অনিরুদ্ধ কির্তনীয়া, বনগাঁ: বিজেপির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের। কিছুটা অবাক শোনালেও এমনটাই এ বার দেখছে বনগাঁর মানুষ। শুক্রবার বিজেপির বিধায়ক হিসেবে ইস্তফা দিয়েছেন বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাগদায় বিজেপির বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু পরে তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে। এবার বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী তিনি। তাই এদিন ইস্তফা দেন বিজেপির বিধায়ক পদ থেকে। আর তারপরই বিশ্বজিৎকে প্রবল আক্রমণ শানান বনগাঁ লোকসভারই বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।
বিশ্বজিৎ দাসের বিধায়ক পথ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে আক্রমণ শানালেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, ”ও (বিশ্বজিৎ দাস) কী করছে, আর কী করবে সেটা ওঁর ব্যাপার। সম্পূর্ণ নিজের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করছে, এখানে মানুষ কোনও উপকারই পায়নি ওঁর থেকে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, ”বারবার দল পরিবর্তন! মানুষ এগুলো আশা করে না, মানুষ কী করে ওকে বিশ্বাস করবে?”
আরও পড়ুন: কলকাতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা! কাঁকুড়গাছিতে দুই শিশু সহ ৩ জনের উপর উঠে গেল গাড়ি, রক্তে ভাসল চারিদিক
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, ”বিজেপিতে যাওয়া মস্ত বড় ভুল ছিল!” এদিনও একই কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। বিশ্বজিতের সেই মন্তব্য প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ”বিজেপি যদি বিধায়ক না বানাত, তাহলে আজকে টিকিট পেত? পদ পেত? এবার হারার পরে কী হবে? আবার বিজেপিতে আসবে?”
এদিকে, প্রথম দফার নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে শান্তনু বলেন, ”উত্তরবঙ্গ সম্পূর্ণই বিজেপির আয়ত্তে। সেখানে ভোট পেতে গেলেও মারপিঠ করতে হবে তৃণমূলকে। তবে, অশান্তি করলেও ফলাফল যা হওয়ার, তাই হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, ”ভোট আসলেই অশান্তি তৃণমূলের একটা ট্র্যাডিশনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এই তৃণমূলকে মানুষ দেখতে চাইছে না।”