ঘোকসাডাঙা: একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে দুঃসাহসিক বাস ডাকাতির ঘটনা কোচবিহারে। মুহূর্তে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা মহকুমার অন্তর্গত ৩১ নং জাতীয় সড়কের ঘোকসাডাঙা বটতলা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ এবং জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। এছাড়াও ঘটনাস্থলে ছুটে যান উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়।
বাসের যাত্রীরা জানান, “এদিন একটি বাস নবদ্বীপ থেকে কোচবিহারের দিকে আসছিল। সেই বাসেই যাত্রী সেজে ছয় জনের দুষ্কৃতির একটি বসেছিল। সকলের মুখেই মাস্ক পরা ছিল এবং মাথাও ঢাকা ছিল। ঘোকসাডাঙার বটতলার নির্জন এলাকায় আসতেই দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে যাত্রীদের এবং চালায় গুলিও। সেই মুহূর্তে এক যাত্রী জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিতে গিয়ে আহত হন। এরপর দুষ্কৃতীরা বাসের ড্রাইভারকে মারধর করে। এবং বাসের ভেতরে থাকা তিনটি প্যাকেট নিয়ে নিচে নেমে পড়ে। তারপর এই সাদা একটি তার ছোট গাড়ি তারপর এই সাদা একটি বোলেরো গাড়ি করে পালিয়ে যায় এলাকা থেকে।”
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, “উত্তরবঙ্গে এই ধরনের দুঃসাহসিক বাস ডাকাতির ঘটনা অনেকদিন পরে ঘটলো। রাতের অন্ধকারে দু-একটি ডাকাতির ঘটনা শুনতে পাওয়া গেলেও। সচরাচর প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনা শুনতে পাওয়া যায় না। তবে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে। সেজন্য সকল জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তারা এই ডাকাতির বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।” ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশের কর্তারা। ধুপগুড়ি এলাকার দুদুয়া ব্রিজ নাকা চেকিং পয়েন্টে দুষ্কৃতীদের সেই গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
Sarthak Pandit