পূর্বস্থলী, পূর্ব বর্ধমান : আর নিজের ইচ্ছামত চুল কাটা যাবেনা! নতুন নিয়ম শুরু হল বিদ্যালয়ে। কেউ বিদ্যালয়ে যাচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড়দের মত চুল কেটে। কারও চুলের স্টাইল আবার সিনেমার নায়কদের মত। এছাড়া এখন অনেকেই রঙও করছে চুলে। চুল নিয়ে যেন কত রকম কায়দা। তবে বিদ্যালয় পড়াশোনার জায়গা, সেখানে এই আচরণ কাম্য নয়। বিদ্যালয়ে যেতে হবে ভদ্র ভাবে চুল কেটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্দিষ্ট এলাকার সেলুন মালিলদের ডেকে, এক অভিনব বৈঠক করলেন পূর্বস্থলীর পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩১০০ এর বেশি পড়ুয়া রয়েছে। প্রতিবছর বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে পড়ুয়ারা৷ কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছু পড়ুয়া এখন আধুনিক ভাবে চুল কেটে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে৷ কেউ চুল স্পাইক করছে , কেউ আবার হাজার হাজার টাকা দিয়ে চুল স্ট্রেট করিয়েছে। চুলে রঙ করেও কেউ কেউ আসছে বিদ্যালয়ে। চুল কাটার ডিজাইন দেখলে চক্ষু হবে চড়ক গাছ !
আরও পড়ুন : সকালে পাউরুটি না পেলে সিং নিয়ে গোঁসা দেখায় কালী! চেনেন এই কালীকে?
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বক্তব্য, এই রকম বিভিন্ন ধরনের চুলের কাটিংয়ের জন্য বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকারা বলার পরও তারা চুলের বিভিন্ন স্টাইল পাল্টাচ্ছে না। চুল নিয়ে কিছু বললেই গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা! আর এখানেই আপত্তি শিক্ষকদের৷ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত সামন্ত জানিয়েছেন, “এখন বেশ কয়েকটি ক্লাসের ছাত্রদের প্রবনতা দেখছি স্টাইলিশ ভাবে চুল কেটে সেখানে রঙ করে স্কুলে আসছে৷ তাই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের আগে ডেকে বুঝিয়েছি। এবার সেলুন মালিকদেরও ডেকে অনুরোধ করেছি। যাতে ছাত্রদের চুল ভদ্রভাবে কাটে৷ বিশ্বব্যাপী এখন এই চুলের স্টাইলের ট্রেন্ড চলছে। সহজে বদলানো যাবেনা, কিন্তু এটা একটা সমাজ পরিবর্তনের বড় পদক্ষেপ। আগামী দিনেও এই বিষয়ে বৃহত্তর জায়গায় আমরা জানাব।”
আরও পড়ুন : পশু পাখির খেলা নেই তাতে কী! বর্ধমানের সার্কাসে আকর্ষণীয় চমক ভীড় টানতে
সেলুন মালিকরাও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দিয়েছেন পড়ুয়াদের ভদ্র সভ্য ভাবে চুল কাটার বিষয়ে। সমাজের কথা ভেবে, পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পূর্ব বর্ধমানের এই বিদ্যালয়ের নেওয়া উদ্যোগ সত্যিই অভিনব।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী