ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি প্রাঙ্গণের কপি চাষের বাগান

Coffee Cultivation: দক্ষিণে ছুটতে হবে না! ঘরের কাছেই কফি চাষ! স্বাদও নিন অনায়াসে, কোথায় গেলে পাবেন

ঝাড়গ্রাম: কফি চাষের বাগান দেখার জন্য যেতে হবে না কর্ণাটক। জঙ্গলমহলের লাল মাটিতেই চাষ হচ্ছে কফি। ব্রিটিশ আমলে বেলপাহাড়িতে চাষ করা হত কফি। সেই সূত্র ধরেই কফি চাষ শুরু হয়েছিল জঙ্গলমহলের লাল মাটিতে। আর তাতেই বড় সাফল্য পেয়েছে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে কফি চাষের বাগান দেখা বড় একটা পাওনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় বড় কফি গাছে  ফলে রয়েছে সবুজ, হলুদ, লাল রঙের কফির ফল । ইতিমধ্যেই সেই কফির ফলগুলিকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে কফি বানিয়ে পান করা হয়েছে। তার সাধও অতুলনীয় বলে জানা গিয়েছে।

একদা ব্রিটিশ আমলের সময় বেলপাহাড়ির বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হত কফি। এই সূত্র ধরেই ২০১৮-১৯ সালে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে বেশ কিছু কফি গাছ রোপন করা হয়। কয়েক বছরের মধ্যে তাতে ফল আসা শুরু হয়। প্রায় তিন থেকে চার ঝুড়ি কফি ফল সংগ্রহ করার পর তা পাঠানো হয় খড়গপুর আইআইটিতে। বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করার পর কফি তৈরি হয়ে চলে আসে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। পান করে দেখে কফির স্বাদ অতুলনীয়। তাই এবার রাজবাড়ির পক্ষ থেকে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে কফির বীজ গুলিকে রাজবাড়িতেই বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে কফি তৈরি করে পর্যটকদের জন্য পরিবেশন করা হবে রোবাস্টা ভ্যারাইটির কফি।

ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের সদস্য বিক্রমাদিত্য মল্লদেব বলেন, “ব্রিটিশ আমলে বেলপাহাড়িতে কফি চাষ করা হত। সেই সূত্র ধরেই আমরা কাপগাড়ি সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয় এর ভূগোল বিভাগের হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট প্রণব সাহুর সঙ্গে যোগাযোগ করে ২০১৮-১৯ সালে রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে কফি চারা রোপন করি। কয়েক বছরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফল আসে কফি গাছগুলিতে। প্রায় তিন থেকে চার ঝুড়ি কফি সংগ্রহ করে তার শুকনো করার পর পাঠানো হয় খড়গপুর আইআইটিতে। সেখানে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত হওয়ার পর কফি তৈরি হয়ে চলে আসে আমাদের কাছে। আমরা খেয়ে দেখেছি। কফির স্বাদ অতুলনীয়। আমাদের ভাবনাচিন্তা রয়েছে আগামী দিনে পর্যটকদের এই কফি পরিবেশন করা হবে।”

ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে রাজ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ঝাড়গ্রাম প্যালেস নামের অতিথিশালা। যেখানে পর্যটকরা রাজবাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। তার পাশাপাশি এবার তাদের কাছে বাড়তি পাওনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কফি চাষের বাগান দেখার সুযোগ।

বুদ্ধদেব বেরা