প্রতীকী ছবি৷

Calcutta high court: রাতে শান্তিতে ঘুমনোর পক্ষে রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট, মিষ্টি বিলি মুর্শিদাবাদের গ্রামে

কেদার প্রামাণিক, সামশেরগঞ্জ: রাতে শান্তিতে ঘুমনোর পক্ষে রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মুর্শিদাবাদে সামশেরগঞ্জের বাসন কারখানা ১৫ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই এলাকা থেকে বাসন কারখানা সরিয়ে ফেলতে হবে। কারখানার মালিককে ১৫ দিনের মধ্যে কারখানা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

এই রায় ঘোষণার পরেই এলাকার মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া। সোমবার সকালে গ্রামবাসীরা মিষ্টিমুখ করান। কারখানা বন্ধ করার নির্দেশে একটু স্বস্তির হাওয়া গ্রাম জুড়ে।

আরও পড়ুন: একেই বলে নিয়তি! ট্রাম্পকে নিশানা করা গুলি লাগল ভক্তের শরীরে, পরিবারকে বাঁচিয়েও মৃত্যু

বাসন কারখানার শব্দে রাতে ঘুম নষ্ট হচ্ছে। ফলে জীবনে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মুর্শিদাবাদের সামশেরঞ্জের ভাসাইপাইকর গ্রামের কয়েক জন গ্রামবাসী আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের বক্তব্য, ১৯৬৪ সালে ফরাক্কায় ব্যারেজ তৈরির প্রকল্পের জন্য ওই এলাকায় অনেক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি যায় মুর্শিদাবাদের মহব্বতপুর গ্রামের লোকেদেরও। পরে সরকারের তরফে জমিহারাদের কিছু পরিমাণে জায়গা দেওয়া হয়।

জিয়াউল শেখ-সহ জনস্বার্থ মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকার বাড়ি বানানোর জন্য ওই জমি দিয়েছিল। সেখানে জমি পেয়েছেন এমন এক ব্যক্তি বাড়ি না বানিয়ে সম্প্রতি বাসন তৈরির কারখানা করেন। ফলে ওই কারখানা থেকে ইস্পাতের ব্যাপক শব্দ হয়। রাতে ওই শব্দ আরও ভয়ানক আকার ধারণ করে। ওই শব্দে রাতে ঘুমোতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশের ক্ষতিও করছে। এ সবের পরেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি৷

শেষ পর্যন্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভাসাইপাইকর গ্রামের বাসিন্দারা৷ আদালতের নির্দেশের পর এবার রাতে নির্বিঘ্নে ঘুমোবেন, আশা গ্রামের বাসিন্দাদের৷