Category Archives: দক্ষিণ দিনাজপুর

Thekua Recipe: ছট পুজোয় বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন মুখরোচক ঠেকুয়া! রইল সহজ রেসিপি

প্রথমেই পরিমাণমতো আটা, সুজি, সামান্য ঘি, সাদা তেল, জল, চিনি, নারকেল কোড়ানো, মৌরি, এলাচ গুঁড়ো নিয়ে নিতে হবে।
প্রথমেই পরিমাণমতো আটা, সুজি, সামান্য ঘি, সাদা তেল, জল, চিনি, নারকেল কোড়ানো, মৌরি, এলাচ গুঁড়ো নিয়ে নিতে হবে।
গ্যাসে মাঝারি আঁচে কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মত জল দিয়ে দিতে হবে। এবার জল ফুটে উঠলে চিনি দিতে হবে। তারপর নাড়তে হবে, যতক্ষণ না গলে যাচ্ছে। চিনি জলের সঙ্গে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
গ্যাসে মাঝারি আঁচে কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিতে হবে। এবার জল ফুটে উঠলে চিনি দিতে হবে। তারপর নাড়তে হবে, যতক্ষণ না গলে যাচ্ছে। চিনি জলের সঙ্গে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
এবার একটা পাত্র নিয়ে তাতে পরিমাণ মত আটা, সুজি, নারকেল, মৌরি আর এলাচ গুঁড়ো দিন। সামান্য ঘি দিয়ে এবার সবকিছু ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে ধীরে ধীরে চিনির শিরা ঢেলে দিতে হবে। আর ভাল করে মেখে নিতে হবে।
এবার একটা পাত্র নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো আটা, সুজি, নারকেল, মৌরি আর এলাচ গুঁড়ো দিন। সামান্য ঘি দিয়ে এবার সবকিছু ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে ধীরে ধীরে চিনির শিরা ঢেলে দিতে হবে। আর ভাল করে মেখে নিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে আটা যেন খুব নরম করে মাখা না হয়। কারণ আটা নরম মাখা হলে তা পুরির মতো হয়ে যাবে।তাই সঠিক ভাবে ময়ান দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে আটা যেন খুব নরম করে মাখা না হয়। কারণ আটা নরম মাখা হলে তা পুরির মতো হয়ে যাবে।তাই সঠিক ভাবে ময়ান দিতে হবে।
আটা মাখা হয়ে গেলে তাতে ছোট ছোট লেচি করে নিতে হবে। এবার তা হাত দিয়ে চেপে পছন্দের শেপ দিতে হবে। চাইলে ঠেকুয়া বানানোর যে ছাঁচ পাওয়া যায় তাতে সেই লেচি দিয়ে চেপে দিতে হবে।ওই ছাঁচের আকারে তৈরি হয়ে যাবে ঠেকুয়া।
আটা মাখা হয়ে গেলে তাতে ছোট ছোট লেচি করে নিতে হবে। এবার তা হাত দিয়ে চেপে পছন্দের শেপ দিতে হবে। চাইলে ঠেকুয়া বানানোর যে ছাঁচ পাওয়া যায় তাতে সেই লেচি দিয়ে চেপে দিতে হবে।ওই ছাঁচের আকারে তৈরি হয়ে যাবে ঠেকুয়া।
এবার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে ছাঁচে বানানো ঠেকুয়া দিয়ে আঁচ হালকা রেখে ভেজে নিতে হবে। যাতে ভিতর থেকে কাঁচা না থাকে। এভাবে সমস্ত ঠেকুয়া লালচে ভাবে ভেজে নিতে হবে।সবশেষে ঠান্ডা হলেই তৈরি মজাদার ঠেকুয়া।
এবার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে ছাঁচে বানানো ঠেকুয়া দিয়ে আঁচ হালকা রেখে ভেজে নিতে হবে। যাতে ভিতর থেকে কাঁচা না থাকে। এভাবে সমস্ত ঠেকুয়া লালচে ভাবে ভেজে নিতে হবে।সবশেষে ঠান্ডা হলেই তৈরি মজাদার ঠেকুয়া।

South Dinajpur News : হস্টেল নাকি ভুতুড়ে বাড়ি! এমনই জীর্ণ দশা, পাশে ‌যেতেই গা ছমছম করবে

দক্ষিণ দিনাজপুর: গেটে ঝুলছে মরচে ধরা তালা,পড়েছে ধুলোর আস্তরণ। সানসেডথেকে ভেঙে পড়ছে সিমেন্টের চটা। এমনই জীর্ণ দশায় পড়ে রয়েছে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য তৈরি হওয়া আবাসিক হস্টেল। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে এবং তাদের আবাসিক শিক্ষা সুযোগ করে দিতে তৈরি হওয়ার পরেও আজও পর্যন্ত হস্টেল বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রশাসনও হোস্টেল খুলতে সেভাবে সচেষ্ট হয়নি। সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, রাজনৈতিকভাবেও এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

তবে, প্রশ্ন উঠছে ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে যে প্রকল্প তৈরি করা হল সেই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সমস্যা কোথায়? প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের বন্দর এলাকায় এই হস্টেল নবছর আগে তৈরি হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ না আসায় তা দূর থেকে দেখলে ভুতুড়ে বাড়ি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। হস্টেলের চারিদিক ঘিরে ফেলেছে জঙ্গলে। হস্টেল লাগোয়া মাঠে বড় বড় জঙ্গল গজিয়ে উঠেছে। ছাত্রী যাতায়াত তো দূরের কথা দিনের বেলা পুরুষ মানুষও ঢুকতেও ভয় পায় হস্টেল এলাকায়। জেলাশাসক অবশ্য বলেছেন,”নতুন করে প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের কাছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।”

আরও পড়ুন:হাতে লেখা নয়! চালু ই প্রেসক্রিপশন,আরও বেশি সুবিধা রোগীদের

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, এলাকার এক বাসিন্দা ২৫ শতক জায়গা দান করেছিলেন এই ছাত্রী আবাসটা গড়ে তোলার জন্য। কুমারগঞ্জের তৎকালীন বিধায়িকা মাহমুদা বেগমের উদ্যোগে ২০১২ সালে কাজ শুরু হয়ে দু বছরে তা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। প্রায় ২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হস্টেলে কোনদিনই কোনও ছাত্রী আসেনি। তবে, উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছাত্রীদের জন্য এই হস্টেল তৈরি করা হয়েছিল। অথচ কুমারগঞ্জে যে কলেজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার সেখানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার অত্যন্ত কম, যারা ভর্তি হন তারাও স্থানীয়। তাদের জন্য হস্টেলে থাকার প্রয়োজন হয় না। ফলে যে উদ্দেশ্যে হস্টেল তৈরি তা বাস্তবায়িত করা যায়নি।

সুস্মিতা গোস্বামী

South Dinajpur News: হাতে লেখা নয়! চালু ই প্রেসক্রিপশন,আরও বেশি সুবিধা রোগীদের

দক্ষিণ দিনাজপুর: হাতে লেখা প্রেসক্রিপশন আর নয়। এবার কম্পিউটারের মাধ্যমে লেখা ই প্রেসক্রিপশন হতে চলেছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগেই আপাতত ই প্রেসক্রিপশন চালু করতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মূলত, প্রথমেই শল্য ও সূচিবেধী (আকুপাংচার) বিভাগে এই ই প্রেসক্রিপশন চালু হচ্ছে। পরবর্তীতে সব বিভাগেই এই ই প্রেসক্রিপশন চালু হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বহির্বিভাগের প্রতিদিন প্রচুর রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন।

হাসপাতালের ওষুধের দোকানেও পরে লম্বা লাইন। অনেকেই প্রেসক্রিপশনে ওষুধের লেখা নাম পড়তে ও বুঝতে পারে না। ফলে তারা যত্রতত্র সেই প্রেসক্রিপশন বুঝতে ঘুরে বেড়ায়। রোগীদের অভিযোগ, অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে ওষুধ দেওয়ার সময় প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে ওষুধ ভালো করে রোগীদের বুঝিয়ে দেয় না স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফলে কোন ওষুধ কখন খাওয়া হবে কিংবা কত দিন চলবে, এমন বিস্তারিত কিছুই জানতে পারে না রোগীরা। এবারে এই ই প্রেসক্রিপশন এর মাধ্যমে মিলবে সেই পরিষেবা।

আরও পড়ুন:গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য-পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন? রোজ একটা এই ফল খান, ওষুধকে বলুন টাটা

জানা গিয়েছে, ওই প্রেসক্রিপশনে রোগীর নাম, রোগের সমস্ত তথ্য থাকবে। পাশাপাশি ওষুধের নাম দেওয়া থাকবে। তা কিভাবে খেতে হবে, কতদিন খেতে হবে, তা লেখা থাকবে। এমনকি বাড়তি কোন পরামর্শ থাকলেও তা স্পষ্ট করে লেখা থাকবে প্রেসক্রিপশনে। এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন,”স্বাস্থ্য দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে। তাই হাসপাতালে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করতে চলেছি। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”

আরও পড়ুন:সঙ্গ ছেড়েছে সন্তান! পড়েছিলেন ঘরে, পুলিশ-প্রশাসন যা করল কুর্নিশ জানাবেন

আপাতত মানসিক, নাক কান ও আকুপাংচার বিভাগে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করা হবে। আগামী দিনে ধীরে ধীরে সব বিভাগেই এই পরিষেবা চালু করা হবে। এই ই প্রেসক্রিপশন চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্য থেকে জেলায় এই প্রেসক্রিপশন চালুর নির্দেশিকা এসেছে। সেই মত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রথমে ছয়টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই প্রেসক্রিপশন পরিষেবা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু করা হয়েছিল। সেই প্রজেক্ট খুব ভালোভাবেই চলছে বলে জানা গিয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Dakshin Dinajpur News: সাইকেলকে সঙ্গী করে সার্কভুক্ত দেশগুলো ঘুরে দেখতে বেরোলেন মাধাই

দক্ষিণ দিনাজপুর: সাইকেলকে সঙ্গী করে কতটা দূর যাওয়া যেতে পারে? ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ এই বার্তা তুলে ধরে সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন তপনের মাধাই পাল।

পেশায় গাড়ি মিস্ত্রী মাধাই। করোনার সময় প্রথম সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের ভাবনা তাঁর মাথায় আসে। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন দেশ ভ্রমণের উদ্দ্যেশ্যে। গত ২ বছরে সাইকেলে করে দেশ ভ্রমণ করছেন। এরপর বাড়িতে কিছু দিন থেকে এখন বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিয়েন এই যুবক।

আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের পাম সিঙাড়ায় মজেছে পুরুলিয়া! এর বিশেষত্ব কী দেখুন

এদিন মাধাই পাল বালুরঘাট থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ওই যুবক সাইকেলে করে যাত্রা শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে মাধাই পাল জানান, ছোট থেকে তাঁর এই বিষয়ে তেমন কোনও ইচ্ছে না থাকলেও লকডাউনের সময়ে তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে জাগে। এরপরই সকলের সহযোগিতায় বেরিয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে টানা দুই বছরে সাইকেলে করে ভারত ভ্রমণ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে এবার সার্কভুক্ত দেশগুলো ভ্রমণ করবেন। তবে এই ভ্রমণ শুধু মনের শখ মেটাতে নয়, সেই সঙ্গে যুদ্ধের বদলে শান্তি ফিরিয়ে আনার মত গুরুত্বপূর্ণ দাবিও তুলে ধরছেন তিনি।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bangla News: সঙ্গ ছেড়েছে সন্তান! পড়েছিলেন ঘরে, পুলিশ-প্রশাসন যা করল কুর্নিশ জানাবেন

দক্ষিণ দিনাজপুর: সঙ্গ ছেড়েছে একমাত্র ছেলে। দায়িত্ব নিতে চায়নি নিকট আত্মীয়রা। অসহায় এক বৃদ্ধকে তার ঘর থেকে উদ্ধার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ ও বালুরঘাট পুরসভার কর্মীরা। বৃদ্ধের নাম সুধীর কয়াল। বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার অসুস্থ বৃদ্ধকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা হবে।

নিকট আত্মীয়রা দায়িত্ব নিতে চায়নি। সঙ্গ ছেড়েছে একমাত্র ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ও পুরসভা গিয়ে এই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, সুস্থ ছিলেন যখন, তখন একটি গ্যারেজে কাজ করতেন। কিন্তু এখন বয়সের ভারে অসহায় সুধীর কয়াল। বছর কয়েক আগেই মারা গিয়েছেন স্ত্রী। এখন বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর ঘোষপাড়ার বাড়িতে একাই থাকেন বৃদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ ১০০ কেজির গয়না ছেড়ে ফুলে সাজলেন ‘বড়মা’ কালী, বিসর্জন দেখল লক্ষ লক্ষ মানুষ, আপনিও প্রথম ছবি দেখুন ঘরে বসে

ছেলে-পুত্রবধূ রয়েছে বটে। কিন্তু তারা বৃদ্ধের সঙ্গে থাকেন না। তবে নিজের ছেলে নয়। পালিত পুত্র। মাস চারেক হল এই বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকছেন দু’জনে। অসহায় বৃদ্ধ একাই থাকছিলেন ঘোষপাড়ার বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবেশীরা প্রায় খাবার দাবার দিয়ে আসে। ছেলে-বৌমা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ভীষণ অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হচ্ছিল। ঘরের মধ্যেই শৌচকর্ম করছিলেন। ঘরের ভিতরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ।এমনকি খাওয়া-দাওয়াও ঠিকঠাক হত না।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছেলে রবি সাউ সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পর বাবার দেখভাল করার সময়টুকু পান না। বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান রয়েছে। দোকানে যখন কেউ কিছু কেনাকাটি করতে গেলে, তখন বৃদ্ধ খাবার চাইতেন। প্রতিবেশীরা অনেকেই বৃদ্ধকে খাওয়াতেন। কিন্তু ঘরের মধ্যে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বাড়িতে ঢুকতে পারতেন না কেউ।

বৃদ্ধের পুত্র রবি সাউ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “বাবাকে আমরাই দেখি। কাজের সুবিধার জন্য এখন অন্য জায়গায় থাকি। সকালে-রাতে বাবাকে খাবারও দিয়ে যাই। প্রতিবেশীরা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব বলেছেন।” এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ও পুরসভার উদ্যোগে বৃদ্ধ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বালুঘাট থানার পুলিশ ও পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

South Dinajpur News : সারের কালোবাজারি রুখতে কড়া কৃষি দফতর! এই নিয়ম না মানলেই বাতিল হবে লাইসেন্স

দক্ষিণ দিনাজপুর :জেলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি। সারের দাম নিয়ন্ত্রণ ও কালো বাজারি রুখতে ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকের সার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করছেন ব্লক কৃষি আধিকারিকরা। পাশাপাশি সার ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করল বালুরঘাট ব্লক কৃষি দফতর। দফতরের পক্ষ থেকে জানা যায়, বর্তমানে এনপিকে (১০:২৬:২৬) সারের চাহিদা সব থেকে বেশি। এই মৌসুমে প্রতিবছরই সারের দাম বৃদ্ধি পায়। ২৬:২৬ এর পরিবর্তে এনপিকে (১৫:১৫:১৫, ১৬:১৬:১৬, ১৬:২০:০:১৩) এই বিকল্প সারগুলি বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:  মিষ্টিমুখে হালকা ঝাঁজ! ভাইফোঁটায় এ বার সুপারহিট হল কাঁচালঙ্কার মিষ্টি

এ বিষয়ে বালুরঘাট ব্লক কৃষি অধিকর্তা তনয় সাহা বলেন, “রবি মরশুমে সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। তাই দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে এদিন সার ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সারগুলি চাহিদা বেশি রয়েছে। সেই সারের পরিবর্তে বিকল্প সার বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কৃষকদেরও নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে।” কৃষকদের পক্ষ থেকে জানা যায়, দিনের পর দিন সারের দাম বেড়েই চলেছে। দাম বৃদ্ধি হওয়ার ফলে সাধারণ কৃষকদের সার কিনতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি সার কিনতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। সারের যে এমআরপি মূল্য রয়েছে তার থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সাধারণ কৃষকদের।

প্রসঙ্গত, কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে জানানো বিকল্প সারগুলি ব্যবহার করলে কৃষকেরা কি কি সুবিধা পেতে পারে, সে সমস্ত বিষয়গুলিকে সাধারণ কৃষকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে দফতরের পক্ষ থেকে। অপরদিকে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৬২ জন সার ব্যবসায়ীকে শোকজ এর পাশাপাশি, ৪ জন সার ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি না করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার সাধারণ কৃষকদের সচেতন করতে গ্রামে গ্রামে লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। বালুরঘাট ব্লক কৃষি দফতরের তরফে বালুরঘাটের ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েতের নানা জায়গায় সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অভিযান চালানো হয়। আগামীদিনে এইধরণের অভিযান আরও বেশি করে চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে কৃষি দফতর তরফে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Viral Chilly Sweet: মিষ্টিমুখে হালকা ঝাঁজ! ভাইফোঁটায় এ বার সুপারহিট হল কাঁচালঙ্কার মিষ্টি

দক্ষিণ দিনাজপুর: “ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা”… এই শ্লোক ছাড়া ভাইফোঁটা যেমন অসম্পূর্ণ, পাশাপাশি মিষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ ভাইফোঁটা। এবারে ভাইফোঁটা উপলক্ষে বালুরঘাট জুড়ে লঙ্কার মিষ্টি দিদি বোনদের মন কেড়েছে ইতিমধ্যেই।

সকাল থেকেই ভাইফোঁটার জন্যে মিষ্টি কেনার হিড়িক চোখে পড়ার মতো। হরেক রকম মিষ্টির থালি সাজিয়ে বাজিমাত করছেন মিষ্টির বিক্রেতারাও।

আর ভাইদের প্লেটে মনকাড়া মিষ্টি সাজিয়ে দিতে, সকাল থেকেই প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায় বালুরঘাট শহরের মাহীনগর মিষ্টির দোকানে। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও ভাইফোঁটা স্পেশাল ঝাল মিষ্টি তৈরি করে তাক লাগিয়েছে। প্রসঙ্গত, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের অন্যতম উৎসব ভাইফোঁটা। ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে দিদি কিংবা বোন ভাই বা দাদার হাতে তুলে দেয় বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি ভর্তি প্লেট। তাই কোন দোকানের মিষ্টি ভাল সেদিকে খোঁজ থাকে দিদি ও বোনেদের।

ভাই বোনের এই মধুর সম্পর্কে মিষ্টি মুখ হবে না, তা কি হয়? তবে মিষ্টি হলেও স্বাদে একটু ঝাল। নিত্য নতুন ‘আইটেমে’র কাঁচা লঙ্কার ঝাল মিষ্টি, টমেটোর মিষ্টি পেয়ে খুশী ক্রেতারাও।

মিষ্টি বিক্রেতাদের কথায়, ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যেই নতুনত্ব চাহিদা অনুসারে প্রতিবছর ভাইফোঁটায় মিষ্টি বানানো হয়ে থাকে। এই বছরও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে তাই এবার কাঁচা লঙ্কার ঝাল মিষ্টি ও টমেটোর মিষ্টি বানানো হয়েছে। যার স্বাদ নিতে এমনকি ভাইয়ের পাতে এই মিষ্টি তুলে দিতে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে দোকানে।

সুস্মিতা গোস্বামী