আদালতে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর৷

Sandip Ghosh Abhijit Mondal mobile phone mystery: নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের হতেই সন্দীপ, অভিজিতের মোবাইলে পর পর রহস্যময় ফোন? বিস্ফোরক সিবিআই

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল ফোনেই কি লুকিয়ে আরজি কর কাণ্ডের রহস্য? কেন দু জনকে ফের তারা হেফাজতে চাইছে, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে এমনই ইঙ্গিত করেছে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আর্জি মেনে আজ দু জনকেই ফের তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷

এ দিন আদালতে সিবিআই জানিয়েছে. সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে ঘটনার দিন ফোনে যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে৷ শুধু এই দু জনের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন নয়, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর এই দু জনের নম্বরেই বেশ কিছু সন্দেহজনক ফোন আসে৷ নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর কারা তড়িঘড়ি সন্দীপ এবং অভিজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে এ দিন আদালতে জানিয়েছে সিবিআই৷

আরও পড়ুন: ‘এটা কোনও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়’, আইনজীবীদের ‘ধমক’ ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির! 

যেহেতু সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তদন্তকে ভুলপথে চালিত করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছে সিবিআই, তাই এই দু দজনের ফোনের সিডিআর বা কল ডিটেলস রেকর্ড খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

সিবিআই আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সন্দেহজনক নম্বর সিবিআই-এর হাতে এসেছে৷ সেগুলির সিডিআর রিপোর্টও তদন্তকারীদের হাতে চলে এসেছে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেও সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলেই দাবি করেছে সিবিআই৷ আরও দাবি করা হয়েছে, সন্দীপ এবং অভিজিৎ মূল অভিযুক্ত অথবা সহ অভিযুক্তের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে কি না, তার জন্যও দুজনকে জেরা করা প্রয়োজন বলে আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দেরিতে এফআইআর করা, ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের পোষাক দেরিতে বাজেয়াপ্ত করার মতো অভিযোগও তুলেছেন তদন্তকারীরা৷