রকমারি খাবার 

Jamaisashthi Celebration: ঘরে ঘরে জামাই আপ্যায়ন, অথচ বন্ধ বাড়ির রান্নাঘর! চমকে যাবেন কারণ জানলে

সৌভিক রায়, বীরভূম: কথাতেই রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বলা চলে জামাইষষ্ঠীকে। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাঙালির রসনা মেটাতে এলাহি আয়োজন বীরভূমের বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিতে। চলছে অনলাইনে অর্ডার এবং বুকিংও। রেস্তরাঁ ও হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রায় ৪০ শতাংশ বুকিং হচ্ছে অনলাইনে এবং ফোনের মাধ্যমে। তবে সরাসরি ভোজনরসিকরা এলেই পছন্দসই খাবার পাবেন। অনলাইনে খাবার মেনু থেকে দাম সব কিছুই দেওয়া থাকছে। যাতে ক্রেতাদের কোনও অসুবিধা না হয়।

প্রসঙ্গত বীরভূমে লাগাতার কয়েকদিন থেকে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা।এক ফোঁটাও বৃষ্টি দেখা নেই। তবে গরম বলে জামাইষষ্ঠীতে ভূরিভোজ হবে না, তাও আবার হয় নাকি! বাড়িতে নিয়মরক্ষা ষষ্ঠীর আয়োজনটুকু পালন করেই হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিতে মিলবে জামাইষষ্ঠীর প্যাকেজ।কোথাও জামাই আদরে লোভনীয় অফার।আবার কোথাও থাকছে জামাই বরণও।নানা পদে জামাইকে খাওয়ানোর রেওয়াজ যেমন ছিল, তেমনই আছে।শুধু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল ঘটছে আয়োজনের।ষষ্ঠীর স্পেশাল হাতপাখার বাতাস থেকে ইলিশ ভাপা, ভেটকি পাতুরি থেকে রুই পোস্ত সবের আয়োজন এখন রেস্তোরাঁর সৌজন্যে।

সব জায়গাতেই রয়েছে আকর্ষণীয় অফার। ঘি, বাসমতি চালের বাসন্তী পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল, ভেটকি পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি, চিতল পেটি, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি ও দই মিলছে মাত্র ৫০০-৬০০ টাকায়। আবার কোথাও মেনুতে রয়েছে বেগুন ভাজা, বাদশাহী আলুভাজা, ছানার ডালনা, রুই কাতলা ভেটকি পাতুরি, ধনেপাতা মুরগি, মটন কষা, ইত্যাদি। ভেজ ও নন ভেজ থালিতে পাওয়া যাচ্ছে জিভে জল আনা সুস্বাদু খাঁটি বাঙালি পদ।বোলপুর শান্তিনিকেতনের বেশ কিছু রেস্তরাঁয় মিলবে রাধাবল্লভী, নারকেল দিয়ে মুগ ডাল, পুরভরা চাল কুমড়ো ভাজা, স্টিম রাইস, আম কাসুন্দি আলুর দম, বাসন্তী পোলাও, পটলের দোলমা, ছানার মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি, ফুলকপির রোস্ট, গলদা চিংড়ি, দেশি মুরগি, আলু ঝিঙে পোস্ত, ছানার কোফতা, আম দই, রসমালাই, নলেন গুড়ের আইসক্রিম, রাবড়ি-সহ আরও কত কী। জিএসটি-সহ মিলবে ৯০০-১০০০ টাকায়।

আরও পড়ুন : জামাইষষ্ঠী নয়, পুরুলিয়ার ঝালদায় এই তিথিতে পালিত হয় এক অরণ্য পার্বণ, জানুন বিস্তারিত!

শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা নয়ন চৌধুরী জানাচ্ছেন “শহরে একের পর এক সাজানো রেস্তরাঁ। শুধু ষষ্ঠীর অনুষ্ঠান বাড়িতে নিয়ম করেই পালন। জামাইষষ্ঠীতে বাড়িতে হেঁসেল প্রায় বন্ধ।” রেস্তরাঁর কর্ণধার প্রশান্ত রায় বলেন, “মূলত বাঙালি আকর্ষণীয় খাবার পছন্দ করেন সকলেই। জামাইষষ্ঠীতে দুর্দান্ত অফার রয়েছে। চিকেন থেকে মাটন সবেতেই তাক লাগানো ছাড়। এছাড়াও কম্বো মেনু রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রয়েছে ফটো শুটের সুবর্ণ সুযোগ। তাছাড়াও ১০-২০ শতাংশ ছাড় রয়েছে সুস্বাদু খাবারগুলিতে।”

এ তো গেল দুপুরের আয়োজন। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইকে দুপুরে খাওয়ানোর পর শ্বশুর শাশুড়িরা রাতে খাওয়াবেন না, সেটা কি হয়! রাত্রে ডিনারে দিনের মতোই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এলাহী আয়োজন। এক কথায় জামাইষষ্ঠীর এই বিশেষ দিনে হেঁসেল বন্ধ বাঙালির বহু ঘরে।