Tourism: সেলফি জোন, রাতে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে মন মাতবে, ঘুরে আসুন একদিন এই জায়গা থেকে

পশ্চিম মেদিনীপুর: সব সময় লং ড্রাইভ এর থেকে কাছে পিঠে ছোট্ট ছোট্ট জায়গা বেশ আনন্দ দেয় সকলকে। যারা ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন বছরে দু একটা লং ড্রাইভের পর ক্লান্তি কাটাতে কাছে পিঠে এইসব জায়গায় ঘুরে দেখতে পারেন। শান্ত নদী বিকেলে নদীর এক কিনারে সূর্যাস্ত রাত হলে লাইট-সাউন্ডের এক সুন্দর অ্যাম্বিয়েন্স আপনাকে নিয়ে যাবে প্রশান্তির ঠিকানায়। সারাদিনের অফিস সামলে ক্লান্তি ভুলে পরিবার পরিজনদের কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা। আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে এমন সুন্দর জায়গা যা হয়তআগে দেখেননি।

বাড়ির কাছেই রয়েছে এমন ডেসটিনেশন। কিছুটা সময় কাটানোর পাশাপাশি ছবি তুলুন মন ভরে, শুধু তাই নয় দিনের সূর্যাস্তটাও উপভোগ করতে পারবেন এখানেই। সমুদ্র পাহাড় পর্বত তো অনেকবারই হয়েছে, এবার নদীর পাড়ে সময় কাটান। কলকাতা শহর থেকে মাত্র কিছুটা দূরে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে রয়েছে একদিনের ঘোরার অন্যতম ডেস্টিনেশন। মেদিনীপুর শহর ঢোকার মুখে রয়েছে কংসাবতী নদীতে অ্যানিকেট ড্যাম। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। শুধু তাই নয়, রাত হলেই নদীর পাড়ে থাকছে লাইট এন্ড সাউন্ড এর ব্যবস্থা। ঘন্টাখানেক ধরে এমন সুন্দর আয়োজন আপনাকে এক আলাদা আনন্দ দেবে।

আরও পড়ুন Sweets: সবজি নাকি মিষ্টি? রসে টসটসে, মুখে দিলেই তৃপ্তি! অমৃত সমান এই মিষ্টি কী বলুন তো, কীভাবে এল বাংলার মাটিতে? জানুন লম্বা ইতিহাস

কংসাবতী নদীতেই তৈরি করা হয়েছে অ্যানিকেট ড্যাম। রেল শহর খড়গপুর এবং মেদিনীপুরকে বিভাজন করেছে কংসাবতী নদী। এই কংসাবতী নদীতে মেদিনীপুর শহরের খুব কাছেই রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া এই স্থানটি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই অ্যানিকেট ড্যামে এলে মন প্রাণ জুড়াবে আপনার। গরমের বিকেলে, একটু জিরিয়ে নেওয়ার প্রধান ঠিকানা এই অ্যানিকেট ড্যাম। জল পড়ার হালকা কুলুকুল শব্দ, এবং হালকা আবেশে শান্ত শীতল ভাবে নদীর জল বয়ে চলেছে। যেন নদীর এপার থেকে ওপার বরাবর ছোট্ট ঝর্ণার মত বয়ে চলেছে নদী। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের সারাদিনে ঘোরার অন্যতম ডেস্টিনেশন এই স্থান। সন্ধ্যা নামলেই নদীর আরেকটি ঘাটে রয়েছে সেলফি জোন এবং লাইট এবং সাউন্ড এর ব্যবস্থা।

বাস, ট্রেন যাতায়াত মাধ্যম সুলভ। কলকাতা থেকে কেউ ট্রেনে আসতে চাইলে খড়গপুর বা মেদিনীপুর স্টেশনে নামলেই অটো কিংবা টোটো ধরে আসা যাবে এই স্থানে। অথবা বাসে এলে নামতে হবে মেদিনীপুরের আমতলাতে। সেখান থেকে সামান্য হাঁটলেই কংসাবতী নদীতে রয়েছে ঘোরার এই বিশেষ জায়গা। দিনশেষে ক্লান্তির পর বিকেলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন অ্যানিকেট। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন এখানে

রঞ্জন চন্দ