পরিবার মানেনি সম্পর্ক, থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন যুগল; তারপর যা হল…

পরিবার মানেনি সম্পর্ক, থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন যুগল; তারপর যা হল…

চিত্রকূট: কথায় বলে, ‘স্বামী-স্ত্রী রাজি থাকলে কী করবে কাজি?’ আর এই কথাটাই আরও একবার ফলে গেল উত্তর প্রদেশের চিত্রকূট জেলায়! আসলে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন এক প্রেমিক-প্রেমিকা। অথচ তাঁদের দু’জনের বাড়ির লোক তাঁদের সম্পর্ক মানতে চাননি। অবশেষে পুলিশকেই অবতীর্ণ হতে হল ত্রাতার ভূমিকায়। থানাকেই পরিণত করা হয় বিয়ের মণ্ডপে ! পুলিশকর্মীদের তত্ত্বাবধানেই এক হয় তরুণ-তরুণীর চার হাত। আর মানিকপুর থানার অন্তর্গত দারাই চুরাহ কেশরুভা গ্রামের এই বিয়েই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- কলকাতায় রেকর্ড গরম ! আগামী রবিবার থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

আসলে লাভলেশ নামে এক ব্যক্তির কন্যা প্রভা এবং সুগ্রীব নামে এক ব্যক্তির পুত্র নীরজ প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রভা এবং নীরজ বিয়ে করে সংসার পাততে চেয়েছিলেন। এমনকী, তাঁদের সম্বন্ধও পাকা হয়। ওই বছরেই তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই মত বদল করেন লাভলেশ। তিনি কন্যা প্রভাকে অন্যত্র পাত্রস্থ করার কথা ভাবেন। রীতিমতো সম্বন্ধ করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই পরিস্থিতিতে মানিকপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রভা। কারও ইচ্ছাতে সম্বন্ধ করে বিয়ে করার বিষয়ে অভিযোগ জানান।

আরও পড়ুন– রেলস্টেশনে খিদে-তৃষ্ণায় কাতর যুবক; উদ্ধার করার পরে তাঁর পরিচয় জেনে চমকে গেলেন উদ্ধারকারীরা !

এরপরেই নড়েচড়ে বসেন থানার পুলিশকর্মীরা। ওই থানার ইনচার্জ রীতা সিং দু’জনের বাবা-মা, পরিবার এবং গ্রামবাসীদের থানায় ডেকে বোঝান। এমনকী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানান যে, প্রভা এবং নীরজ দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। অনেক বোঝানোর পর উভয় পক্ষই বিয়েতে রাজি হয়। এরপর আর কী! থানার শিব মন্দিরে তৈরি হয় বিয়ের মণ্ডপ। পণ্ডিত ডেকে রীতিমতো হিন্দু আচার মেনে চার হাত এক করে দেন তাঁরা। থানায় বিয়ের এহেন আয়োজন দেখে গোটা এলাকা আনন্দে মেতে ওঠে। বিবাহ শেষে দম্পতিকে সুখী জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানানো হয়।

আরও পড়ুন– থাকবে ৪০০ গেট আর ৫টি সমান্তরাল রানওয়ে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ হতে চলেছে দুবাইয়ের নয়া বিমানবন্দর; খরচ শুনলে মাথা রীতিমতো ঘুরে যাবে !

বিয়ের পর বর নীরজ বলেন, “মেয়ের পরিবারের সদস্যরা বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। মেয়েটি বাড়িতে এসে জানায় যে, আজকেই বিয়ে করতে হবে। তারপর আমরা দু’জনেই থানায় পৌঁছে পুরো ঘটনা থানার ইনচার্জকে বলি। তিনিই আমাদের বিয়ে দিয়েছেন। আর এই বিয়েতে আমরা খুবই খুশি।”

নববধূ প্রভা বলেন, “আমি এই বিয়েতে খুবই খুশি। তবে আমার পরিবার মাস ছয়েক আগে এই বিয়ের আয়োজন করলে ভাল হত। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নীরজের বাড়িতে পৌঁছই। আমরা দু’জনেই একে অপরকে খুবই ভালবাসি। আসলে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’’