বর্ধমান: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। ৫২ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার তিনটি শিফটে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিউটি করতেন।
গতকাল রাত থেকেই তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কোথায়, কতজন পুলিশ প্রয়োজন তা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন হাসপাতালে খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন- মুম্বইয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের মালিক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি!
বলাই যায় সুপ্রিম নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান জেলা পুলিশের তিন সদস্যদের একটি পদস্থ দল।
এই মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালের কোথায়, কতজন পুলিশকর্মী প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ওই দল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, স্কুল ও হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা যাবে না। রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে কোনও স্কুল এবং হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়নি।
এমনকী কোনও থানা এবং তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোথাও সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই রাজ্যের অন্য হাসপাতালের পাশাপাশি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- কোথাকার ইলিশে সবচেয়ে বেশি স্বাদ হয়?পদ্মা নয় কিন্তু! তাহলে?জেনে কিন্তু চমকে উঠবেন
বৃহস্পতিবার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, ডিএসপি ডিআইবি বীরেন্দ্র কুমার পাঠক ও বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস পুলিশের এই তিন আধিকারিক যান বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কিভাবে আঁটোসাটো করা যায় সেই বিষয়েই তারা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন।
এই মুহূর্তে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কমবেশি ৫০ জনের মতো সিভিক ভলেন্টিয়ার। এখন আদালতের নির্দেশ মানতে গিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবর্তে এত পুলিশ কর্মী কোথায় মিলবে সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে খোদ পুলিশ মহলে।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন,আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দিয়েছি। আগে থেকেই হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে।