কলকাতা: জেলে বসেই পিএইচডি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পিএইচডির অ্যাডমিশন টেস্টে প্রথম হলেও তাঁর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। যদিও পরে অর্ণবের পিএইচডি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন কুণাল।
আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৫ জুলাই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে পিএইচডির কাউন্সিলিং। এর আগে গত 9 জুলাই ওই কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ৮ জুলাই সেই কাউন্সিলিং স্থগিত রাখে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। এবার ১৫ জুলাই হতে চলেছে সেই কাউন্সিলিং।
আরও পড়ুন: মানিকতলায় জিতেই বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, কুণালকে দায়িত্ব দিল দল
প্রসঙ্গত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে পিএইচডির অ্যাডমিশন টেস্টে প্রথম হন অর্ণব দাম। সংশোধনাগার থেকে পুলিশি প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন তিনি। দৃষ্টান্ত তৈরি করে অর্ণবই শীর্ষ স্থান পেয়েছিলেন মেধা তালিকায়। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়েই ইতিহাসে পিএইচডির ভর্তি পদ্ধতি স্থগিত রাখে বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: মানিকতলায় জিতেই বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের, কুণালকে দায়িত্ব দিল দল
হুগলির জেলে বন্দি অর্ণব দাম কী ভাবে বর্ধমানে ছ’মাসের বিশেষ ক্লাস স্বশরীরে উপস্থিত থেকে করবে তার উত্তর চেয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরে ১১ জুলাই কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে এই প্রসঙ্গে অর্ণবের পাশে দাঁড়িয়ে লেখেন, “শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর কথা হয়েছে। ওঁরা সহযোগিতা করবেন। অর্ণবকে হুগলি থেকে বর্ধমান জেলে সরানো হবে”। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে উপাচার্যের ভূমিকার সমালোচনাও করেন তিনি। অবশেষে হয়তো অর্ণবের পিএইচডি নিয়ে জট কাটতে চলেছে।