বাঁকুড়া: এমন এক বিজনেস আইডিয়ার কথা আলোচনা করা হবে যেখানে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব প্রথম মাস থেকেই। এই বিজনেস মার্কেটে কম্পিটিটর বলতে কেউ নেই। এবং এই ব্যবসার জন্য দক্ষিণবঙ্গ দারুণ এক জায়গা। সারা বছরই চলবে এই বিজনেস। প্রান্তিক বাঁকুড়ায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এমন কাজ! কি করতে হবে ?
আপনাকে কিনতে হবে একটি কৃষি ড্রোন, এবং সেই ড্রোন চালানো শিখে নিতে হবে কোনও লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানি থেকে। তারপর বিঘা প্রতি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে জল কিংবা তরল ওষুধ স্প্রে করতে হবে জমিতে। এই কাজ করে শেষ করতে পারছেন না সিমলাপালের ময়না সিংহ মহাপাত্র। তিনিও ড্রোন চালানো শিখে বিঘা প্রতি ১০০ টাকা নিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তরল ওষুধ। তিনি জানান একটি ড্রোন ব্যবহার করে দিনে ৬০০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং তাঁর হাতে প্রতিদিন কাজ আসছে যা তিনি করে শেষ করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর বিপদের শঙ্কা দুয়ারে…! ধেয়ে আসছে ঘাতক ‘লা নিনা’! কাঁপবে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড! আবহাওয়ার হাড়হিম সতর্কবাণী IMD-র
তবে এই কৃষি ড্রোন পাবেন কোথায়? ড্রোন চালানো শিখবেন কোথায়? সেই সবের উত্তর হলেন ময়না! ড্রোন কেনা এবং শেখানোর ব্যবস্থা সবই করিয়ে দেবেন ময়না সিংহ মহাপাত্র। ড্রোনের দাম সাড়ে সাত লক্ষ টাকা, তবে পাবেন ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকার সরকারি সাবসিডি। এই সাবসিডি পাবেন যেকোনও নাগরিক। অর্থাৎ প্রাথমিক ইনভেস্টমেন্ট সাড়ে তিন লক্ষ টাকার, তবে বর্তমানে এই ড্রোনের মাধ্যমে ব্যবসার যা চিত্র ধরা পড়ছে তাতে ৩-৪ মাস সময় লাগার কথা ইনভেস্টমেন্টের টাকা তোলার জন্য। বাজারে নেই আর কোনও কম্পিটিটর, সেই কারণে যেই শুরু করবেন সেই বাজার ধরতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন ময়না।
আরও পড়ুন-আশঙ্কাই সত্যি হল…! রাক্ষুসে গতিতে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’! ১২০ কিমি/ঘণ্টায় আছড়ে পড়বে, বাংলা থেকে কত দূরে সিভিয়ার সাইক্লোন? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস
একটি জমিতে হাতে করে স্প্রে করতে সময় লাগে অনেকক্ষণ। সেই কারণে কৃষকরা কিংবা জমি মালিকরা স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এতে বেঁচে যাচ্ছে সময়, ওষুধ এবং বাড়ছে ফলন। সব দিক থেকেই লাভবান হচ্ছেন কৃষক এবং ব্যবসায়ী দুজনেই। সেই কারণেই দক্ষিণবঙ্গের চাষযোগ্য এলাকা গুলিতে এই কৃষি ড্রোনের বিজনেস ফুলে ফেঁপে উঠবে কয়েক বছরের মধ্যে সেটা বলাই বাহুল্য। এমনটাই করে দেখাচ্ছেন ময়না সিংহ মহাপাত্র।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী