Category Archives: পূর্ব মেদিনীপুর
Viral Video: ফুটবলের সাইজে কদমা! থালার সাইজে বাতাসা! খাওয়া তো পরের কথা চোখে দেখেছেন?
ময়না: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীনতম মেলা ময়না রাস মেলা। ময়নার রাসমেলা মানেই বিখ্যাত কদমা মিষ্টি। টেনিস বলের সাইজ থেকে ফুটবলের সাইজ পর্যন্ত কদমা মিষ্টি পাওয়া যায় ময়নার রাস মেলায়। শুধুমাত্র চিনি থেকে তৈরি হয় এই কদমা মিষ্টি। ময়নার রাস মেলায় দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিষ্টির দোকান নিয়ে বসেন ভানু মোহন দাস সহ বিভিন্ন মিষ্টি দোকানদারেরা। মেলায় এক একটি মিষ্টি দোকানদার গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ কুইন্টাল চিনির কদমা তৈরি করে থাকেন।
চিনিকে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে তৈরি হয় চিনির গাঢ় মিশ্রণ। চিনির মিশ্রণে দেওয়া হয় মাত্র দুই চা চামচ লেবুর রস। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে চিনির রস একটি লম্বা পাত্রের মধ্যে ঢালা হয়। মিশ্রণটি ঠাণ্ডাহয়ে এলে একটি মণ্ডআকারে পরিণত হয়। তারপর ওই মণ্ডটি বারবার সুতোর মতো টানাটানি করে ধবধবে সাদা করা হয়। সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গেলে। একটি পাটাতনের উপর ফেলে ৩২ টি ভাঁজ করা হয় পুরো মণ্ডটিকে। তারপর সেখান থেকেই নানা সাইজের কদমা তৈরি করা হয়। এমনকি টেনিস বলের আকৃতির মত থেকে শুরু করে কদমা ফুটবল সাইজের হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বল ভেবে বোমায় হাত! ডিম-খিচুড়ি আর খাওয়া হল না! হাসপাতালে তিন শিশু
কদমা তৈরির কারিগর জানান, চিনির মিশ্রণটি গাঢ় না হলে কদমা তৈরি করা যায় না। ৪৬৩ বছরের প্রাচীণ ময়নার রাসমেলার কদমা মিষ্টি খুব জনপ্রিয়। প্রতিবছর রাসের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার লোকজন মূলত কদমা মিষ্টির টানে ময়নার রাসমেলায় ভিড় করে। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রাসমেলা। এখন থেকেই দোকান বাঁধার তোড়জোড় বিভিন্ন দোকানদারদের। ইতিমধ্যেই ময়নার রাস মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি দোকানদারদের ব্যস্ততা কদমা তৈরি করতে। এক এক দোকানে চার পাঁচ জন করে দক্ষ কারিগর তৈরি করছে রাস মেলার জনপ্রিয় মিষ্টি কদমা।
আরও পড়ুন: শীতকালে ত্বকে ও চুলে সর্ষের তেল মাখুন! বিশেষজ্ঞের থেকে জানুন ব্যবহারের বিশেষ পদ্ধতি
ময়নার রাস মেলার অন্যতম আকর্ষণ থালার মত বড় বড় বাতাসা ও ফুটবলের মতো কদমা মিষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম রাস মেলা শুধু ময়নাবাসী নয়, জেলার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকেরাও সারা বছরের এইকটা দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন মেলা ময়নাগড়ের রাস মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে।
সৈকত শী
Digha: বদলে গেল দিঘার এই ছবি! এখন সমুদ্র শহরে পা রাখলেই চমকে যাবেন আপনিও
কোলাঘাটে শ্যুটআউট, সোনা ব্যবসায়ীকে খুন করে লুঠ! কলকাতা-খড়্গপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ
কোলাঘাট: জাতীয় সড়কের উপরে শ্যুটআউট৷ বাইকে করে এসে সোনার দোকানের মালিককে গুলি করে খুন করে সোনার গয়না এবং নগদ নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা৷ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে৷ ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা থেকে খড়্গপুরগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাশকুড়া থানার পুলিশ৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন রাত পৌনে নটা নাগাদ সমীর পাড়িয়া (৩৭) নামে ওই ব্যবসায়ী কোলাঘাটের জিঞাদা বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন৷ সেই সময়ই বাইকে চড়ে সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী৷ বাইকে থাকা সমীরবাবুর পথ অবরুদ্ধ করে তাঁর থাকা ব্যাগে থাকা সোনার গয়না এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা৷ তখনই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্তরা৷ ওই ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁর কাছে থাকা সোনার গয়না এবং নগদ লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা৷
ব্যবসায়ীর চিৎকার এবং গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা৷ তাঁরা এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় জাতীয় সড়কের উপরে পড়ে রয়েছেন সমীরবাবু৷ প্রত্যক্ষদর্শী অন্য কয়েক জনের অবশ্য দাবি, অন্তত তিনটি বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীর পথ আটকায়৷
আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পে এল দুটি বাইক, তুলল মেয়েটিকে! তারপর…হাড়হিম সেই ভিডিও দেখুন!
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার কোলাঘাটের উত্তর জিঁয়াদা গ্রামে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীরা৷ এর পরেই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা কলকাতা থেকে খড়্গপুরগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর জাতীয় সড়কের উপরে সেভাবে পুলিশের নজরদারি থাকে না৷ সেই কারণেই এতটা বেপরোয়া হওয়ার সাহস দেখাতে পারল দুষ্কৃতীরা৷
Digha: দিঘার এ কী ছবি! সমুদ্র দেখতে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা, যাওয়ার প্ল্যান থাকলে কিন্তু..
East Medinipur News: শীত পড়তেই পোয়া বারো কুমোর পাড়ার,দেদার বিকোচ্ছে পোড়া মাটির টব
নন্দকুমার: শীত পড়ার আগেই খুশির ঢেউ কুমোর পাড়ায়। কারণ শীতের সময় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্রের চাহিদা থাকে ভালোই। শীত শুরুর সময় বিক্রি বাড়ে মাটির তৈরি টবের। শীতকালে বহু মানুষ বিভিন্ন ধরনের মরশুমী ফুলের বাগান তৈরি করেন। মূলত ছাদ বাগান বা বাড়ির একটু ফাঁকা জায়গায় ফুলের বাগান তৈরি করতে টবের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ মানুষ বাগানের জন্য মাটির টব পছন্দ করেন। ফলে এই সময় কুমোর পাড়ায় মাটির টব তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত।
বর্তমান সময়ে সব কিছুরই বিকল্প বেরিয়েছে। একটা সময় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস ব্যবহৃত হত দৈনন্দিন কাজে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধাতুর পাশাপাশি প্লাস্টিকের নানান জিনিস ব্যবহৃত হয়, নিত্যদিনের প্রয়োজনে। সেই বিকল্পের ছোঁয়া ফুলের বাগান তৈরি করতেও। বাজারে বাগানের জন্য বিভিন্ন সাইজের প্লাস্টিকের টব পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের টব দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। প্লাস্টিকের টব মাটির তৈরি টবের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও। ধীরে ধীরে মানুষ আবার মাটির টবে গাছ লাগানোর দিকেই ঝুঁকেছে। এর ফলে শেষ কয়েক বছর মাটির তৈরি টবের চাহিদা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: দিঘার এখন অন্য মজা! শুধু সমুদ্র নয়, ঘুরতে গিয়ে মুখে হাসি পর্যটকদের
প্লাস্টিক টবে গাছ লাগানোর চেয়ে বহু মানুষ মাটির তৈরি টব বেছে নেয় বিজ্ঞানসম্মত কারণে। প্লাস্টিক টবের তুলনায় মাটির টবে গাছ লাগালে গাছের বৃদ্ধি সঠিক থাকে। তীব্র গরমে মাটি র টবে গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয় না। আবার মাটির টবের গাছ লাগিয়ে অতিরিক্ত জল দিলেও চিন্তা থাকে না। কিন্তু প্লাস্টিক টবে গাছ লাগালে রোদের তাপে দ্রুত উত্তপ্ত হয় টব এমনকি গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয়। মাটির টব তাপ নিষ্কাশন করতে পারে। তাই মানুষ বাগান তৈরিতে মাটির টবকে বেছে নেয়।
আরও পড়ুন: ১১ টাকার মাস্টার! শিক্ষার আলো আসছে জীবনে
নন্দকুমার এর দক্ষিণ ধলহরা গ্রামের কুমোর পাড়ায় এখন মাটির টব তৈরির ব্যস্ততা। বিভিন্ন সাইজের টব তৈরি হচ্ছে। ওই পাড়ার এক কুম্ভকার জানান, সারা বছর মাটির টবের চাহিদা থাকলেও মূলত নভেম্বর মাস থেকেই টবের চাহিদা প্রায় দ্বিগুনের চেয়েও বেশি হয়। তাই এই সময়টা মাটির অন্যান্য জিনিসপত্র বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টব তৈরি করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন জিনিসপত্র দাম বাড়লে লভ্যাংশ কমলেও চাহিদা থাকায় মাটির টব তৈরিতে রোজগার হচ্ছে ভালোই। ফলে শীতকাল শুরুর আগেই খুশির ঢেউ ওঠে কুম্ভকার পাড়ায়।
সৈকত শী
East Medinipur News: ভাইফোঁটার আগের দিন ভিন্নরূপে ধরা দিলেন জেলাশাসক
পূর্ব মেদিনীপুর: দীপাবলির সময় একেবারে ভিন্নরূপে ধরা দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। একদিকে ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস, অন্যদিকে এদিন প্রতিপদ পেরিয়ে দ্বিতীয়া তিথি পড়েছে। তাই মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ভাইফোঁটার উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি। আর এই উৎসব আবহে একেবারে ভিন্নরূপে দেখা গেল জেলাশাসক তানভির আফজলকে। তিনি এদিন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের মঙ্গল কামনায় তাদের ফোঁটা দেন। তমলুক ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে এই ছবি উঠে এল।
আরও পড়ুন: ১০৮ নিরামিষ পদ দিয়ে তৈরি গিরি গোবর্ধন পাহাড়! গোবর্ধন উৎসবে বিরল দৃশ্য
কথায় আছে উৎসব সবার। তবুও উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় অনেকেই। রক্তের মারণ অসুখ থ্যালাসেমিয়া। তাই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কাছে উৎসব যেন কিছুটা ফিকে। কিন্তু তারাই বা উৎসবের আনন্দ থেকে বাদ পড়বে কেন! তাই তমলুক ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই শিশু দিবস আয়োজন করা হয়। যেখানে দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের আনন্দ দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিশুদের জন্য ভাইফোঁটার আয়োজন করেন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা করলেন জেলাশাসক।
জেলাশাসক শিশুদের প্রথমে মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেন। তারপর শিশুদের সঙ্গে কেক কেটে শিশু দিবস উদযাপন করেন। পরে তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। এই রোগ রোগের একমাত্র চিকিৎসা ব্লাড ট্রান্সফিউশন। অর্থাৎ রোগীকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রক্ত দেওয়া। তার জন্য প্রয়োজন রক্ত। তাই তিনি এই উৎসব আবহে বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠনকে রক্তদান কর্মসূচি জারি রাখার আহ্বান জানান। রক্তদানের একটি নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করে ক্লাব বা সংগঠনগুলি রক্তদান শিবির আয়োজন করে তাহলে জেলায় বিভিন্ন সময়ে রক্তের যোগান স্বাভাবিক থাকবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
সৈকত শী
East Medinipur News: গোমাতা পুজো ও হরিনাম সংকীর্তনে মেতে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী
মেচেদা: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইসকন মন্দিরে গোমাতা পুজো ও হরিনাম সংকীর্তনের মেতে উঠলেন। ফিতে কেটে শুধু পুজোর উদ্বোধন নয়, পাশাপাশি ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করতে দেখা যায় তাঁকে। ১৪ নভেম্বর মেচেদার ইসকন মন্দিরে গোমাতা পুজো ও হরিনাম সংকীর্তনে মেতে ওঠেন তিনি।
কৃষি প্রধান দেশে গরু পুজো হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। অঞ্চল ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে এই রীতি পালন করা হয়। কার্তিক মাসের প্রতিপদ তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। গোয়ালে গরু বা মোষকে পুজো করা হয় কার্তিক মাসের প্রতিপদ তিথিতে। পুজোর উপকরণ হিসেবে ধূপ, সিঁদুর, আতপ চাল, গাওয়া ঘি এবং পিঠে ব্যবহৃত হয়।
মঙ্গলবার দুপুর বারোটা নাগাদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্দিরে আসেন। মন্দিরের গোশালায় গিয়ে প্রথমে গরু পুজো করেন, তারপর অন্নকূট উৎসবে সামিল হন। আরতি, গোরুর মাথায় তিলক পরানো-সহ গোমাতা পুজোর নানা উপচার পালন করেন তিনি। পাশাপাশি গিরি গোবর্ধন দেবের আরতি করেন । সবশেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা যায় হরিনাম সংকীর্তন-এ মেতে উঠতে।
Saikat Shee
Bhai Dooj 2023: এবারের ভাইফোঁটায় হিট মধুমাখা প্রদীপ মিষ্টি
পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ পোহালেই বাংলার ঘরে ঘরে বেজে উঠবে ভাইফোঁটার শঙ্খ। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় যমের দুয়ারে কাঁটা দেবেন দিদি, বোনেরা। অবশ্য অনেকেই মঙ্গলবার রাতে সেরে ফেলবেন ভাইফোঁটা। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভাই ফোঁটার মিষ্টি কেনার জন্য মিষ্টির দোকানগুলোর বাইরের লম্বা লাইন পড়তে শুরু করেছে। আর এবারের ভাইফোঁটার বাজারে হিট প্রদীপ মিষ্টি।
আরও পড়ুন: হঠাৎ আগুনে জ্বলে উঠল পাটের গুদাম, জ্বলে পুড়ে খাক সবকিছু
মিষ্টি ছাড়া ভাইফোঁটা ভাবাই যায় না। তাই ভাতৃদ্বিতীয়ায় মিষ্টির দোকানগুলোয় আগের দিন থেকে লম্বা লাইন পড়ে যায়। প্রতিবছরই ভাইফোঁটা উপলক্ষে নতুন নতুন মিষ্টি বাজারে নিয়ে আসা হয়। এ বছর ভাইফোঁটার বাজারে অন্যতম হিট প্রদীপের সাইজের মিষ্টি। তমলুকের শহরের পাশাপাশি শহরতলীর দোকানগুলিতেও দেদারে বিকোচ্ছে এই মিষ্টি।
প্রদীপ মাঙ্গলিক অর্থে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। প্রদীপ ছাড়া অনুষ্ঠান বা উৎসব ভাবতেই পারে না সাধারণ মানুষ। তাই ভাতৃদ্বিতীয়ার বাজারে মিষ্টির দোকানে এসে গেছে প্রদীপ। তবে এই প্রদীপ জ্বালানোর জন্য নয়, খাওয়ার জন্য। ক্ষীর, ছানা ও মধু সহযোগে তৈরি প্রদীপ আকৃতির এই মিষ্টি ভাতৃদ্বিতীয়ার মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ বছর রসগোল্লা, পান্তুয়াকে রীতিমত টেক্কা দিচ্ছে এই নতুন মিষ্টি।
এক মিষ্টি দোকানদারের কথায়, প্রতিবছরই ভাইফোঁটার আগে মিষ্টিতে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। মধু মিশ্রিত এই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। এটি দেখতে অবিকল প্রদীপের মত। তৈরি করতে সময়ও বেশি লাগে। তাই এই মিষ্টির দাম অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় একটু বেশি হয়। জেলার দোকানগুলিতে প্রতি পিস প্রদীপ মিষ্টি ১০ থেকে ১৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
সৈকত শী
East Medinipur News: বিনা খরচে খাল সংস্কার! রাজ্যে প্রথম ঘটবে এমন কাণ্ড
পূর্ব মেদিনীপুর: বিনা খরচে হবে খাল সংস্কার। রাজ্যের মধ্যে প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। প্রতিবছর বর্ষার সময় জল নিকাশি নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ক্ষোভ দেখা যায়। মূলত খালগুলি সংস্কারের অভাবে এবং খালপাড়ে গজিয়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণ জল নিকাশির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ফলেই বর্ষায় স্বাভাবিক বা নিম্নচাপের বৃষ্টির হলেই নিচু এলাকাগুলো দ্রুত জলের তলায় চলে যায়। এই পরিস্থিতি পাল্টাতেই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: গাছ থেকে কলার কাঁদি কেটে চুপি চুপি গাড়িতে তুলছিল, পুলিশ দেখেই সব ফেলে চম্পট
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ চরমে ওঠে। তমলুক, ময়না, পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এরপরই জল নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা সমাধান করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল প্রশাসন। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন। তাদের মাধ্যমেই পরীক্ষামূলকভাবে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত রূপনারায়ণ থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ গঙ্গা খালটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সংস্কার খরচ যাতে উঠে আসে, অর্থাৎ কোষাগরের উপর যাতে চাপ না পরে তার জন্য এই খাল সংস্কার করে সেখান থেকে যা বালি এবং মাটি উঠবে পুরোটাই টেন্ডার ডেকে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে সেচ দফতর।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি সফল করতে ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যের কাছে পাঠিয়েছে জেলা সেচ বিভাগ। সেখান থেকেই সবুজ সঙ্কেত আসতেই চুক্তিপত্র শহীদ হয়ে গিয়েছে। সেচ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এতদিন অবধি খাল সংস্কারের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছিল সরকারকেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এই পদ্ধতিতে খাল সংস্কার করলে বালি, মাটি বিক্রির টাকায় প্রায় পুরো খরচটাই উঠে আসবে। যার ফলে খাল সংস্কার করার জন্য প্রকৃত অর্থে আলাদা কোনও খরচ হবে না। এই উদ্যোগ রাজ্যের মধ্যে প্রথম বলা যেতে পারে। এটা সফল হলে আগামী দিনে জেলার বাকি খালগুলিকেও দ্রুত এই প্রক্রিয়ায় সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সৈকত শী