দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার কাটোয়ার ধাঁচে কার্তিক উৎসব হল কৌতলাতে। কার্তিক পুজো সাধারণত হয় বাড়িতে। সার্বজনীনভাবে এই পুজো আয়োজন করা হয় খুব কম। সার্বজনীন কার্তিক পুজোর কথা উঠলেই কাটোয়ার কথা মাথায় আসে সকলের। তবে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও সেই ছবি দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৌতলাতে শুরু হয়েছে কার্তিক উৎসব।
৪ দিন ধরে চলবে এই উৎসব। পুজো উপলক্ষ্যে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রক্তদান শিবির সহ একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে উদ্যোক্তারা। কার্তিক পুজো এই এলাকার মানুষজনের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে নিয়ে আসে প্রতিবছর। ৯ বছর ধরে আয়োজিত হচ্ছে এই পুজো। এই পুজোতে গ্রামের সকলে সমানভাবে অংশগ্রহণ করেন। এবছর এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন রায়দিঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা, উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য উদয় হালদার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কার্তিক ঠাকুর হলেন যুদ্ধের দেবতা। তাঁর রয়েছে দৃড় মানসিকতা ও সাহস। সেই সাহসের উপর ভর করে আগামী বছরগুলিতেও এই পুজো চালিয়ে যেতে চান উদ্যোক্তারা। এবছর পুজো মন্ডপটিকে তাঁরা রাজবাড়ির আদলে রূপ দিয়েছেন। মন্ডপের সামনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শিবলিঙ্গ। যা দেখতে প্রচুর মানুষজনের সমাগম হচ্ছে সেখানে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিস টংতলা, ধোপাগাছি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ টি দামি বাইক বাজেয়াপ্ত করে। তাতেই দেখা যায় বেশিরভাগ বাইক চালক স্কুল অথবা কলেজ পড়ুয়া। এরপরই তাদের পরিবারকে থানায় তলব করা হয়। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, বাইকচালকরা প্রত্যেকেই ছাত্র। তাই পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকে কড়াভাবে সতর্ক করা হবে।
প্রতিদিনই বাইক রেসিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, বারুইপুরের টংতলা, পুরন্দরপুর মোড়, ধোপাগাছি এলাকা হয়ে বারুইপুর-আমতলা রোডে বাইক রেস নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাইক চালকরা টংতলার টেলি অ্যাকাডেমির সামনে নির্জন জায়গা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করত। তারপর সরাসরি এসে উঠত মূল রাস্তায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বুধ, শনি ও রবিবার বিকেল হলেই রেসিং হত। এর জেরে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পায় সাধারণ মানুষ। বাইক চালকদের কারোর মাথাতেই হেলমেট থাকত না। এলাকার মানুষ চায় পুলিশ এই অভিযানের মধ্য দিয়ে স্থায়ীভাবে বাইক রেসিং বন্ধ করে দিক। না হলে আগামী দিনে বড় বিপত্তি দেখা দিতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।