআরডি টাটার দেখানো পথে ব্যবসায়িক অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন।
কাঠমান্ডুর যে পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারও পেশা ছিল ব্যবসা। তাই ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল। বিনোদ চৌধুরির সাফল্যের কাহিনী দেখিয়ে দেয় যে কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক চিন্তাভাবনা এক খাতে মিলে গেলে প্রতিটি স্বপ্ন সত্য হতে পারে।
কাঠমান্ডুর যে পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারও পেশা ছিল ব্যবসা। তাই ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল। বিনোদ চৌধুরির সাফল্যের কাহিনী দেখিয়ে দেয় যে কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক চিন্তাভাবনা এক খাতে মিলে গেলে প্রতিটি স্বপ্ন সত্য হতে পারে।
বিনোদ চৌধুরির জীবনে সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন তিনি থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান। সেখানে তিনি দেখলেন ইনস্ট্যান্ট নুডলস খুবই জনপ্রিয়। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে এবং তিনি নেপালে ওয়াই ওয়াই নুডলসের ব্যবসা শুরু করেন। ওয়াই ওয়াই শীঘ্রই শুধু নেপালে নয়, ভারত এবং অন্যান্য দেশেও একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। ভারতে ম্যাগির আধিপত্য সত্ত্বেও ওয়াইওয়াই নিজের জন্য একটি বিশেষ পরিচয় তৈরি করে নিয়েছে। এর স্বাদের বৈচিত্র্য এবং দ্রুত রান্নার ধরন এটিকে খুব দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলেছে। এখানেই থেমে থাকেনি ব্যবসার যাত্রাপথ।
বিনোদ চৌধুরির জীবনে সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন তিনি থাইল্যান্ড ভ্রমণে যান। সেখানে তিনি দেখলেন ইনস্ট্যান্ট নুডলস খুবই জনপ্রিয়। এই অভিজ্ঞতা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে এবং তিনি নেপালে ওয়াই ওয়াই নুডলসের ব্যবসা শুরু করেন। ওয়াই ওয়াই শীঘ্রই শুধু নেপালে নয়, ভারত এবং অন্যান্য দেশেও একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। ভারতে ম্যাগির আধিপত্য সত্ত্বেও ওয়াইওয়াই নিজের জন্য একটি বিশেষ পরিচয় তৈরি করে নিয়েছে। এর স্বাদের বৈচিত্র্য এবং দ্রুত রান্নার ধরন এটিকে খুব দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলেছে। এখানেই থেমে থাকেনি ব্যবসার যাত্রাপথ।
ওয়াই ওয়াই বিনোদ চৌধুরির উদ্যোগের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তবে তিনি নিজেকে শুধুমাত্র এই ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি ন্যাশনাল প্যানাসনিকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেন এবং নেপালের বাজারে সুজুকি গাড়ি চালু করার চেষ্টা করেন। তাঁর ব্যবসায়িক মন সর্বদা নতুন সম্ভাবনার সন্ধান করে চলে, যা তাঁকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়। ১৯৯০ সালে বিনোদ চৌধুরি সিঙ্গাপুরে সিনোভেশন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে, ১৯৯৫ সালে তিনি দুবাই সরকারের কাছ থেকে নাবিল ব্যাঙ্কে একটি নিয়ন্ত্রক অংশীদারিত্ব অর্জন করেন, যা তাঁকে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে। তবে, সব স্বপ্ন যে সত্য হয়, এমনটাও নয়, নিয়তি বলে একটা ব্যাপার থাকেই।
ওয়াই ওয়াই বিনোদ চৌধুরির উদ্যোগের সবচেয়ে বড় পরিচয়, তবে তিনি নিজেকে শুধুমাত্র এই ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি ন্যাশনাল প্যানাসনিকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেন এবং নেপালের বাজারে সুজুকি গাড়ি চালু করার চেষ্টা করেন। তাঁর ব্যবসায়িক মন সর্বদা নতুন সম্ভাবনার সন্ধান করে চলে, যা তাঁকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়। ১৯৯০ সালে বিনোদ চৌধুরি সিঙ্গাপুরে সিনোভেশন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে, ১৯৯৫ সালে তিনি দুবাই সরকারের কাছ থেকে নাবিল ব্যাঙ্কে একটি নিয়ন্ত্রক অংশীদারিত্ব অর্জন করেন, যা তাঁকে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে। তবে, সব স্বপ্ন যে সত্য হয়, এমনটাও নয়, নিয়তি বলে একটা ব্যাপার থাকেই।
বিনোদ চৌধুরি ভারতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে পারিবারিক দায়িত্ব তাঁকে ব্যবসার জগতে ঠেলে দেয়। সেই দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি পারিবারিক ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
বিনোদ চৌধুরি ভারতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে পারিবারিক দায়িত্ব তাঁকে ব্যবসার জগতে ঠেলে দেয়। সেই দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি পারিবারিক ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
নেপালের অর্থনীতিতে যেমন, তেমনই সামাজিক ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অপরিসীম। ২০১৫ সালে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য তিনি অকাতরে অর্থ ব্যয় করে গিয়েছিলেন। তিনি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়িঘর ও স্কুল পুনর্নির্মাণের জন্য ২০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দুর্যোগের অব্যবহিত পর পর নেপালের নাগরিকদের জীবনধারণের প্রাথমিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন জুসের বক্স এবং ওয়াই ওয়াই নুডলসের প্যাক সরবরাহ করেছিলেন। আসলে বিনোদ চৌধুরি বিশ্বাস করেন যে সমাজ থেকে তিনি যা পেয়েছেন, বিনিময়ে কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচেষ্টা তাঁর চিন্তাধারার প্রমাণ বলতে দ্বিধা নেই।
নেপালের অর্থনীতিতে যেমন, তেমনই সামাজিক ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অপরিসীম। ২০১৫ সালে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য তিনি অকাতরে অর্থ ব্যয় করে গিয়েছিলেন। তিনি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়িঘর ও স্কুল পুনর্নির্মাণের জন্য ২০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দুর্যোগের অব্যবহিত পর পর নেপালের নাগরিকদের জীবনধারণের প্রাথমিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন জুসের বক্স এবং ওয়াই ওয়াই নুডলসের প্যাক সরবরাহ করেছিলেন। আসলে বিনোদ চৌধুরি বিশ্বাস করেন যে সমাজ থেকে তিনি যা পেয়েছেন, বিনিময়ে কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচেষ্টা তাঁর চিন্তাধারার প্রমাণ বলতে দ্বিধা নেই।