নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকেই বৃদ্ধাশ্রমে মুখ্যমন্ত্রী, আবাসিকদের দিলেন প্রতিশ্রুতি

শিলিগুড়ি: ৪ঠা এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই জলপাইগুড়িতে হাজির তিনি।

রবিবার দুপুরের ঝড়ে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছেই জলপাইগুড়ির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন- সার্কাস নাকি! বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাস্যকর ঘটনা, ঝোপ বুঝে কোপ কলকাতা পুলিশের

পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির চালসায় একটি চার্চে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করার পরেই স্থানীয় এক বৃদ্ধাশ্রমে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃদ্ধাশ্রমে থাকা আবাসিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের শরীর সম্পর্কে খোঁজ নেন। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা একাধিক আবাসিকের চোখে সমস্যা, কানে শুনতে না পাওয়ার সমস্যাও রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে হেয়ারিং এড ও চশমা দেওয়া হয়। সেই ব্যাপারে আবাসিকদের জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃদ্ধাশ্রমে থাকা আবাসিকদের আশ্বস্ত করেন, নির্বাচনী আচরণবিধির শেষ হয়ে গেলেই তাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি আবাসিকদের শারীরিক খোঁজ খবর নেন তিনি।

স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য একটি আবাসিক রয়েছে সেখানে। তাদেরও পড়াশোনা কেমন চলছে সেই বিষয় সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, “আমি চার্চে এসেছিলাম। তার পর বৃদ্ধাশ্রমে এলাম। এখানকার আবাসিকরা যে যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছে তা আমরা দেখে নেব। নির্বাচনী আচরণবিধি চলছে তাই এই বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলবো না।”

আরও পড়ুন- KKR News: চোটের কী অবস্থা! দিল্লির বিরুদ্ধে খেলবেন না কেকেআর তারকা? বড় আপডেট

তিনি আরও বলেন, “আজ আমার কাছে অনিত থাপা এসেছিল। এখানে ১০ লক্ষ চা শ্রমিক যাদের নিজেদের চা বাগান ছিল, সেই চা বাগান থেকে মালিকরা চা কিনে নিত। কিন্তু এখন বলছে এগুলো পেস্টিসাইড হচ্ছে। আগেরবার প্রধানমন্ত্রী এসে বলেছিলেন ছটি চা বাগান খুলে দেবে। এটা কী একটা সিস্টেম হচ্ছে? যে আবার উনি এসে বলবেন দেখে নেব। বলবে আমি খুলে দেবো।

তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের একটা বিউটি রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আগে কেউ আসত না দেখত না। আজ আমি খুশি পাহাড় – তরাই সব শান্তিতে আছে। সবাই একসাথে আছে। ফেস্টিবেলকে যেন দাঙ্গার পর্যায় নিয়ে না যায় কেউ।”

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়