লাইফস্টাইল Cleaning: ১ মিনিটেই ঝাঁ চকচকে…! ঘরোয়া ‘টোটকায়’ ঝকঝকে পরিষ্কার প্লাস্টিকের বালতি-মগ! ছোট্ট ‘কাজেই’ কেল্লাফতে Gallery July 25, 2024 Bangla Digital Desk পুজোর আগে ঘর পরিষ্কার মাস্ট। আর ঘর রান্নাঘর পরিষ্কার করলেই তো হবে না। বাথরুম? সেখানে তো সেই শ্যাওলা পড়া বালতি মগ। সেগুলোর কী হবে? কী ভাবে করবেন নতুনের মতো পরিষ্কার? রইল জবরদস্ত টিপস। আসলে বাড়িতে আমরা প্রায়ই বাথরুমে প্লাস্টিকের বালতি এবং মগ ব্যবহার করি। কেনার পরে, সেগুলি কিছু সময় চকচকে ঝকঝকে থাকলেও কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলি হয়ে যা বিবর্ণ-রংচটা। জলের আয়রন ও ময়লা জমে জমে ক্রমশ এমন হাল হয় যে ছুটেও গা ঘিনঘিন করে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বাড়িতে উৎসবের মরশুমে অতিথি এলে প্রায়ই তাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আজ আমরা আপনাকে এই প্লাস্টিকের বালতি মগ থেকে প্লাস্টিকের রান্নাঘরের বাসন কোসন পরিষ্কার করার কিছু ঘরোয়া উপায় শেয়ার করছি এই প্রতিবেদনে। এই সহজ কৌশলটি অবলম্বন করে আপনি কিন্তু সহজেই প্লাস্টিকের বালতি এবং অন্যান্য পাত্রের চকচকে ভাব পুনরুদ্ধার করতে পারেন। ব্লিচ ব্যবহারআপনি বাথরুমে থাকা প্লাস্টিকের বালতি, মগ বা অন্যান্য পাত্র থেকে কালো ভাব এবং দাগ দূর করতে ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য এক গ্লাস জলে ব্লিচ পাউডার মিশিয়ে নিন। এরপর সেই দ্রবণে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বালতি বা মগ দিয়ে ঘষে নিন। ঘষার পর পরিষ্কার জল দিয়ে পাত্রটি ধুয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার প্লাস্টিকের পাত্রগুলো নতুনের মতো জ্বলজ্বল করতে শুরু করবে। মনে রাখবেন যে এই কাজটি শুধুমাত্র গ্লাভস পরেই করা উচিত, অন্যথায় ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। লেবু দিয়ে উজ্জ্বলতা আনুন :বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এর ব্যবহারে প্লাস্টিকের পাত্রে জলের দাগ সহজেই মুছে যায়। আপনার প্লাস্টিকের বালতি বা মগ পরিষ্কার করতে তার গায়ে লেবুর রস লাগান এবং আধঘণ্টা রেখে দিন। এর পর ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন। আপনার বালতি এবং মগ নতুনের মতো উজ্জ্বল দেখাবে। বেকিং সোডা এবং ভিনেগার ব্যবহার :প্লাস্টিকের বালতি এবং মগের ময়লা পরিষ্কার করতে আপনি বেকিং সোডা এবং ভিনেগারও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, উভয় জিনিস সমান পরিমাণে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এর পরে, সেই পেস্টটি নোংরা বালতি এবং মগের উপর ঘষে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সেগুলি কয়েক মিনিটেই আগের মতো চকচক করবে। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।