জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জেলা জুড়ে এই ক’দিনে জনগর্জন সভার প্রস্তুতি হিসেবে ৫০০টি জনসভা করা হয়েছে।

TMC Brigade Rally: রবিবার জনগর্জন! সফল করতে মরিয়া তৃণমূল, জেলায় জেলায় প্রস্তুতি… স্লোগান কী থাকছে?

কলকাতা: রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা। জনগর্জন সভা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ব্রিগেডের এই জনগর্জন সভা সফল করতে দেওয়াল লিখন করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

শুধু তাই নয়, অঞ্চল, ব্লক এবং শহর স্তরে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে তৃণমূল। বিভিন্ন শহরে দু’তিনটি ওয়ার্ড পিছু একটি করে সভা করেছে। সেই সঙ্গে পথসভাও করেছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জেলা জুড়ে এই ক’দিনে জনগর্জন সভার প্রস্তুতি হিসেবে ৫০০টি জনসভা করা হয়েছে। সেই সভায় দলের জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, জেলার দলের সাংসদ বিধায়কেরা যেমন উপস্থিত থেকে বক্তব্য রেখেছেন, তেমনি মন্ত্রীরাও যোগ দিয়েছেন। ‘জনগণের গর্জন / বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন/ তৃণমূলই করবে অধিকার অর্জন’ এই স্লোগান ব্যবহার করবে তৃণমূল।

এবার ব্রিগেডের মঞ্চকে যেভাবে সাজাচ্ছে তৃণমূল, তা একেবারেই অভিনব। তিনটি বড় মঞ্চ, তার নীচে আরও দু’টি ছোট মঞ্চ থাকছে। এমন বন্দোবস্ত কখনও দেখেনি  বাংলা। মঞ্চ থেকে তৈরি হয়েছে ৩০০ ফুট লম্বা র‍্যাম্প। সেই র‌্যাম্প ধরে হেঁটে জনতার আরও কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন প্রায়  ৬০০ নেতা-নেত্রী।

এবারের ব্রিগেড মাঠের সভায় থাকবে ৩৩০ ফুট লম্বা এই র‍্যাম্প। এই র‍্যাম্প ধরেই মাঠে আসা তৃণমূল কর্মীদের কাছে পৌঁছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখবেন হেঁটে হেঁটেই। ওয়াকিবহাল মহলের মত, দর্শকাসনে থাকা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগের লক্ষ্যেই এমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ব্রিগেডে যে ধরনের র‌্যাম্প তৈরি হয়েছে, তা সাধারণত দেশ-বিদেশের বড় বড় ‘কনসার্ট’ আয়োজনে হয়ে থাকে। গোটা পরিকল্পনার মধ্যে যে অভিষেকের ভাবনার ছাপ রয়েছে, তা স্পষ্ট। কারণ অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রায় রাতের বেলা যে অধিবেশন মঞ্চ থাকত তাতেও ছিল আধুনিকতার ও নতুনত্বের ছাপ।