Tag Archives: Balurghat

CCU Unit: জেলার মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আর শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না

দক্ষিণ দিনাজপুর: তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদরে অবস্থিত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ ব্লক। ফলে এই জেলার রোগীদের আর জরুরি পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না। এবার বালুরঘাটেই হবে জটিল পরিস্থিতির চিকিৎসা।

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে গড়ে ওঠা এই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে মোট ৫০ টি শয্যা থাকছে। হাসপাতাল সুপারের অফিস সংলগ্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । জেলা পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। সিসিইউ ব্লক তৈরি হলে নানা কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকৃত হবে জেলার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! এবার ঘুরতে গিয়ে আর‌ও সুবিধা

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রথমে মাত্র ৮ টি হাইব্রিড সিসিইউ বেড ছিল। যার ফলে পর্যাপ্ত বেডের অভাবে গুরুতর রোগীরা চরম সমস্যায় পড়তেন। পরে তা বাড়িয়ে সম্প্রতি ২৪ টি হাইব্রিড সিসিইউ বেড করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও চাহিদা মিটছিল না। ফলে জেলার বহু মানুষকে শিলিগুড়িতে ছুটতে হচ্ছিল।

এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, জেলা হাসপাতালে অত্যাধুনিক সিসিইউ ব্লক তৈরি হচ্ছে। যা অনেকটাই উন্নত বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্লকে ৫০ টি বেড থাকবে, সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে এই নতুন ইউনিটে। এছাড়া সিসিইউ ইউনিটের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকও থাকবে একাধিক।এতে মুমূর্ষু রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে যথেষ্টই উপকৃত হবেন। মোট ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ইউনিটটি তৈরি করা হচ্ছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bangla Video: নতুন বাঁধ তৈরি না হলে শেষ হয়ে যাবে চাষবাস! এখানে ভয়ঙ্কর সঙ্কট

দক্ষিণ দিনাজপুর: জল সঙ্কটের জেরে চাষবাস বন্ধ হতে বসেছে আত্রেয়ী নদীর উপরে অবস্থিত বাঁধের তীরবর্তী অঞ্চলে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু আরএলআই-এর মাধ্যমে জল দেওয়া পাম্পগুলি। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু ও জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর, গঙ্গাসাগর, ময়ামারি, গোপিনগর, রাধানগর এলাকার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এইরকমভাবে পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী বছরগুলিতেও চাষ বন্ধ হয়ে যাবে জলের অভাবে। মূলত বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প উচ্চতার একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আর সেই কংক্রিটের বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে আপার স্ট্রিমে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, এই বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই আত্রেয়ী নদীর জলের স্রোত একদিকে যেমন কমে গেছে, পাশাপাশি কমেছে জলস্তর। যার জন্য কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: প্রার্থীকে সামনে পেয়েই বিক্ষোভ! কাজ হল ম্যাজিকের মত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জলসঙ্কটের সমাধান

যে কারণে কৃষকদের মধ্যে থেকে দাবি উঠেছে নতুন আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হোক ফতেপুর এলাকায়। এমনকি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকার ফলে বালুরঘাট শহরের একাধিক এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি, বাঁধ খুলে দেওয়া হোক কিংবা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বেশ কিছু ভেতরে ফতেপুর এলাকায় আরও একটি স্বল্প উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করা হোক। স্বল্প উচ্চতার এই বাঁধ খুব শীঘ্রই নির্মাণ করা না হলে বহু কৃষক চাষবাস ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।

বর্তমানে বাঁধের সামনের অংশে প্রচুর জল থাকলেও বাঁধের পরবর্তী অংশে জল তেমন নেই বললেই চলে। আত্রেয়ী নদী ও তার সংলগ্ন বিভিন্ন খাড়ির জল দিয়ে সারাবছর চাষবাস হয়, কিন্তু যতদিন যাচ্ছে জলের পরিমাণ কমছে। এর ফলে এলাকার কৃষকরা রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

Lok Sabha Election 2024: নির্বাচন মিলিয়ে দেয় সবাইকে! ভোট না হলে দেখাই হত না! এ যেন মিলন উৎসব! জানুন

বালুরঘাট: ভোট তো নয় যেন উৎসব। কেউ কর্মসূত্রে থাকেন পরিবার থেকে কয়েকশো মাইল দূরে। আবার কেউ পড়াশোনার সূত্রে বাড়ি ছাড়া। পরিবার আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয় না তেমন। তবে ভোটের অজুহাতে একে অপরের সঙ্গে দেখা হয় আড্ডা হয়। তাই হয়তো সকলেই ভোট আসলেই বাড়ি আসার জন্য অপেক্ষা থাকেন।‌ মূল উদ্দেশ্য ভোটদান। কারণ এটি গণতান্ত্রিক অধিকার। আর এক গণতান্ত্রিক উৎসব এখন যেন পরিবারের মিলন উৎসব হয়ে উঠেছে।

বর্তমান যুগে মানুষের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। মহিলা থেকে পুরুষ সকলেই এখন পরিবার ছেড়ে দূরদূরান্তে চাকরি সূত্রে থাকেন। তেমন দেখা-সাক্ষাৎ হয় না পরিবার আত্মীয়-স্বজন এমনকি বন্ধু বান্ধবীর সঙ্গে। তাই হয় তো এই ভোট উৎসবকে কাজে লাগিয়েছে বালুরঘাটের দাস পরিবার। মৌমিতা দাস বলেন, কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকি। পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সময় হয় না। এই ভোটেই সকলের সঙ্গে দেখা হয় একসঙ্গে মজা করি খুব ভাল লাগে যদিও উদ্দেশ্য থাকে ভোট দেওয়া। দাস পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরায় কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার সূত্রে কেউ কলকাতা কেউ আবার রাজ্যের বাইরে থাকেন।

আরও পড়ুন:  তাপপ্রবাহ, হিটস্ট্রোক থেকে তো বাঁচাবেই! রোজ এক গ্লাস খেলেই বাড়বে এনার্জি, উধাও হবে ক্লান্তি!

 

এই ভোট উৎসবেই একমাত্র তারা সকলে একত্রিত হন।লোকসভা নির্বাচন বা পুরোসভা ভোট। তারা চেষ্টা করেন নির্বাচনের সময় বাড়িতে আসার। একদিকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হয়ে যায় পাশাপাশি পরিবারের সকলের সঙ্গে আড্ডা রেস্টুরেন্টে গিয়ে একসঙ্গে বসে খাওয়া হই হুল্লোড় করে থাকে এই দাস পরিবার।প্রতিটি ভোটের মতো লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট শহরের দাস পরিবার একত্রিত হয়েছে। এদিন সকাল সকাল পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই একসঙ্গে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সুস্মিতা দাস বলেন, প্রত্যেকেই বাড়ির বাইরে থাকে, ভোটের সময় সকলে একত্রিত হয়েছে। সকলে মিলে একসঙ্গে ভোট দিলাম। একসঙ্গে মজা করছি খুব ভাল দিন কাটছে।

হরষিত সিংহ

Lok Sabha Elections 2024: শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট! একনজরে প্রার্থী তালিকা, ভোটারের পরিসংখ্যান! নজরে বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা

বালুরঘাট: সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল শুক্রবার। এই দফায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন, যেখানে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্র, বর্তমানে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি, হরিরামপুর ও ইটাহার এই মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯০৭ জন। তার মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫২ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৭৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৭৯ জন। চলতি নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মোট প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ১৫৬৯, তার মধ্যে মডেল বুথ ১। এ ছাড়া চলতি নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মোট ভোট কর্মীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪০৮।

আরও পড়ুনঃ অবিকল মটনের মতো খেতে, মাত্র ৩০ টাকা কেজি! কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, বাজার খুঁজে আজই পাতে রাখুন

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ভোটদানের সময় সকাল সাতটা থেকে বিকেল ছ’টা পর্যন্ত। ভোট কেন্দ্র করে জেলাতে মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী ৭৩ কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকছে। প্রতিটি বুথে সিসিটিভি বসিয়ে ওয়েব কাস্টিং বাধ্যতামূলক থাকছে। পাশাপাশি, মোট রাজ্য পুলিশ কর্মী ৩০০০, ক্রিটিকাল বুথ ২৮৪+৪০। জেলা জুড়ে নাকা পয়েন্টের সংখ্যা ২৬।

সুস্মিতা গোস্বামী

Death: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড! তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে প্রবল শোরগোল, মুহূর্তেই সব শেষ! পরিবারে শুধুই কান্না

সুজন সূত্রধর ,গঙ্গারামপুর: কুমারগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। ঘটনায় শোকের ছায়া মৃতের পরিবার সহ এলাকাজুড়ে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে রবিবার কুমারগঞ্জের চকরাম রায় গ্রাউন্ডে জনসভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা শেষে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর।

মৃত এই তৃণমূল কর্মীর নাম সরিফ সরকার (৬৪), বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ী এলাকায়। সূত্রের খবর, সভা চলাকালীন অসুস্থবোধ করেন ওই তৃণমূল কর্মী। সভা শেষ করে বাড়ির ফেরার সময় জল পান করার সময় হঠাৎই কাঁপুনি শুরু হয় সরিফ সরকারের শরীরে।

আরও পড়ুন: ভোটের সময় দলবদলে চমকে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রানাঘাটে ভোটের আগেই ভাঙল বিজেপি

এরপরেই সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীরা সভাতে নিয়ে যাওয়া বাসে করেই গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে আসলেও শেষরক্ষা হয়নি। গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শরীফ সরকারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রখর রৌদ্রের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবারের সদস্যরা।

খবর শোনা মাত্রই গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছুটে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, গৌতম দাস সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানিয়েছেন, মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে থাকবেন তারা।

TMC Councilor Dead Body: ভোটের আগে হাড়হিম ঘটনা! TMC প্রাক্তন কাউন্সিলরের রহস্যমৃত্যু! রেললাইনে দু’টুকরো দেহের পাশে ভোটার কার্ড!

দক্ষিণ দিনাজপুর: নিখোঁজ ছিল তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। সেই কাউন্সিলরের দেহ উদ্ধার হল গাজলের রেল লাইনে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বালুরঘাট শহরে। পুলিশ সূত্রে খবর মেলে, এদিন গাজোলে সৈয়দপুর এলাকায় রেললাইনের পাশে দেবজিৎ রুদ্রর দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার হয়েছে। যিনি বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর।

আরও পড়ুন: বাজারে কমে আসছে সবজির পরিমাণ! এদিকে দাম বাড়ছে হুহু করে! ভয়ঙ্কর দিনের আশঙ্কা, কারণ শুনে আঁতকে উঠবেন!

৫৯ বছর বয়সি প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শহরে বাপি রুদ্র বলেই পরিচিত। জনপ্রিয় এই প্রাক্তন কাউন্সিলারের দেহ টুকরো টুকরো ভাবে উদ্ধার হয়েছে গাজলের রেললাইনে। এই মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল এলাকায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে তৃণমূলের প্রথম বোর্ডে বালুরঘাট পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন দেবজিৎ রুদ্র। পরবর্তীতে ওই ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় আর ভোটে দাঁড়াননি।

নিখোঁজ থাকার পর দিনভর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় তিনি ভোর ৩:১৫ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালুরঘাট রেল স্টেশনের দিকে গিয়েছেন। এরপরেই রেললাইনের ধারে দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। যার মধ্যে একটি টুকরো রেল লাইনের মধ্যেই পড়েছিল এবং পাশেই তাঁর ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Patient Death: সেরে ওঠা রোগীর হঠাৎ মৃত্যু! ব্যাপক উত্তেজনা বালুরঘাট হাসপাতালে

দক্ষিণ দিনাজপুর: রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামী (৪২) নামে এক মহিলার বুধবার মৃত্যু হয়। এরপরই তাঁর পরিজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চন্দনা চক্রবর্তী গোস্বামীর বাড়ি তপন থানার চকভগীরথে। গত ২৭ মার্চ পায়ে ইনফেকশন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই থেকেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার সকালে হঠাৎই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিজনদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিবার।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পায়নের ছন্দে নতুন স্লোগান বেঁধে তমলুকে বাজিমাতের লক্ষ্য বাম প্রার্থী সায়নের

মৃতার পরিজনরা জানিয়েছেন, গতকাল চিকিৎসক চন্দনাদেবীকে দেখার পর জানিয়েছিলেন পায়ের ইনফেকশন কমে গেছে। এক-দুদিনের মধ্যে ছুটি দিয়ে দেবেন। শারীরিক অবস্থা ভাল থাকায় মঙ্গলবার রাতে পরিবারের আর কেউ হাসপাতালে ছিলেন না। পরদিন সকালে চন্দনাদেবীর স্বামী হাসপাতালে এসে দেখেন স্ত্রী মারা গেছেন। এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bengali News: চালু সৌর বিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের মেশিন, বালুরঘাট’কে ‘উপহার’ সুকান্তর

দক্ষিণ দিনাজপুর: স্থানীয় বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে এগিয়ে এলেন বালুরঘাটের সাংসদ। বুধবার বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বদলপুর এলাকায় সৌর চালিত পরিশ্রুত পানীয় জলের মেশিনের উদ্বোধন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং ভারতের

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন এলাকায় পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত না থাকার ফলে গ্রীষ্মকালে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। এবার এই সৌর বিদ্যুৎ চালিত পরিশ্রুত পানীয় জলের মেশিন চালু হওয়ায় কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে বলে তাঁদের আশা।

স্থানীয় বাসিন্দা নিবেশ সরকার জানান, গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা ছিল। এবার এই সমস্যার সমাধান ঘটল। সৌর বিদ্যুৎ চালিত জল প্রকল্প চালু হল বদলপুর অঞ্চলে। গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হয়েছে। এতে সকলে খুব খুশি। পরিশোধিত জল আনতে বহুদূর যেতে হত, এখন বাড়ির কাছেই জল পাওয়া যাবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই বিষয়ে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, গ্রামবাসীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৪৪১ টাকা দিয়ে সৌর চালিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে গ্রীষ্মকালীন জল কষ্টে আর ভুগতে হবে না গ্রামবাসীদের। তাঁরা সকলেই খুব উপকৃত হবেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম গ্রামে জল প্রকল্প করব। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরে আমি আজ খুব খুশি।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bengali News: রাজা লক্ষ্মণ সেনের তৈরি তপন দিঘি ঘিরে কী চলছে! পরিবেশ হত্যার আরেক দৃষ্টান্ত

দক্ষিণ দিনাজপুর: কথিত আছে, রাজা লক্ষ্মণ সেনের আমলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বেশ কয়েকটি বড় জলাশয় বা দিঘি খনন করা হয়েছিল। তার মধ্যে তপন দিঘি অন্যতম। এই দিঘিতে খোদ রাজা লক্ষ্মণ সেন তর্পণ করতে আসতেন এমনটাও কথিত আছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী তপন-অঞ্চলে পানীয় জল ও চাষের জলের সমস্যা দীর্ঘকালীন। তাই এলাকার কৃষি জমিতে চাষের জল ও পানীয় জলের সুবিধা করতেই এই দিঘি খনন করানো হয়েছিল বলে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেন।

আরও পড়ুন: ভিডিওটা মন দিয়ে দেখুন, বাড়ির বাতিল জিনিস দিয়ে সহজেই শিখুন ম্যাজিক

প্রায় ৮৪ একর জমি নিয়ে তপন দিঘির বিস্তার। তপন গ্রামের মধ্যস্থলে অবস্থিত এই দিঘি এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, স্থানীয় প্রায় সাড়ে চারশো একর জমিতে সেচের জলের যোগান এবং মৎস্য চাষিদের ভরসার জায়গা। সরকারি ব্যবস্থাতেই এই সমস্ত কাজগুলো এতদিন হয়ে এসেছে। কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হ‌ওয়ার পর তপন দিঘিকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে তপনের তৎকালীন বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদার বিরুদ্ধে। তিনি এই দিঘি ঘিরে দুটি রিসর্ট তৈরি করেন। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই সেই রিসর্টগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালে এই তপন দিঘিকে ঘিরেই বড় প্রকল্প গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় বরাদ্দ করা হয় ৩৭ কোটি টাকা। কিন্তু কী প্রকল্প, প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী, কী কাজ হবে সেই বিষয়ে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার বা ওয়ার্ক সিডিউল বের হয়নি। অথচ গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তপন দিঘির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল তোলা সহ একাধিক কাজ হয়ে চলেছে।

দিঘির পাড়ের একাংশ আগেই বেহাত হয়ে গিয়েছে। ফলে এখানে আর মাছ চাষ করা যায় না। অভিযোগ, দিঘিতে জল ঢোকা বা বেরনোর রাস্তা রাখা হয়নি, ফলে দিঘির বিভিন্ন জায়গায় চড়া পড়েছে, জল নেই। দিঘির সৌন্দর্য বাড়াতে মাটি তোলার কাজও বন্ধ রয়েছে। শুধু একের পর এক কংক্রিটের বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে দিঘির পাড়জুড়ে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

প্রথম অবস্থায় তপন দিঘি কিছুটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ হলেও তা সম্পূর্ণ হয়নি। বেশ কিছু নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়ন কবে হবে? প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী? এইসব বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুই জানেন না। দ্রুত দিঘি সংস্কার করে জলাশয়কে কংক্রিটমুক্ত করা হোক এটাই এলাকাবাসীদের দাবি।

সুস্মিতা গোস্বামী

Local News: গ্রামে গ্রামে বসবে সিসিটিভি! কেন জানেন?

দক্ষিণ দিনাজপুর: এলাকার অসামাজিক কাজের পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই রুখতে এবার প্রতিটা গ্রামে বসছে সিসিটিভি। সঙ্গে গ্রামীণ বাজার ও পঞ্চায়েতেও সোলার লাইট ও সিসিটিভি বসানোর প্রস্তাব মহকুমা প্রশাসনের। বালুরঘাটের গ্রামীণ এলাকা সহ পতিরাম ও হিলি থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে গ্রামের পাহাড়ার কাজে নতুন করে আরজি পার্টি বা রেজিস্ট্যান্স গ্রুপ তৈরি করারও প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: জোড়া হরিণের মৃত্যুতে জানা গেল ডাক্তারখানা আছে, কিন্তু ডাক্তার‌ নেই!

এই প্রস্তাবগুলো সাদরে গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি। বালুরঘাট ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত, দুটি থানা এলাকায় ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের প্রধানদের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক সম্পূর্ণ করেছে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি। আগামী পুজোর আগেই গ্রামাঞ্চলে সিসিটিভি ও সোলার লাইট বসিয়ে ছোটখাটো চুরির ঘটনা সহ অসামাজিক কাজ রোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র বালুরঘাট থানা এলাকায় ৩৩ টা চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ৪৭ হয়েছে। পাশাপাশি ছোট বড় অপরাধের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকটাই। যে কারণে মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সমিতিকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুপ সরকার। ভিলেজ পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার বাদ দিয়েও গ্রামের কিছু যুবক ও ইচ্ছুক ব্যক্তিদের একত্রিত করে আরজি পার্টি বা রেজিস্ট্যান্স গ্রুপ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যারা গ্রাম পাহারার কাজে নিযুক্ত থাকবেন। দ্রুত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী